অনলাইন ইনকাম

ওয়েব ডিজাইন কি ? ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার A to Z গাইডলাইন

ওয়েব ডিজাইন কি -বর্তমান দুনিয়াটা যযেন মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে আর সব কিছুই বাস্তবে রূপ নিয়েছে শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের কারণে। আপনি গুগল থেকে যে বিষয় লিখে সার্চ করবেন সেই তথ্য আপনার সামনে প্রদ্র্শিত হিবে এবং তথ্য গুলো জানতে পারবেন এবনং সংগ্রহ করতে পারবেন।

চছোট থেকে শুরু করে বড় প্রায় প্রতিটি প্রতিসষ্ঠানের রয়েছে ওয়েবসাইট। আপনি এই যে আর্টিকেলটি পড়ছেন এটিও একটি ওয়েবসাইট। আপনি যে গুগল, ফেসবুক ব্যববহার করেন সেটিও একেকটি ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে সেখান থেকে আপনি সমস্ত কিচছু বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।

আপনি যে ওয়েবসাইট গুলো দেখে থাকেন সেগুলোর ডিজাইন বা আউটলুক কিন্তু আলাদা আলাদা। আর সমস্ত ওয়েবসাইট অভিজ্ঞ ডিজাইনার দিয়ে ডিজাইন করে নেয়া হয়েছে। দিন যত সামনের দিকে যাবে ওয়েবসাইটের চাহিদা ততই বাড়তে থাকবে তাই আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার হতেই পারেন।

তাই আজকের এই আর্টিকেলে সমস্ত কিছু ধাপে ধাপে সাজিয়ে বলা রয়েছে যেগুলো ফলো করলে কিভাবে একজন প্রফেসশনাল ওয়েবডিজাইনার হওয়া যায় সেটি জানতে পারবেন। যেমন আপনি জানতে পারবেন, ওয়েবসাইট কি, ওয়েব ডিজাইন কি এবং কিভাবে প্রফেসশনাল ওয়েবডিজাইনার হওয়া যায় তার সমস্ত কিছু।

ওয়েব সাইট কি?

 আপনাকে প্রথম যে বিষয়টি জানতে হবে সেটা হল ওয়েব ডিজাইনটা কি? আপনার যদি ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকে তাহলে আপনি কোনদিন ওয়েব ডিজাইনার হতে পারবেন না। তাই আপাকে আমি খুব সহজভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি ওয়েব সাইট কি?

এই যে আপনি এই লেখাগুলো পড়ছেন, খেয়াল করবেন , আপনি যে জায়গা থেকে লেখাগুলো পড়ছেন সেটাই মূলত একটা ওয়েব সাইট। আপনি হয়ত প্রতিদিন ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল ব্যবহার করে থাকেন। আর এই সবগুলোই মূলত এক একটা ওয়েব সাইট। এই রকম অসংখ্য ওয়েব সাইট রয়েছে পৃথিবীতে।

এক কথায় ওয়েব সাইট বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা হল, ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা যে যায়গায় অনেক তথ্য রাখতে পারি এমনকি যেকোনো সময় দেখতে এবং ব্যহার করতে পারি সেটাই হল ওয়েব সাইট। ওয়েবসাইট হল ভার্চুয়াল একটি তথ্য ভাণ্ডার এবং যোগাযোগ মাধ্যম।

ওয়েব সাইট বলতে অনলাইন এমন একটি প্লাটফর্মকে বোঝায় যযেখানে অসংখ্যা পরমাণে তথ্য জমা রাখা যায় এবং পরবর্তীতে সেগুলো পরিবর্তন ও জমা রাখা যায়। আশা করছি বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার ধারণা হয়েছে।

ওয়েব ডিজাইন কি?

