অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় – অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায়
অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় – অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট বা অনলাইন মাধ্যম থেকে টাকা আয় করতে চায়না এমন কাওকে হয়ত খুজেই পাওয়া যাবেনা।
এই সময়ে বেশীরভাগ মানুষ অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে চায় কেননা বাংলাদেশের বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার ডেভেলপ করে নিয়েছে এবং যার ফলে তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান ও সেই সাথে বেকারত্ব দূর হয়ে যাচ্ছে।
অনেকেই আছেন ফ্রিলান্সিং করার মাধ্যমে লাখ টাকা আয় করছেন এবং আয় করার পাশাপাশি অন্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই সমস্ত কিছুই সম্ভব হয়েছে অনলাইন থেকে ইনকাম করার কারণে।
তাই চলুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় – অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায় সম্পর্কে জানা যাক এবং যেকোনো একটি কাজ শিখে অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করুন।
অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় – অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায়
আপনি আজকের এই আর্টিকেল থেকে কাজ গুলোর নাম জানার পাশাপাশি কিভাবে এবং কোন জায়গা থেকে কাজ গুলো শিখে কোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা যাবে সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
তাই একটু সময় নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ুন এবং নিজের ক্যারিয়ারে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন,
ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে আয়
বর্তমান সময়ে ভিডিও কনটেন্ট সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়তা পেয়েছে কারণ ইউটিউব এবং ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করেছে। শিক্ষা মূল্যক ভিডিও থেকে শুরু করে বিনোদন সব ধরণের ভিডিও আপলোড হচ্ছে এবং সেই সমস্ত ভিডিওর মালিকেরা অনেক বেশী টাকা ইনকাম করছে।
এমন অনেকে আছেন ক্যামেরার সামনে বসে খাওয়া দাওয়া করে এবং সেই সমস্ত ভিডিও গুলো ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোড করে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করছে। এমন কোন ধরণের ভিডিও নেই যে, ইউটিউব ও ফেসবুকে পাওয়া যায় না।
আপনি যে সমস্যার সম্মুখীন হউন না কেন, ইউটিউবে বা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে তার সমাধান কিভাবে করতে হবে সেই সম্পর্কিত ভিডিও পেয়ে যাবেন। ঠিক একইভাবে আপনাকে তাদের মত ভিডিও তৈরি করতে হবে।
আপনি যে বিষয়ে জানেন এবং বুঝেন সেই বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করা শুরু করুণ এবং একই ভিডিও ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের মত সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে আপলোড করা শুরু করুন।
- আরও দেখুনঃ ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায়
ভিডিও আপলোড করার জন্য ফেসবুকে নিজের প্রফাইল অথবা একটি নতুন পেজ তৈরি করে সেখানে ভিডিও আপলোড করতে হবে। এছাড়া ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে হলে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে এবং ভিডিও আপলোড করতে হবে। যখন ভিউ পাওয়া শুরু হবে এবং সমস্ত কাইটেরিয়া পূরণ হবে তখন মোনিটাইজেশন পেলে ভিডিওতে অ্যাড দেখানো শুরু হবে এবং অ্যাড থেকে রেভিনিউ জমা হবে।
আপনি চাইলে ইউটিউবে সার্চ করে কিভাবে চ্যানেল তৈরি করতে হয়, কিভাবে ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং সেই সাথে কিভাবে ভিডিও এডিটিং করতে হবে সমস্ত কিছু বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