আপনি ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে, ওয়েব সাইট কি? এখন আমি আপনাকে জানতে হবে ওয়েব ডিজাইন কি ? এইযে, আপনি যে জায়গা থেকে লেখাগুলো পড়ছেন আপনি একটু খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন লেখাগুলো খুব সুন্দর এবং ক্রমানুসারে সাজানো আছে তাতে আপনার পড়তে অনেক সুবিধা হচ্ছে।

একদম উপরে দেখুন ক্রমানুসারে কিছু মেনু দেয়া আছে এমন কি অনেক ছবি আছে। কিছু ছবি বা লেখা উপরের দিকে বা ডান দিকে বা বাম দিকে অথবা নিচের দিকে আছে। আর এই ক্রমানুসারে সাজানোটাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন।বিভিন্ন্য রকম রঙ, লেখা ইত্যাদি যোগ করে একটা লে-আউট তৈরি করাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন।

আরওঃ ফেসবুক থেকে আয় করার যত সব সহজ উপায়

এক কথায় বলতে গেলে একটা ওয়েব সাইটের বাহ্যিক রূপ হল ওয়েব ডিজাইন। ওয়েবসাইটা দেখতে কেমন হবে , কোথায় কি দেখাবে, লেখাগুলো কেমন হবে, ছবি গুলো কেমনভাবে দেখাবে, এই সব গুলোর এক গুচ্ছ পরিসংখ্যানই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন।

একটি ওয়েবসাইটকে সুন্দর একটি রূপ দান করার নাম হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। পৃথিবীতে যত গুলো ওয়েবসাইট রয়েছে প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য আলাদা আলাদা ডিজাইন করার দরকার হয়ে থাকে।

ওয়েব ডিজাইনার কি?

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর যে ব্যাক্তি সেই ওয়েবসাইটটি ডিজাইন করে থাকে। অর্থাৎ যে ব্যাক্তি একটি ওয়েবসাইটের ইউজার ইন্টারফেজ তৈরি করে থাকে তাকেই বলা হয় ওয়েব ডিজাইনার।

যে ওয়েবসাইট ডিজাইন করে থাকে তাকেই ওয়েব ডিজাইনার হলা হয়। আপনি যদি আপনার লেখা গুলো পড়া শেষ করে কাজ করা শুরু করেন তাহলে আপনিও একজন প্রফেশনাল ওয়েবডিজাইনার হতে পারবেন।

আপনি প্রফেশনাল ওয়েব ডিজানার হওয়ার জন্য যে সমস্ত গাইডলাইন দেয়া থাকবে সমস্ত গাইডলাইন ফলো করতে পারলেই আপনি হতে পারবেন একজন দক্ষ্য ওয়েব ডিজাইনার।

ওয়েব ডিজাইন কেন প্রয়োজন?

  • ওয়েবপেজ, ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশনের প্রাথমিক লেআউট তৈরি করার জন্য
  • প্রজেক্টের জন্য অ্যানিমেশন, গ্রাফিক্স অথবা যেকোনো ধরনের ডিজিটাল ফটোগ্রাফি যুক্ত করা যায় এবং কাস্টমার আগ্রহ বাড়ানো যায়।
  • নিজের ব্যবসাকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরা যায়।
  • গুগল অথবা যেকোনো মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরা যায়।
  • নিজের ব্যবসার ব্রান্ড ভ্যালু বাড়ানো যায়।
  • কাস্টমার বা ব্যবহারকারীর কাছে সহজেই নিজেদেরকে তুলে ধরা যায়।
  • খুব সহজেই মার্কেটিং করার মাধ্যমে ব্যবসা বৃদ্ধি করা যায়।
  • নিজের একটি ব্রান্ড ইম্প্রশন তৈরি করে।
  • গ্রাহক এবং ব্যবহারকারীদের কাছে নিজের বিশ্বস্ততার পরিচয় করিয়ে দেয়।

ওয়েব ডিজাইন শিখতে শিক্ষাগত যোগ্যতা

চাকরি থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আসে। তাই অনেকে স্টুডেন্টের মনের মধ্যে থেকে যায় ওয়েব ডিজাইন শিখতে তার কি পরিমাণ শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা দরকার।

অনের ধারনা থাকে যে, একজন ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে কম্পিউটার সায়েন্স এর ছাত্র হতে হবে অথবা সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড হতে হবে নতুবা অনার্স পাশ থাকতে হবে। এই ধারণা কি আসলেই ঠিক? না ধারণাটি একদম ভূল কারণ,

কেননা ওয়েবডিজাইন শিখতে হলে আপনার ওয়েবসাইট কি, ওয়েব ডিজাইন কি, কীভাবে ডিজাইন করতে হয়, কোন কোন বিষয় গুলো জানতে হয় এই সম্পর্কিত সাধারন জ্ঞান থাকলেই যে কোন অবস্থান থেকেই আপনি ওয়েব ডিজাইনারে হতে পারবেন।

আরও দেখুনঃ ঘরে বসে আয় করুন প্রতিদিন ২০$

আপনি বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসা শাঁখা, বিএম যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই একজন ওয়েব ডিজাইনারে এবং ডেভেলপার হতে পারবেন। তাই ক্রমানুসারে লেখা গুলো পড়তে থাকুন তাহলে আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।

ওয়েব ডিজাইন শিখতে যে বিষয়গুলো জানতে হবে

একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে বেশ কিছু বিষয় জানতে হবে। আর বিষয় গুলো যদি একবার রপ্ত করে নেয়া যায় তাহলেই সহজেই ওয়েব ডিজাইন শিখে নিজের ভালো একটি ক্যারিয়ার ডেভেলপ করে নেয়া যায়।

যে সমস্ত বিষয় গুলো জানতে হবে,

  • HTML
  • CSS
  • JAVA SCRIPT
  • J-QUERY
  • BOOTSTRAP

আরওঃ যে কাজ শিখলে ফ্রিলান্সিং করা যায়

HTML (এইচ টিএম এল)

ওয়েব ডিজাইন কি
ওয়েব ডিজাইন কি

আপনার সর্বপ্রথম HTML সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে। আসুন জেনে নেই HTML কি?

HTML এর পূর্ণরূপ হল Hyper Text Markup Language এর মানে হল উচ্চ মাপের মার্কাপ ভাষা। যার মাধ্যমে ওয়েব সাইট এর ফ্রেম তৈরি করা হয়। অর্থাৎ ওয়েব সাইট এর কঙ্কাল তৈরি করা হয় হয়।

যদি না বুঝে থাকেন তাহলে একটু ভালোভাবে খেয়াল করুন। আপনি হয়তো মানুষের কঙ্কাল দেখেছেন, চামড়া, মাংস ছাড়া কেমন দেখায়। ঠিক তেমনি HTML দিয়ে শুধুমাত্র ওয়েব সাইটের কঙ্কাল তৈরি করা হয়। আর CSS ব্যবহার করে একটা পরিপূর্ণ রূপ দেয়া হয়।

আপনি যে ওয়েবসাইটের মধ্যে লেখা গুলোর বিভিন্ন আকৃতি দেখেন, ছবি গুলো দেখান, ভিডিও দেখান সেগুলো মূলত এইচটিএম এল ট্যাগের মধ্যে রাখা হয়। আর ওয়েবসাইট ডিজানের মূল বা প্রথম ধাপ হচ্ছে এইচটিএমএল শেখা।

CSS (সি এস এস)

একটি ওয়েবসাইট ডিজানিন করার মূল হাতিয়ার হচ্ছে জাভা সিএসএস। ওয়েবসাইটের রূপ দেয়ার জন্য যে ভাষাটি জানতে হবে সেটিই হচ্ছে সিএসএস। তাই আপনাকে অবশ্যই CSS সম্পর্কে অনেক ভালো ধারণা থাকতে হবে কারন আপনি যে ডিজাইনটা করবেন সেটা মূলত CSS ব্যবহার করেই করা হয়।

আপনি এই পৃথিবীতে যত গুলো ওয়েবসাইট দেখবেন সব গুলোর ডিজাইন করা হয়েছে CSS ব্যবহার করার মাধ্যমে। এখানে হয়ত কিছু প্রগ্রামিং ভাষা এবং প্লাগিং এর ব্যবহার হবে। যখন শিখতে শুরু করবেন তখন ধাপে ধাপে নিজেই সমস্ত কিছু বুঝতে পারবেন।

আরও দেখুনঃ ফ্রিলান্সিং কি এবং কেন? মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়

জেনেনিন CSS কি ?