আর্টিকেল লিখে আয়
ইন্টারনেট আবিস্কার হওয়ার পরে যখন ওয়েবসাইটের প্রচলন আসে তখন থেকেই আর্টিকেল রাইটিং অনেক বেশী জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করে। আর্টিকেল বিষয়টি জানতে হলে একটু মনোযোগ দিতে হবে, এই যে আপনি এই ব্লগটি পড়ছেন এটি হচ্ছে আর্টিকেল।
গুগলে সার্চ করলে হাজার হাজার ওয়েবসাইট চলে আসে এবং হাজার ধরণের সমস্যা সম্পর্কিত পেজ চলে আসে এবং সেই সমস্ত পেজ গুলোতে প্রবেশ করলে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায় আর এগুলোকেই আর্টিকেল বলে।
আপনি নিজে চাইলে এমন ওয়েব পেজ তৈরি করে সেখানে লেখালেখি করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। আর্টিকেল রাইটিং করে কয়েকটি পন্থায় টাকা আয় করা যায় সেগুলো মধ্যে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিন।
নিজের একটি ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট বিল্ড করে সেখানে আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করা যাবে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং সেই সাথে সেখানে আপনি যে বিষয় নিয়ে ইন্টারেস্টেড সেই বিষয় গুলো নিয়ে লেখা লেখি করতে হবে এবং গুগল বা অন্য কোন মাধ্যম থেকে অ্যাডসেন্স নিতে হবে ও সেই অ্যাড থেকে টাকা আয় হবে।
কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় এবং ডিজাইন করতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে আমাকে কল করতে পারেন। কল করার জন্য ফুটারে দেয়া মোবাইল নাম্বারে কল করতে পারেন অথবা ফেসবুকে মেসেজ করতে পারেন। ব্লগ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো এবং সেই সাথে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি পরিমাণ খরচ হবে সমস্ত কিছু বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেয়া হবে।
এছাড়াও আর্টিকেল রাইটিং শিখলে এবং কাজ করলে এসইও শেখা যায়। বর্তমানে নিজের ব্যবসা অথবা ব্রান্ডিং করার জন্য আর্টিকেল লিখিয়ে থাকে এবং অনেকে ফ্রিলান্সার রয়েছেন যারা আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে ফ্রিলান্সিং করে লাখ টাকা আয় করে থাকে।
তাই আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে আপনি নিজের একটি ভালো মানের ক্যারিয়ার তৈরি করে ফেলতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় পেশা গুলোর মধ্যে একটি পেশা হচ্ছে ফ্রিলান্সিং। ফ্রিলান্সিং পেশা অধিক জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণ হচ্ছে নিজের খেয়াল খুশিমত কাজ করা যায় কারণ ফ্রিলান্সিং পেশাটি হচ্ছে মুক্ত পেশা।
বাংলাদেশের অনেকেই এখন ফ্রিলান্সিং পেশার সাথে জড়িত রয়েছে। যেকোনো ভালো একটি কাজ শিখে সেটি নিয়ে ফ্রিলান্সিং করলে মাসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। এর পূর্বে ফ্রিলান্সিং কি এবং ফ্রিলান্সিং শেখার জন্য কোন কোন মাধ্যম রয়েছে সমস্ত কিছু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা রয়েছে চাইলে সেটি দেখে নিতে পারেন।
প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে মানুষের কাজের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে এবং সেই সাথে নিজে কাজ গুলো না করে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্রিলান্সারদের দিয়ে কাজ গুলো সম্পাদন করিয়ে থাকে যার ফলে অনলাইন জগতে ফ্রিলান্সারদের চাহিদা অনেক উর্ধে।
ব্যাসিক লেভেলে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারলে এবং সেই সাথে ইংরেজি পড়তে পারলেই যে কন ব্যাক্তির দ্বারা ফ্রিলান্সিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। বিশ্বে অনেক মার্কেট প্লেস রয়েছে যেখানে ফ্রিলান্সিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব।
ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ফ্লায়ার ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, এসইও এর মত হাজার প্রকার কাজ রয়েছে যেগুলোর মধ্যে একটি কাজ শিখে নিতে পারলে অনায়াসেই ফাইবার, ফ্রিলান্সার এর মত বড় মড় মার্কেট প্লেস থেকে কাজ করার মাধ্যমে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
বিশ্ব বাজারে ফ্রিলান্সিং এর জন্য কোন কোন কাজ অধিক জনপ্রিয় এবং কাজ গুলো কিভাবে শেখা যাবে সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে চাইলে সেটি দেখেনিন অনেক বেশী উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম
সময়ের পরিবর্তন হওয়ার কারণে প্রযুক্তি সবার হাতে হাতে পৌঁছে গিয়েছে হয়ত তার দরুন বর্তমান সময়ে দোকানের পরিবর্তে এখন ব্যবসা হচ্ছে ফেসবুকে। একটি পেজ তৈরি করার মাধ্যমে অথবা নিজের ফেসবুক প্রফাইলে প্রডাক্টের ছবি আপলোড করে সেগুলো বিক্রি করা সম্ভব।
কিন্তু এখানে একটি বিষয় রয়েছে যেকোনো শুধুমাত্র প্রডাক্টের ছবি আপলোড করলেই বিক্রি হবেনা কারণ ছবি আপলোড করলেই কাঙ্ক্ষিত কাস্টমারের কাছে যাবেনা যার ফলে সেল হবেনা। তাই পন্য গুলো কাঙ্ক্ষিত কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে হলে মার্কেটিং করতে হয়।
লোকালভাবে কোম্পানির পন্য গুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য এসআর বা মার্কেটিং অফিসার হায়ার করতে হয় এবং তারা লোকালভাবে পন্য গুলো মার্কেটিং করার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়।
ঠিক একইভাবে ফেসবুকে কোন একটি নতুন পন্য মানুষের কাছে দিয়ে বিক্রি করতে হলে সেগুলো মার্কেটিং করতে হয়। মার্কেটিং করার জন্য পোস্ট গুলোকে সঠিভাবে ক্যাম্পেইন এবং বুস্ট করতে হয়। আর সঠিকভাবে বুস্ট করতে পারলে সঠিক কাস্টমারের কাছে যায় এবং সেগুলো সেলিং করে ব্যবসায়ীরা ভালো মানের টাকা আয় করতে পারে।
ফেসবুকে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অন্যদের পন্য সেল করে দিয়ে টাকা আয় করে থাকে। বিশেষ করে অনেক প্রফেশনাল ফেসবুক মার্কেটার রয়েছে যারা ফেসবুকে রিসার্চ করার মাধ্যমে সঠিক পন্য সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকে এবং তার বিনিময়ে কিছু পরিমাণ টাকা চার্জ করে থাকে।
এছাড়াও ফ্রিলান্সিং মার্কেট প্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করে ভালো মানের টাকা আয় করা সম্ভব। তাই চাইলে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং শেখার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে ভালো মানের টাকা আয় করার পাশাপাশি ফ্রিলান্সিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।
তাই আপনি এই পেশাটিকে বেছে নিতে পারেন কেননা ফেসবুক মার্কেটিং তেমন কঠিন কোন বিষয় নয় চাইলে মাত্র কয়েকদিন সময় ব্যয় করে এই কাজটি শিখে নিতে পারেন।
অনলাইন সার্ভে করে অনলাইন ইনকাম
বর্তমান সময়ের অনালাইন সার্ভে আরও একটি জনপ্রিয় পেশা। সার্ভে বলতে কোন কিছুর জরিপ করাকে বোঝানো হয়। ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় অনেকে অনেক ধরণের প্রশ্ন করে থাকে এবং সেই সমস্ত প্রশ্নে ও প্রশ্নের উত্তর কিছু নির্ধারিত মানুষের কাছে থেকে সংগ্রহ করার মাধ্যমে অনলাইন সার্ভে বলে।
অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের সার্ভে হয়ে থাকে যেমন কোন একটি কোম্পানির পন্য বা সার্ভিস সম্পর্কে অনলাইনে প্রশ্ন উত্তর হয়ে থাকে ও রেটিং দিতে হয় আর এটিকেও সার্ভে বলে। অনেক ফ্রিলান্সার রয়েছে যারা অনলাইনে সার্ভে করেই মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অনলাইন সার্ভে বৈধতা পায়নি যার ফলে প্রিমিয়াম ভিপিএন এবং প্রক্সি ব্যবহার করার মাধ্যমে ইউনাইটেড স্টেট বা বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশ গুলোর ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সার্ভে করা যায় এবং ইনকাম করা টাকা ব্যাংক অথবা কার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসা যায়।