CSS এর পূর্ণরূপ হল Cascading Style Sheet এটি ব্যবহার করা হয় ওয়েব সাইট কে ডিজাইন বা সুন্দর ভাবে রূপ দেয়ার জন্য। সহজ ভাষায় বললে ওয়েবসাইটে কি রঙ ব্যবহার করতে হবে, কি ফন্ট ব্যবহার করলে লেখাগুলো ভালো ভাবে দেখাবে, পোস্ট গুলো কীভাবে দেখাবে, ছবি গুলো কীভাবে দেখাবে , ভিডিও কোথায় রাখবেন এবং কেমন ভাবে দেখাবে, একটা পেজ বা হোম পেজকে কেমন দেখাবে তার সব কিছু এই CSS এর উপর নির্ভর করে।

একজন ডিজাইনার সূক্ষ্য ভাবে সব কিছু করে থাকে। আপনি যখন CSS শিখবেন তখন আপনি এই কাজ গুলো খুব সহজেই করতে পারবেন । ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই, আপনি একটু অনুশীলন করেলেই খুব সহজেই শিখতে পারবেন।

Javascript (জাভা স্ক্রিপ্ট)

Javascript কে বলা হয় স্ক্রিপ্টিং প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। এটি একটি প্রোগ্রামিং ভাষা , হয়ত ভাবছেন প্রোগ্রামিং ভাষা অনেক কঠিন আমি কীভাবে শিখব? ভয় পাওয়ার কিছুই নেই , আমি আগেই বলেছি ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই, আপনি একটু অনুশীলন করেলেই খুব সহজেই শিখতে পারবেন।

এখন আসি মূল কথায়, আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইন করলেন, ধরুন আপনি অনেক দিন কষ্ট করে একটা সুন্দর এবং আপনার মনের মত করে ঘর তৈরি করলেন কিন্তু আপনার ঘরের মধ্যে কোন বাতি বা বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেন না তাহলে কেমন হবে, আপনার ঘরের ফ্যান, বাতি কিছুই কিন্তু চলবে না, যদিও আপনি সব কিছু লাগিয়ে রেখেছেন।

ঠিক তেমনি Javascript ব্যবহার করে আপনার ডিজাইন করা ওয়েবসাইটটিকে ফাংশনালি ডেভেলপ করে সাইটের রূপ কে অনেক গুন সুন্দর করা যায়। যেমন আপনি দেখে থাকবেন, কিছু কিছু সাইট ব্রাউজ করার সময় একপাশে ডার্ক মুড অপশন থাকে এবং ক্লিক করলে ডার্ক মুড হয়ে যায়। আপনি Javascript শিখলে এটা আপনি নিজেই করতে পারবেন।

J-query (জে-কুয়েরি)

Jquery হল Javascript এর বিকল্প। এটাকে জাভাস্ক্রিপ্ট এর ফ্রেমওয়ার্ক বলা হয়। আপনি জাভা ক্রিপ্ট এর সব কাজ এই জে-কুয়েরি দিয়ে করতে পারবেন।জাভাস্ক্রিপ্ট এর আগে থেকে লেখা কোড ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে খুব সহজে ব্যবহার করার একটা মাধ্যম।

আপনি Javascript ব্যবহার করে আপনি যে কাজটি ৩০ মিনিটে করবেন সেই কাজ আপনি Jquery ব্যবহার করে ১০ মিনিটে করতে পারবেন ,তাই প্রতিটি ডিজাইনার বেশীরভাগ সময় Jquery ব্যবহার করে থাকে। আপনাকে Jquery শিখতে হবে অবশ্যই, প্রথমে আপনাকে Javascript শিখতে হবে কারন আপনি যদি Javascript না শিখেন তাহলে কিন্তু Jquery কিছু বুঝতে পারবেন না তাই আপনাকে Javascript প্রথমে শিখতে হবে।

আপনি Javascript শেষ করার পর এমনিতেই বুঝতে পারবেন Jquery কি এবং কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।

Bootstrap (বুটস্ট্রাপ)