যদিও বাংলাদেশে অনলাইন সার্ভের বৈধতা নেই কিন্তু আপনি সার্ভে করলে সরকারীভাবে কোন প্রকার সমস্যা হবেনা কারণ ইন্টারন্যাশনালী এটি কোন অবৈধ কাজ নয়। তাই চাইলে আপনি এই পেশাটি শিখে নিতে পারেন।
অনলাইনে ফটোগ্রাফি করে ইনকাম
আপনি যদি কোন কিছু সুন্দর ছবি বা কম্পিউটার মনিটরের জন্য ছবি ডাউনলোড করতে চান তাহলে গুগলে সার্চ করে থাকেন। গুগলে যে সমস্ত ছবি রয়েছে সেগুলো বেশীরভাগ ফ্রি হয়ে থাকে। কিন্তু এমন অনেক ছবি রয়েছে যেগুলো মানুষ টকা দিয়ে কিনে থাকে।
সাটারস্টক সহ অনেক গুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ছবি বিক্রি হয়ে থাকে। বিশ্বের মধ্যে অনেক প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার রয়েছে যারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় ছবি তুলে এবং সেই সমস্ত ছবি গুলো অনলাইনে বিক্রি করে থাকে।
প্রতিটি ছবি বেশ ভালো দামে বিক্রি হয়ে থাকে। আপনার হাতে যদি ভালো ক্যামেরার ফোন অথবা ক্যামেরা থাকে তাহলে আপনি চাইলে ছবি তুলে সেই ছবি গুলো বিক্রি করে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি কিছু ছবি তুলে সেগুলো আপলোড করে দেখতে পারেন ছবি গুলো সেলিং হয় কিনা?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম
অধিক কষ্ট ব্যতিত অনলাইন থেকে টাকা আয় করার মত একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বিশ্বের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অনলাইনে অন্য মার্কেটারদের দিয়ে তাদের পন্য গুলো বিক্রি করে থাকে এবং সেই বিক্রির বিনিময়ে কিছু পরিমাণ লভ্যাংশ তাদের সাথে শেয়ার করে থাকে।
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেকে দেশের যুবকেরা অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করছে। এখন যেহেতু ই-কমার্স এর যুগ তাই যেকোনো পন্য মানুষ অনলাইন থেকে কিনতে অধিক সাচ্ছন্য বোধ করে থাকে।
আর এই সুযোগে অ্যামাজোন এর আলিবাবার মত ওয়েবসাইট গুলোর পন্য সেল করে অনেকেই ভালো মানের টাকা আয় করছে। শুধু যে, পন্য বিষয়টি তা নয় কারণ সফটওয়্যার থেকে শুরু করে যেকোনো গ্যাজেট সব কিছুই বিক্রি হয় আর সেই সমস্ত পন্য গুলো বিক্রি করে অ্যাফিলিয়েট প্রগ্রাম থেকে ভালো মানের আয় করা সম্ভব।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে হলে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান অ্যাফিলিয়েট প্রগ্রাম প্রভাইড করে থাকে তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রগামে জয়েন হয়ে নিজের পছন্দ মত পন্য বাছাই করে ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউইব চ্যানেল, ফেসবুক গ্রুপ, নিজের প্রফাইলে আপলোড করে ভালো মানের ইনকাম করা সম্ভব।
কেও যদি ধৈর্য ধারণ করে দিনের পর দিন পোস্ট করতে থাকে এবং পোস্ট গুলো সঠিক এসইও করে তাহলে এক সময় দেখা যাবে ভালো মানের ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছেনা। যেকোনো কাজ প্রথম দিকে সফলতা না মিললেও ধৈর্য ধারণ করে কাজ চলতে থাকলে একদন সফলতা সম্ভব।
অনলাইন ব্যবসা করার মাধ্যমে আয়
এখন যেহেতু অনলাইনের যুগ তাই চাইলেও ঘরে বসে অনলাইন পন্য সেলিং করার মাধ্যমে ভালো মানের টাকা আয় করা সম্ভব। জামা কাপড় থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পন্য অনলাইন থেকে কেনা যায়। বাংলাদেশের অনেকেই রয়েছেন ফেসবুক এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার অনালাইনে ব্যবসা করার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করিয়ে নিয়েছে।
অনেকে তরুন উদ্যক্তা রয়েছে যারা ফেসবুক পেজ থেকে ব্যবসা করার মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেছে। চাইলে আপনি নিজেও ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
প্রতিনিয়ত মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হচ্ছে এবং যে জিনিসপত্র গুলো দোকানে গিয়ে সরাসরি কিনতে হত এখন সেই জিনিসপত্র গুলো অনলাইনে ঘরে বসেই কেনা যাচ্ছে। এখন চাইলের রান্না করা ছাড়া নিজের পছন্দের খাবার অনলাইন থেকে অর্ডার করা যায় এবং কিছু সময়ের মধ্যেই গরম খাবার হাতে পাওয়া যাচ্ছে।
এখন অনলাইন মাধ্যম হওয়ার কারণে এতটা সহজলভ্য হয়েছে যে, চাইলেই যেকোনো কিছু হাতে পাওয়া সম্ভব। তাই এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আপনি নিজেই অনলাইনে ব্যবসা করার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করে নিতে পারেন।
অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে পন্য বাছাই করতে হবে। আপনাকে বেশ কিছুদিন পন্য নিয়ে রিসার্চ করতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে কোন কোন পন্য অনলাইনে বেশী সেলিং হয় এবং সেই সাথে চেষ্টা করবেন ইউনিক আইডিয়া নিয়ে কাজ করার।
এখন অনেকেই অনলাইনে শশ্য পন্য, মাছ, মুরগি, মধু, আতর, টুপি, টি-শার্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি, প্যান্ট, ঘড়ি, বই ইত্যাদি পন্য বিক্রি করছে। তাই আপনি একটি ইউনিক আইডিয়া নিয়ে কাজ করুন তাহলে অতি দ্রুত সফল হতে পারবেন।
অনলাইনে শিক্ষা প্রদান করে আয়
সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে শিক্ষা ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন কারণ এখন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়েও ভালো ঘরে বসে মোবাইল এবং কম্পিউটার ব্যবহার করে ক্লাসে উপস্থিত হওয়া যায়। যেকোনো বিষয় সার্চ করলেই খুজে পাওয়া যায়।
অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে ভালো মানের টাকা আয় করছে। এখন চাইলেই সরাসরি .টিউশনে না গিয়েই ঘরে বসে কোর্স করার মাধ্যমে নিজের শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়া যায়।
১০ মিনিট স্কুল প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছে হাজার হাজার কোর্স বিক্রি করছে চাইলেও আপনিও এমন একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করতে পারেন। এমন একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করতে হলে অনেক টাকার দরকার আই একজন বিগিনার হওয়ার ফলে নিজের পক্ষে অনেক টাক ইনভেস্ট করা সম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে নিজেই একটি ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য ভিডিও তৈরি করে আপলোড করা শুরু করুন এবং যখন দেখবেন পপুলার হয়েছেন তখন ভালো শিক্ষকদের কাছে থেকে কোর্স তৈরি করে নিয়ে সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন।
এছাড়াও ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে মনিটাইজেশন থাকলে সেখান থেকে ভালো মানের টাকা আয় করা সম্ভব। তাই আপনি শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে ইনকাম
বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার মধ্যে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব কারণ ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে মনিটাইজেশন নেয়া যায় এবং গুগল অ্যাড থেকে ইনকাম করা যায়।
অনেক ইউটিউবার রয়েছে যারা শুধুমাত্র ইউটিউব থেকে লাখ টাকা আয় করে থাকে। ইউটিউবে এমন কোন ক্যাটাগরি নেই যে, সেই অনুযায়ী ভিডিও পাওয়া যায়না। তাই চাইলে আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমেও টাকা আয় করতে পারেন।
ইউটিউবে শুধুমাত্র মনিটাইজেশন থেকে ইনকাম করতে হবে বিষয়টি তেমন নয় অনেক ধরণের প্রমোশন এর মাধ্যমে ভালো মানের টাকা আয় করা যায়। যে সমস্ত ইউটিউবারদের চ্যানেলে অনেক পরিমাণ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে তাদেরকে বিভিন্ন কোম্পানি প্রমোশন করার জন্য মেসেজ ও কল দিয়ে থাকে। এই প্রমোশন করার মাধ্যমে ভালো অংকের টাকা আয় করা সম্ভব। আরও