উপরের সব গুলো শেষ হলে আপনাকে Bootstarp শিখতে হবে। Bootstrap হল CSS এর একটি ফ্রেমওয়ার্ক । রেস্পন্সিব অর্থাৎ কম্পিউটার এবং মোবাইল এর জন্য ব্যবহার যোগ্য ডিজাইন করার জন্য বুটস্ট্রাপ হল একটি জনপ্রিয় ফ্রেমওয়ার্ক।

আপনি বুটস্ট্রাপ ব্যবহার করে খুব সহজে এবং কম সময়ে ওয়েব সাইট ডিজাইন করতে পারবেন। এটাতে আগে থেকেই ডিজাইন করা থাকে আপনাকে শুধু ব্যবহার করা শিখতে হবে।

এটা শেখার জন্য আপনাকে কিছু টিউটোরিয়াল দেখতে হবে, যেগুলো আপনি পাবেন ইউটিউবে। এছাড়াও আপনি গুগল থেকে সার্চ করে অনেক ধরণের টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন।

প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার সমুহ

ওয়েব ডিজানের কাজ শেখার জন্য কিছু সফটওয়্যার এবং টুলস এর দরকার হয়ে থাকে। কারণ আপনি নিজে যে বিষয় গুলো লিখবেন বা যে কোড গুলো লিখবেন সেগুলো মূলত ওয়েবসাইটে বা ওয়েব ব্রাউজারে দেখাবে। আর কোড গুলো লেখার জন্য কিছু সফটওয়্যার বা টুলস এর দরকার হয়ে থাকে। যেমন,

Notepad++, Visual studio code, Sublime text, Atom এর মধ্যে যেকোনো একটা ব্যবহার করলেই হবে।ব্যসিক অবস্হায় আপনাকে অবশ্যই Notepadd++ ব্যবহার করতে হবে। আপনি গুগল থেকে Notepad++ লিখে সার্চ করলেই ডাউনলড করতে পারবেন।

উপরোক্ত বিষয় গুলো আপনি শিখতে পারলেই আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার হতে পারবেন।তাই দেরি না করে আজ থেকেই প্রাকটিস / অনুশীলন শুরু করুন। আপনি যদি কষ্ট করে একজন ভালো মানের ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনি ভবিষ্যৎ খুব ভালো ভাবে কাটাতে পারবেন।

কেননা মার্কেট প্লেস সহ অনেক কোম্পানি গুলোতে প্রতিনিয়ত ওয়েব ডিজাইনার প্রয়োজন হচ্ছে। আপনি যদি ভালো কিছু করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই খুব ভালোভাবে কাজ গুলো শিখতে হবে, কারন আপনি যদি ভালো কাজ করতে না পারেন আপনি কোথাও কাজ করতে পারবেন না ।

তাই আমি আপনাকে এতটুকু বলতে চাই,

কাজ শিখতে হলে একদম মন থেকে কাজ শিখতে হবে এবং কাজটিকে ভালবাসতে হবে। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে কিছু দিন কষ্ট করে ভালো একজন ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনাকে জীবনে কিছু ভাবতে হবে না।

আমার দেয়া স্টেপ অনুযায়ী কাজ শিখতে শুরু করুন ইনশাল্লাহ সফলতা আসবেই।

শেখার সময় যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হবে

একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করার পাশাপাশি ওয়েবসাইটটি কেমন হবে। সাইটের লে-আউট কেমন হবে? সাইটটি রেস্পন্সিভ হল কিনা এবং সেই সাথে ওয়েবসাইটটির কার্জকারিতা কি কি রয়েছে সমস্ত বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

তাই চলুন জেনে নেয়া যাক একটি সাইট ডিজানের সময় যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হয়,

১। একটি ওয়েবসাইটকে দেখতে কেমন লাগবে এবং সেই সাথে ওয়েবসাইটটির মধ্যে কি কি কন্টেন্ট যুক্ত থাকবে এবং সেগুলো কেমন দেখাবে সেতি ঠিক করার জন্য একজন কনটেন্ট রাইটার এবং ডিজাইনারদের নিয়ে টিম ওয়াইজ কাজ করতে হবে। আর বিশেষ করে আপনি যখন কোন একটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করবেন তখন দরকার হবে ব্যাসিক লেভেলে এগুলোর কোন দরকার নেই।

২। ওয়েব সাইটে অবশ্যই মান সম্পন্য ফ্রন্ট ব্যবহার করতে হবে যেন লেখাগুলো ভালোভাবে প্রদর্শন করে এবং সেই সাথে রঙ, ছবি ভিডিও গুলো সংগ্রহ করতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে।

৩। কালার কম্বিনেশনের দিকে অনেক বেশী নজরদারি করতে হবে। মনে রাখবেন একটি ওয়েবসাইটের সুন্দরতা বৃদ্ধি করার জন্য কালার কম্বিনেশন অনেক বেশী জরুরী। আপনি কোন সময় এমন রঙ ব্যবহার করবেননা যে রঙ ব্যবহার করলে ওয়েবসাইট দেখতে একদম বাজে হবে।

৪। ওয়েবসাইটের লে-আউট দেয়ার সময় অনেক বেশী খেয়াল করতে হবে। লে-আউট বলতে লেখা গুলো কত বড় হবে, কেমন দেখাবে এবং সেই সাথে ছবি ও ভিডিও গুলো কিভাবে শো করবে সমস্ত কিছুই লে-আউটের মধ্যে রয়েছে। লে-আউট সহজ ভাষায় ওয়েবসাইটের বাহ্যিক রূপকে বোঝায়।

৫। বিভিন্ন ধরণের শেইপ এর ব্যবহার শিখতে হবে। একটি ওয়েবসাইটের আউটলুক ভালো দেখতে হলে বিভিন্ন ধরণের লে-আউট দিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে ওয়েবসাইটের ইমেজ এবং ভিডিও শো করার জন্য শেইপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা একটি ওয়েবসাইটকে আকর্ষণীয় কর তুলে।

৬। যদি বলি ওয়েব ডিজাইনের প্রধান উপাদান কি তাহলে বলবো স্পেসিং। একটি ওয়েবসাইটকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হলে আপনাকে স্পেসিং ব্যবহার করতে হবে। স্পেসিং বলতে একটি লেখা থেকে অন্য একাটি লেখার দূরত্ব কত হবে? ছবি থেকে ছবির দূরত্ব কত হবে, একটি বাটন থেকে অন্য একটি বাটনের দূরত্ব কত হবে কতটা দূরত্ব বজায় রাখলে লে আউট সুন্দর দেখাবে সেটিকেই বুঝিয়ে থাকে।

৭। ওয়েবসাইটের ডিজাইন করার সময় বিভিন্ন ধরণের আইকন ব্যবহার করা হয়। সঠিক জায়গায় সঠিক আইকনের ব্যবহার শিখতে হবে এছাড়াও এমন কিছু ফ্রি স্টক ফটো ব্যবহার করতে হবে যেগুলো একটি ওয়েবসাইটের আউটলুককে আকর্ষণীয় করে তুলবে।

আপনাকে এমন কিছু ছবি এবং আইকন ব্যবহার করতে হবে যেগুলো ওয়েবসাইটটিকে সুন্দর করে তুলতে পারবে। আপনি ফ্রি স্টক ছবি এবং আইকন গুগল থেকে সার্চ করেই পেয়ে যাবেন।

৮। বিশেষ করে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ভিডিও মার্কেটিং এর পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। যেমন বড় মাপের আর্টিকেল এবং ছবি ব্যবহার ছাড়াও ভিডিওর মাধ্যমে খুব সহজেই কোন ইউজারকে বুঝিয়ে দেয়া যায়।

যার ফলে প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইটে ভিডিও ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তাই ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী বেশ কিছু ভালো মানের ভিডিও আপনি যুক্ত করে দিতে পারেন। আপনাকে ভিডিও বাছাই এর ক্ষেত্রে অনেক বেশী সময় দিতে হবে কারণ এমন কিছু ভিডিও ব্যবহার করতে হবে যেন যেকোনো ইউজার দেখলেই ভিডিওটি প্লে করে।

৯। ওয়েবসাইটে ন্যাভিগেশন বা মেনু বারের কাজ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে কোন প্রকার ফাংশনাল ত্রুটি যেন না থাকে। একজন ব্যভারকারী ন্যাভিগেশনে ক্লিক করলেই বুঝতে পারে এই ওয়েবসাইটে কি কি বিষয় রয়েছে।

১০। একটি সাইট ডিজাইন করার সময় অবশ্যই এনিমেশনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কেননা বিভিন্ন ইমেজ এবং টেক্সটের এনমেশন ব্যবহারকারীকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে। গুগল থেকে সার্চ করলেই জাভাস্ক্রিপ্ট এবং সিএসএস এর বিভিন্ন ধরণের এনিমেশন কোড পেয়ে যাবেন।

১১। ওয়েবসাইটের পেজ স্পিডের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ পেজ স্পিড বা ওয়েবসাইটের লডিং স্পিড যদি কম থাকে তাহলে সেই ওয়েবসাইটে ইউজার প্রবেশ করতে চায়না। তাই ছবি গুলোর সাইজ ঠিক রাখার পাশাপাশি কম্প্রেজ করে নিতে হবে। আপনি ছবির সাইজ ৬৮০*৪৩৭ পিক্সেলে রাখতে পারেন।

১২। রেস্পন্সিভ ডিজাইন করতে হবে। একটি ওয়েবসাইট কম্পিউটার স্ক্রিনে যেমন দেখায় মোবাইল স্ক্রিনে তেমন দেখায় না। তাই কম্পিউটার স্ক্রিনের পাশাপাশি মোবাইলের জন্য ডিজাইন করতে হবে আর যেটিকে বলে রেস্পন্সিভ ডিজাইন।

কীভাবে এবং কোথা থেকে আপনি ওয়েবডিজাইন শেখা শুরু করবেন

আপনি অনলাইন থেকে অনেক ওয়েব সাইট আছে যেইখান থেকে আপনি খুব সহজে ওয়েবডিজাইন এর সম্পূর্ণ ফ্রী কোর্স শুরু করতে পারেন। আপনাকে কোন টাকা পয়সা ব্যয় করতে হবে না। তেমনি একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল https://www.w3schools.com/ আপনি এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে খুব সহজে কাজ শিখে নিতে পারবেন।

তাছাড়া আপনি ইউটিউব থেকে অনেক টিউটোরিয়াল দেখে কাজ শিখতে পারবেন। আপনাকে একটু কষ্ট করে সার্চ করে বের করে নিতে হবে। আপনি যদি ইউটিউব থেকে দেখতে চান তাহলে সার্চ বার এ লিখুন Web design Bangla Tutorial playlist.

দেখবেন অনেক ভিডিও পাবেন আপনি ওই সব ভিডিও দেখে শুরু করে দিতে পারেন। আপনাকে অনেকে টাকা দিয়ে কোর্স কিনতে বলবে কিন্তু আপনি যদি একটু মাথা খাটিয়ে ইন্টারনেট থেকে সার্চ করেতে পারেন তাহলে আপনাকে কোন খরচ করতে হবে না। তাই আজ থেকেই শুরু করুন।

সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর

লে-আউট কি?

ওয়েব সাইটের বাহ্যিক রূপটাই হল লে-আউট।

ওয়েব সাইট কি?

ওয়েবসাইট হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক এমন এক মাধ্যম যেখানে বিভিন্ন ধরণের তথ্য সংগ্রহ করে রাখা যায় এবং পরবর্তিতে পরিবর্তন করা যায়।

ওয়েব ডিজাইন কি ?

একটি ওয়েবসাইটে লে-আউট বা ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে সেটি তৈরি করার নাম হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন।

ওয়েব ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগে?

৬ মাসের মধ্যেই ব্যাসিক বিষয় গুলো রপ্ত করে নেয়া যার। যখন এডভান্সড লেভেলে কাজ শুরু হয় তখন ১ বছরের কম বা বেশী সময় লেগে যেতে পারে। কাও যদি বেশী সময় ব্যয় করতে পারে এবং অনেক বেশী ডেডিকেটেড হতে পারে তাহলেই সে খুব দ্রুত শিখে নিতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *