কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটার ভাইরাসের ক্ষতিকর দিক
কম্পিউটার ভাইরাস কি -ভাইরাস কথাটা আমাদের সামনে আসলেই আমরা বুঝতে পারি এটি একটি খারাপ কিছু এবং মানুষের ক্ষতি সাধন করে থাকে। এই দেশের অধিকাংশ মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষের কম্পিউটার ভাইরাস কি সেটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই বললেই চলে।
দেখুন কম্পিউটার ভাইরাস হচ্ছে এমন এক মারাত্মক বস্তু যা একটি কম্পিউটারকে নিমিষেই শেষ করে ফেলতে পারে এবং মানুষের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলতে পারে। তাই আপনার জানা উচিৎ এই কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে।
দেখুন সাধারণভাবে ভাইরাস যেমন মানুষের শরীরে ক্যান্সারের মত রোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং মিত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। ঠিক তেমনি বস্তু হচ্ছে কম্পিউটার ভাইরাস কারণ এটি কম্পিউটারে প্রবেশ করে তার সমস্ত আয়ত্ত নিজের কাছে নিয়ে নেয়। তাই আজকের এই আর্টিকেলে কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কিভাবে তৈরি করা হয়ে ?
কত প্রকার কম্পিউটার ভাইরাস রয়েছে? কি কি ক্ষতি করে এবং কিভাবে ক্ষতিকর দিক থেকে নিজের কম্পিউটারকে রক্ষা করা যায় তার সমস্ত কিছু ধাপে ধাপে আলোচনা করা হবে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি একদম প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে খেয়াল করতে থাকুন তাহলে সহজেই আপনি কম্পিউটার ভাইরাস চিনতে পারবেন এবং ভাইরাস থেকে সহজেই নিজের কম্পিউটারকে রক্ষা করতে পারবেন।
কম্পিউটার ভাইরাস কি ?
কম্পিউটার ভাইরাস হচ্ছে এমন এক বস্তু যা কোনো প্রকার ইউজার অনুমতি ছাড়াই একজনের কম্পিউটারে প্রবেশ করে অনেক বড় ক্ষতি সাধন করে থাকে এবং নিজেই নিজের প্রতিরূপ তৈরি করে ফেলতে পারে এবং সহজেই অন্য কম্পিউটারে প্রবেশ করে ফেলতে পারে।
এই ভাইরাস হচ্ছে এমন এক বস্তু যা মূলত কম্পিউটার প্রগ্রাম দিয়ে তৈরি করা হয়। এই আমরা কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি সেগুলো তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটার প্রগ্রাম ব্যবহার করার মাধ্যমে।
কম্পিউটার প্রগ্রাম বলতে কম্পিউটার প্রগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বা প্রগ্রামিং ভাষাকে বোঝানো হয়। প্রগ্রামিং হচ্ছে বিশেষ এক ধরণের ভাষা যার কমান্ড শুরু কম্পিউটার বুঝতে পারে নতুবা অন্য কেও সেটি বুঝতে পারেনা।
আর এই কম্পিউটার প্রগ্রাম ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি করার জন্য এক ধরণের সফটওয়্যার বা অ্যাপলিকেশন তৈরি করা যায় আর এই ক্ষতিকারক সফটওয়্যারকেই ভাইরাস বলা হয়। যদি কোন প্রগ্রাম মানুষের ক্ষতি করে তাহলেই সেটি ভাইরাস নতুবা সেটি সাধারণ সফটওয়্যার নামে পরিচিতি লাভ করে থাকে।
কম্পিউটার ভাইরাস কি এটি সম্পর্কে একদম পরিস্কারভাবে বললে একটি কথাই দাঁড়ায় সেটি হচ্ছে কম্পিউটার প্রগ্রাম দ্বারা তৈরি করা এক ধরণের সফটওয়্যার যা শুধু মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর হ্যা অনেক কম্পিউটার ভাইরাস রয়েছে যা নিজেদের সুরক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয় আর তার নাম প্রকাশ করা হয়না।
কম্পিউটার ভাইরাসের সংজ্ঞা দিলে বলা যায় কম্পিউটার ভাইরাস হচ্ছে এক ধরণের ম্যালওয়্যার যা কম্পিউটারের বিভিন্ন ডাটা এবং সফটওয়্যারের ক্ষতি সাধন করে ও ডাটা চুরি করে মানুষের ক্ষতি করে থাকে। সমস্ত কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে তাই সাথেই থাকুন,
কম্পিউটার ভাইরাসের ইতিহাস
যদিও ভাইরাস শব্দটি জীব বিজ্ঞানের সাথে অনেক বেশী সম্পর্ক যুক্ত কিন্তু তারপরেও এই শব্দটি এখন কম্পিউটার বিজ্ঞানের সাথে গভীর ভাবে জড়িয়ে পড়েছে কারণ এখন ভাইরাস শুধু জীব দেহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই।
সর্বপ্রথম কম্পিউটার ভাইরাস আসে কত সালে এই প্রশ্নের জবাব হচ্ছে কম্পিউটার ভাইরাসের প্রথম সুত্রপাত হয় ১৯৭১ সালে যা রবার্ট থমাস নামে এক ব্যাক্তি আবিস্কার করেন আর সেই প্রথম আবিষ্কৃত ভাইরাসের নাম দেয়া হয় ক্রিপার ভাইরাস যা মূলত একটি ফ্লপি ডিক্সের কম্পিউটারে প্রবেশ করানো হত।
দ্বিতীয় ভাইরসটি ১৯৮২ সালে Rechard Skrenta আবিষ্কার করেন এবং এর নামকরন করেন Elk cloner ।মজার ব্যপার হল Rechard Skrenta যখন এই ভাইরাসটি আবিষ্কার করেন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর।
পরবর্তিতে ১৯৮৩ সালে কম্পিউটার ভাইরাসের যে প্রবনতা রয়েছে সেটি মানুষের সামনে চলে আসে তাই এই সময়কে কম্পিউটার ভাইরাসের জন্ম সময় বলা হয়ে থাকে যা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে সারাজীবন।
পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে পাকিস্থানের বাসিত এবং আবজাদ ফারুক নামে দুই জন “Brain” নামের ভাইরাস আবিষ্কার করেন। এই ভাইরাসটি মেডিক্যাল সফটওয়্যার পাইরেসি বন্ধের জন্য আবিষ্কার করেছিলেন।
কম্পিউটার ভাইরাস এর বৈশিষ্ট্য
ইতোমধ্যে কম্পিউটার ভাইরাস কি এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন চলুন কম্পিউটার ভাইরাস এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে কিছু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। কম্পিউটার ভাইরাস মূলত তৈরি করা হয়ে থাকে মানুষের ক্ষতি করার জন্য।
এই ভাইরাস যখন কম্পিউটারে প্রবেশ করে তখন এটি এমন এক আচরন শুরু করে যে, কম্পিউটার নিজে নিজে কাজ করা শুরু করে দেয়। এমনকি অনেক সময় দেখা যায় কম্পিউটারে হাত না দিয়েই নিজে নিজেই চালু হয়, ফাইল ওপেন হয় এবং অনেক সময় ফাইল নিজে নিজেই অন্য কোথাও ট্রান্সফার হয়ে যায়।
- নিজে নিজেই অনেক ফাইল ডিলিট হয়ে যায়
- হার্ড ড্রাইভ ক্রাপ্টেড হয়ে যায়
- কিছু কিছু ফাইল ওপেন হয় না
- কম্পিউটার লক করা থাকলেও নিজে নিজে আনলক হয়ে যায়
- অনেক ক্ষেত্রে কম্পিউটার নিজে নিজে অন অফ হওয়া শুরু হয়
- কম্পিউটারকে আগের তুলনায় অনেক স্লো করে দেয়
- মাঝে মাঝে কম্পিউটার নিজে নিজেই হ্যাং হয়ে যায়
- স্ক্রিনে নানান ধরণের অদ্ভুত মেসেজ ভেসে ওঠে
- কম্পিউটারে থাকা ফাইল গুলোর সাইজ নিজে নিজেই বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করে দেয়
- সি ড্রাইভ নিজে থেকেই ফুল হয়ে যায়
কম্পিউটারে ভাইরাস কীভাবে আক্রমন করে থাকে?
কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করার জন্য অনেক গুলো কারণ রয়েছে। স্পেসিফিক ভাবে জানার জন্য বেশ কিছু তথ্য জানতে হবে। তথ্য গুলো তুলে ধরা হচ্ছে বিবরণ সহ।
ইউএসবি বা পেনড্রাইভ এর মাধ্যমেঃ আপনি হয়তো অনেক প্রয়োজনে পেনড্রাইভ ব্যবহার করে থাকেন এই পেন্ড্রাইভ দ্বারা অনেক সময় ভাইরাস চলে আসে। আপনি যদি অন্যকারো পেনড্রাইভ আপনার পিসিতে ব্যবহার করে থাকেন এবং সেই পেনড্রাইভে যদি কোন ভাইরাস থাকে তাহলে সেই পেনড্রাইভ আপনি ওপেন করার সাথে সাথে আপনার পিসিতে ভাইরাসটি ঢুকে যাবে কারন ভাইরাস নিজের ফাইল এর নতুন ফাইল নিজেই তৈরি করার ক্ষমতা রাখে।
ইন্টারনেট ব্যবহারঃ ইন্টারনেট ব্যবহার করিনা এমন কাউকে খুজে পাওয়া বর্তমান সময়ে খুব কষ্টের ব্যপার তাই জেনে নিন কীভাবে এই ইন্টারনেট ব্যবহার এর মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ করে থাকে। আমাদের প্রয়োজনে অনেক সময় ইন্টারনেট থেকে নানা রকম ওয়েব সাইট ব্যবহার করে থাকি, এমন অনেক সাইট আছে সেই সাইটে ভাইরাস থাকে এবং আপনি যদি না বুঝে ডাউনলোডে ক্লিক করে থাকেন তাহলে ভাইরাস আসতে পারে তাছাড়া অনেক পাইরেসি সফটওয়্যার ডাউনলোড করার ফলে এমন কি অনেক মেইল এর Attachment এর মাধ্যমে ভাইরাস আক্রমন করতে পারে।
ফ্লপি ড্রাইভ বা সিডি ড্রাইভঃ ফ্লপি ড্রাইভ এর মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে ভাইরাস এর আক্রমণ হয়ে থাকে। আমরা আমাদের অনেক প্রয়োজনে অনেক সিডি ব্যবহার করে থাকি, যদি সেই সিডির ফাইলের মধ্যে কোন ভাইরাস থাকে তাহলে কম্পিউটারকে আক্রমন করবে।
ক্রাক বা ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহারঃ বর্তমান সময়ে বেশীরভাগ ভাইরাস গুলো ফ্রি সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়ে থাকে। বিশেষ করে প্রফেশনাল সফটওয়্যার গুলো বিশেষ এক মাধ্যমে ক্রাক করার মাধ্যমে ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়।
আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে হ্যাকার চক্র মানুষের কম্পিউটারে অতি সহজেই ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে দিয়ে থাকে। এই সমস্ত সফটওয়্যার গুলোর যে সমস্ত ফাইল থাকে তার মধ্যে বিশেষ কায়দায় ভাইরাস এর ফাইল তৈরি করে রেখে দেয়া হয়।
আর যখন কেও সেই ফ্রি সফটওয়্যারটি তার কম্পিউটারে ইন্সটল করার সাথে সাথে কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করে। এটি বর্তমানে বেশি হচ্ছে কারণ অধিক দাম দিয়ে অনেকেই সফটওয়্যার কিনতে চায়না।
আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার কম্পিউটারে অতি সহজেই ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে।
স্ক্যাম লিংকের মাধ্যমেঃ বর্তমান সয়মে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সিম কার্ড ও ই-মেইলের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের লিংক এসে থাকে যেগুলোর সাথে সাথে ভাইরাস এসে থাকে।
বিশেষ করে বিভিন্ন লটারির অফার, বিভিইন পন্যের অফার এবং সেই সাথে লোভনীয় বিভিন্ন কিছু নিয়ে অনেকেই লিংক শেয়ার করে থাকে। আর এই সমস্ত লিংক গুলোকে স্ক্যাম বা ফিশিং লিং বলা হয়ে থাকে আর এই ফিশিং লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে মোবাইল ও কম্পিউটার হ্যাক হয়ে থাকে।
আপনার সাথে লিংক গুলো এমনভাবে দেয়া হবে যেন পরিচিত কোন এক ওয়েবসাইট থেকে এসেছে এমন মনে হবে। কিন্তু লিংক গুলো মোটেও পরিচিত নয়। আর এটি চিনতে হবে সেই লিংকের ইউআরএল দেখলেই বুঝতে পারা যাবে।
ফাইল ডাউনলোড করার মাধ্যমেঃ অনেক সময় অপরিচিত ওয়েবসাইট থেকে কোন একটি ফাইল বা অ্যাপ ডাউনলোড করলে সেই ফাইলের সাথে ভাইরাস ডাউনলোড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অনেকেই আছেন অপরিচিত ওয়েবসাইট থেকে প্রিমিয়াম অ্যাপ বা কোন ফাইল ডাউনলোড করতে যায় আর এই সুযোগে হ্যাকার খুব সহজেই সেই ফাইলের মাধ্যমে কম্পিউটার বা মোবাইলে ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে দেয় এবং অতি সহজেই হ্যাক করে নেয় সমস্ত কিছু।
তাই অপরিচিত যেকোনো ওয়েবসাইট বা মাধ্যম থেকে অ্যাপ বা সফটওয়্যার সহ অন্যান্য সব ফাইল ডাউনলোড করা থেকে সম্পূরন বিরত থাকতে হবে।
ই-মেইল অ্যাটাচমেন্টঃ হ্যাকারদের ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার অনেক প্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে ই-মেইল অ্যাটাচমেন্ট কারণ মানুষের কাছে ই-মেইল পাঠানো অনেক বেশি সহজ ও সোজা।
বিশেষ করে চাকরির বিজ্ঞপত্তি, সিভি, কোন একটি দরকারি ফাইল এমনভাবে পাঠিয়ে থাকে যেন একদম সত্য। আর কিছু মানুষ রয়েছেন না বুঝেই ফাইলটি দেখার জন্য ডাউনলোড করে থাকে।
আর ডাউনলোড করার সাথে সাথেই সেই ফাইলের সাথে থাকা ভাইরাস অতি সহজেই কম্পিউটারে প্রবেশ করে থাকে। আর একবার যদি প্রবেশ করে তাহলে হ্যাকার অতি সহজেই কম্পিউটারে থাকা সমস্ত কিছুর এক্সেক্স নিতে পারে এবং নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিচালনা করতে পারে।
বিশেষ করে কিছু অসাধু প্রগ্রামার এই কাজ গুলো করে থাকে। তাই আপনি কোন সময় না জেনে ফাইল ডাউনলোড বা ওপেন করতে যাবেন না।
অপরিচিত ওয়েবসাইট থেকে ফাইল ডাউনলোডঃ অনেক সময় দেখা যায় আমরা ফ্রিতে কিছু সফটওয়্যার খুঁজে থাকি এবং খুজতে খুতে এমন কিছু ওয়েবসাইট চলে আসে যেখান থেকে কিছু না ভেবেই সফটওয়্যার ডাউনলোড করে থাকি এবং নিজের বিপদ নিজেই ডেকে নিয়ে আসি।
তাছাড়াও কিছু ওয়েবসাইট পাওয়া যায় যেখানে কিছু প্রলোভন দেখানো অ্যাড থাকে আর সেই সমস্ত অ্যাড হয়ত কিছু সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে বলে নতুবা কোন এক্সটেনশন ডাউনলোড করতে বলে।
এমন ওয়েবাইট থেকে সব সময় দূরে থাকতে হবে। তাই নিজের পরচিত ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোন সাইট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করা থেকে সম্পূর্ন বিরত থাকতে হবে।
ফ্রি বা ক্রাক সফটওয়্যার ডাউনলোডঃ ফ্রি সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং ব্যবহার করার আগে দেখে নিবেন কোন সাইট থেকে আপনি সফটওয়্যারটি ব্যবহার করছেন। অনেক ভালো সাইট আছে যেখানে কোন রকম ভাইরাস ছাড়া সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যায় আপনারা সেই সাইট গুলো থেকেই ডাউনলোড করে নিবেন।
আপনার Antivirus যদি কোন সাইটে ঢুকতে বাধা দেয় তাহলে ঢুকবেন না ওই সাইটে, আর যদি আপনার অনেক প্রয়োজনীয় সাইট হয় তাহলে অনেক সতর্কতার সাথে ব্রাউজ করবেন।
ইউএসবি এবং পেন্ড্রাইভ ব্যবহারঃ অন্য কারো USB বা Pen drive ব্যবহার করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই Pen drive টি স্ক্যান করে নিতে হবে। স্ক্যান করা যখন শেষ হবে তখন আপনি ফাইল ওপেন করবেন।
এই সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই আপনি আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত রাখতে পারবেন।
কম্পিউটার ভাইরাসের নাম ও ক্ষতিকর দিক
Malware: এটি একধনের ভাইরাস এবং এই ভাইরাসটি তৈরি করা হয়েছে মানুষের ক্ষতি করার জন্য। এটি অন্য কম্পিউটার বা ইউএসবি বা পেনড্রাইভ থেকে ফাইল কপি করার সময় কম্পিউটারে ঢুকে যায়।
Spyware: এই ভাইরাসটি তৈরি করা হয়েছে ইন্টারনেট ব্রাউজিং ডাটাকে মনিটরিং করার জন্য।অনেক সময় এই ভাইরাস ইন্টারনেট থেকে নিজে নিজেই ডাউনলোড হয়ে গ্রাহকের তথ্য চুরি করে থাকে।
Overwrite virus: এই ভাইরাস গুলো আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে যেকোনো ফাইলকে নিজে নিজে ডিলিট করে দিতে পারে শুধু তাই নয় এই ভাইসাস যেকোনো প্রোগ্রামকে নিজে নিজে এডিট করে আপনার অনেক ক্ষতি সাধন করতে পারে।
Adware virus: এই ভাইরাস আপনার ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করার সময় ঢুকে থাকে তাছাড়া এমন অনেক ওয়েব সাইট রয়েছে এবং সি সাইট ব্যবহার করলে নিজে নিজেই কিছু ডাউনলোড হয় আর এই ডাউনলোড হওয়া ফাইলের মধ্যে ভাইরাস থাকে।
Trojans: এই ভাইরাসটি মূলত হ্যাকাররা ব্যবহার করে থাকে। কারো কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে তথ্য চুরি করার জন্য হ্যাকার সি ব্যবহার কারির ডিভাইসে এই ভাইরাস যেকোনো উপায়ে ঢুকিয়ে দেয় এবং তথ্য চুরি করে ক্ষতি করে থাকে।
Worms: এই ভাইরাস কম্পিউটারে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পরে এবং নিজের প্রোগ্রাম ফাইল নিজে নিজে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে তাই এই ভাইরাসকে খুজে পাওয়া খুব কষ্টের হয়ে যায়।
Browser Hijacker: এই ভাইরাস ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করার সময় আক্রমন করে থাকে। আপনি অনেক সময় অনেক extension ডাউনলোড করে থাকেন আর এই সুযোগ নিয়েই ভাইরাস ঢুকে যায় কম্পিউটারে।দেখবেন অনেক সাইট ব্রাউজ করার সময় একটা লিঙ্কে ক্লিক করলে আপনি না চাইতে অনেক নতুন পেজ ওপেন হয়ে যায় এবং অনেক কিছু ডাউনলোড করতে বলে, মনে রাখবেন না বুঝে কিছু ডাউনলোড করবেন না কারন সেই ফাইল গুলোর মধ্যেই ভাইরাস থাকে।
এই রকম অনেক ভাইরাস রয়েছে যেটা মানুষের ক্ষতি করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া অনেক কোম্পানি আছে যারা নিজের উপকারের জন্য ভাইরাস ব্যবহার করে থাকে।
আপনি বলবেন এত সময় বললেন ভাইরাস ক্ষতি করা ছাড়া কিছু করতে পারে না তাহলে উপকার কীভাবে করে। তাহলে জেনে নিন, অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে যারা নিজেদের প্রাইভেসি রক্ষার জন্য ভাইরাস ব্যবহার করে। প্রাইভেসি বলতে তাদের ফাইল গুলো বা তাদের সার্ভারে কোন হ্যাকার যেন ঢুকতে না পারে সেই উদেশ্যে।
এরকম বলতে গেলে অনেক ভাইরাস এর নাম বলা যাবে এবং পোস্ট অনেক বড় হবে শুধু তাইনা আপনার পড়তে অনেক সময় লাগবে। আশা করি আপনি বুঝে গিয়েছেন ভাইরাস কি, কেন এবং কি কারনে তৈরি করা হয়েছে?
কম্পিউটার ভাইরাসের ক্ষতিকর দিক সমূহ
দেখুন কম্পিউটার ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে মানুষের ক্ষতি করার জন্য তারপরেও কিছু ভাইরাস রয়েছে যা মানুষের উপকার করে সেটি কিভাবে উপকার করে তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হবে। এখন আপাদত ক্ষতিকর দিক নিয়ে কিছু জেনে নেয়া যাক,
- কম্পিউটারে ভাইরাস সংক্রমণ হলে নিজে থেকেই স্লো কাজ করা শুরু করে দেয় যার ফলে নিজের কাজের অনেক অংশে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এটি এমন কিছু আচরন করে যে মানুষ বুঝতেই পারেনা কেন এমন হচ্ছে যার ফলে এক মসয় অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়।
- নিজে থেকেই কম্পিউটার হার্ডড্রাইভের ফাইল গুলোকে ডিলিট করে দেয় অথবা ক্রাপ্টেড করে দেয় যার ফলে নিজের দরকারি ডেটা গুলো আর কাজ করেনা এতে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়ে যায়।
- কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার জনিত বিভিন্ন সমস্যার তৈরি করে থাকে যার ফলে হার্ডওয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। হতে পারে সেটি হার্ড ড্রাভ অথবা প্রসেসর।
- এমনও হতে পারে কম্পিউটার নিজে নিজে কাজ করছে এবং কিছু ডাটা নিজের চোখের সামনে অন্য কারো কাছে চলে যাচ্ছে কিন্তু কিছুই করার থাকেনা তখন।
- কম্পিউটারের গতিকে অনেক বেশী ধীর গতি করে ফেলে যার কারণে কোন ধরণের কাজ করা হয়ে উঠেনা।
- ব্যাক্তিগত ডাটা চুরি করে কম্পিউটারের মালিকের কাছে থেকে মুক্তিপন চেয়ে ব্ল্যাকমেইল করার মত অনেক ঘটনা রয়েছে।
- এমনও হতে পারে কম্পিউটার একদম নষ্ট হয়ে যাবে।
দেখুন কম্পিউটার ভাইরাস যেহেতু ক্ষতির জন্য তৈরি তাই এটি কোন উপকারে আসেনা কিন্তু কিছু কিছু বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের ডাটা গুলোর প্রটেকশনের জন্য নিজেরাই ভাইরাস ব্যবহার করে থাকে যেন কেও ডেটা চুরি করতে গিয়ে নিজেই বিপদের সম্মুখে পড়ে যায়। এমন কোম্পানি কে বা কারা সেটি প্রকাশিত নয়।
ভাইরাসের উপস্থিতি বোঝার উপায়
১. কম্পিউটার স্লো হয়ে যাবে। কারণ কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করার প্রধান লক্ষন হচ্ছে কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়া। যদি কম্পিউটারে ভাইরাস সংক্রমণ হয় তাহলে নিজে থেকেই স্লো ভাবে কাজ করা শুরু করে এবং ইন্টারনেট স্পিড অনেক অংশে কমিয়ে দেয় যার ফলে ইন্টারনেট ব্রাউজিং অনেক বেশী কঠিন হয়ে যায়।
কম্পিউটারে থাকা ভাইরাস অতি সহজেই সমস্ত অ্যাপলিকেশনকে স্লো করে দেয় তাই কিছুতেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করা যায়না। এমন হলেই ভেবে নিতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে।
২. অনেক ফাইল ডিলিট হয়ে যাবে। যখন কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণ করে তখন কম্পিউটার অন্য রকম আচরনের সাথে সাথে দরকারি ফাইল গুলো নিজে থেকেই ডিলিট হয়ে যায়। শুধু তাই নয় অনেক সময় ফাইল গুলো থাকে কিন্তু সেই ফাইল আর কাজ করার মত ক্ষমতা রাখেনা।
যদি এমন দেখতে পান যে ফাইল গুলো নিজে নিজে ডিলিট হয়ে যাচ্ছে তাহলে ভেবে নিতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে।
৩. কম্পিউটার নিজে নিজে কাজ করা শুরু করে দিবে। যদি দেখেন কম্পিউটার নিজে নিজেই কাজ করা শুরু করে দিয়েছে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে।
৪. সফটওয়্যার নিজে নিজে ওপেন হয়ে যাবে। হটাৎ করেই যদি দেখতে পান যে, কম্পিউটারে থাকা সফটওয়্যার গুলো নিজে নিজেই ওপেন হচ্ছে এবং নিজে নিজেই কাজ করছে। এমন হলেও বুঝতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে।
৫. বিনা কারনে কম্পিউটারে অ্যাড দেখাবে। এমন হতে পারে আপনি কাজ করছেন এমন অবস্থায় অ্যাড শো করছে। এমন হলেও বুঝে নিতে হবে আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে।
৬. সিস্টেম এরর দেখাবে। কাজ করতে করে হটাৎ করেই সিস্টেম এরর দেখাবে এবং প্রগাম সাট ডাউন দিবে। এমন হলে বুঝে নিতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে।
৭. হার্ডওয়্যার এর সমস্যা দেখাবে। অনেক সময় হার্ড ড্রাইভ এরর, র্যাম সমস্যা হটাৎ করেই বন্ধ হয়ে যাওয়া। এমন ঘটনা যদি খেয়াল করেন তাহলে বুঝে নিবেন আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে।
৮. সিস্টেম হ্যাং করবে। হটাৎ কাজ করতে করতে আপনার সিস্টেম যদি হ্যাং করে তাহলে বুঝতে হবে কম্পিউটারে ভাইরাস রয়েছে।
৯. হার্ডড্রাইভ ছেড়ে দিতে পারে বা ক্রাশ হয়ে যেতে পারে। এমন যদি খেয়াল করেন যে, আপনার কম্পিউটার নিজে থেকেই বুট ফেইলার বা হার্ড ড্রাইভ ছেড়ে দিচ্ছে তখন বুঝতে হবে ভাইরাস রয়েছে।
১০. কম্পিউটার নিজে নিজেই চালু হবে এবং বন্ধ হবে এমনও ঘটতে পারে। এমন হলেও বুঝতে হবে ভাইরাস দ্বারা কম্পিউটারটি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে।
১১. অজান্তেই ইমেইল থেকে নিজে নিজে ইমেইল সেন্ট হয়। আমি নিজে জানেন না কিন্তু আপনার মেইল থেকে অনেকেই মেইল পাচ্ছে। এমন ঘটনা যদি খেয়াল করেন তাহলে বুঝে নিবেন আপনার ফোনে ভাইরাস রয়েছে।
১২. হোম পেজের স্ক্রিন নিজে থেকেই পরিবর্তন হয়। আপনি আপনার ছিবি সেভ করে রাখলেন হোম পেজে কিন্তু হটাৎ করেই সেই ছবি পরিবর্তন হয়ে গেলো তখন বুঝতে হবে কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত রয়েছে।
১৩. নিজে থেকেই অ্যাকাউন্ট লগিন ও লগ আউট হতে পারে। কম্পিউটার নিজে থেকেই লক হবে এবং নিজে থেকেই লক খুলে যাবে।
কম্পিউটার ভাইরাস কি এবং ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়
আপনি কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই এই সব ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পারবেন।আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার কারি হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিয়ম গুলো জানতে হবে। আপনি যেহেতু এই পোস্টটি পড়ছেন আপনি অবশ্যই একজন ইন্টারনেট ইউজার তাই এই পোস্টটি আপনার জন্য। কম্পিউটার ভাইরাস কি
অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তন
কম্পিউটারে ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে এমন যদি বোঝা যায় তাহলে অবশ্যই নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম সেটাপ করে নিতে হবে কারণ নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করলে পূর্বে থাকা সমস্ত ফাইল ডিলিট হয়ে যাবে যার ফলে সমস্ত ভাইরাসের আনাগোনা বন্ধ হয়ে যাবে।
বিশেষ করে ভাইরাস গুলো যেহেতু এক ধরণের প্রগ্রাম তাই এটি সি ড্রাইভে সেটাপ হয়ে থাকে আর ইউন্ডজ বা অপারেটিং সিস্টেম রি ইন্সটল করলে সমস্ত ক্ষতিকর প্রগ্রাম ডিলিট হয়ে যাবে।
তাছাড়াও আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটারকে রিকভারি মূডে দিয়ে দিতে পারেন। আর এই রিকভারি মূড অনেক বেশী ঝামেলার এবং সময় একটি বেশী নষ্ট হয়। তাই আপনার উচিৎ হবে নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করা।
অপরিচিত সফটওয়্যার ডিলিট
অনেক সময় দেখা যায় কম্পিউটারে এমন কিছু সফটওয়্যার সেটাপ হয়ে থাকে যেগুলো অপরিচিত। আর এই সমস্ত অপরিচিত সফটওয়্যার হতে পারে কম্পিউটার ভাইরাস। আর এটি আপনার অগোচরে ক্ষতি করে যাচ্ছে সেটি নিজে বুঝতেও পারছেন না।
তাই যদি এমন কিছু খেয়াল করা যায় যে, এমন কিছু সফটওয়্যার কম্পিউটারে সেটাপ রয়েছে সেটিকে রিমুভ করে দিতে হবে আর এই সফটওয়্যার রিমুভ করার জন্য আপনাকে কম্পিউটার সার্চ অপশনে গিয়ে সার্চ করতে হবে control Panel লিখে সার্চ করতে হবে ও সফটওয়্যার গুলো সেখান থেকে আনইন্সটল করে দিতে হবে।
দেখুন,

তারপর আপনাকে Control Panel অপশনে ক্লিক করে আনইন্সটল পেজ ওপেন করে নিতে হবে এবং Uninstall program এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। দেখুন,

এর পর আপনার সামনে নতুন আরও একটি পেজ ওপেন হবে সেই পেজ থেকে অপরিচিত যে সফটওয়্যার রয়েছে সেটি খুঁজে বেড় করে সেই সফটওয়্যারের উপরে মাউস পয়েন্টার নিয়ে গিয়ে এক সেকেন্ডে দুইবার ক্লিক করে দিতে হবে।
তারপর আপনাকে Uninstall বাটনে ক্লিক করলেই সেই সফটওয়্যার কম্পিউটার থেকে ডিলিট হয়ে যাবে।
কম্পিউটার এন্ট্রিভাইরাস সেটাপ
কম্পিউটার ভাইরাসকে কম্পিউটার থেকে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ভাইরাস দূর করতে এবং ভাইরাস থেকে মুক্ত করতে এন্ট্রিভাইরাস অনেক বেশী দরকারি। কারণ এন্ট্রিভাইরাস ব্যবহার করলে নিজে নিজে ভাইরাস ডিলিট করে দিতে পারে শুধু নিজে ম্যানুয়ালি ভাবে স্ক্যান করে নিলেই হয়ে যাবে।
তাছাড়াও এন্ট্রিভাইরাস কম্পিউটারে সেটাপ থাকলে পরবর্তিতে ভাইরাস সংক্রমণ করতে পারেনা। তাই আপনার উচিৎ হবে ভালো একটি এন্ট্রিভাইরাস ব্যবহার করা।
বর্তমানে অনেক ধরণের এন্ট্রিভাইরাস পাওয়া যায় যার মধ্যে আপনি যেকোনো একটি ব্যবহার করলেই হয়ে যাবে। কিছু এন্ট্রিভাইরাসের তালিকা দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি আপনি যেকোনো একটি ব্যবহার করলেই হয়ে যাবে।
ক্যাস্পার স্কাই ( Kaspersky )
এটি এমন একটি এন্ট্রিভাইরাস যা ব্যবহার করলে কম্পিউটারের সমস্ত সিকিউরিটি নিজে থেকেই দিয়ে থাকে। বহুল পরিচিত এই এন্ট্রিভাইরাসটি ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়না তাই এটি কিনে নিয়ে কাজ করতে হয়।
আপনি বাংলাদেশ থেকে মাত্র কিছু টাকা খরচ করেই এই এন্ট্রিভাইরাসটি কিনে নিতে পারবেন। ক্যাস্পার স্কাইয়ের অফিশিয়াল পেজ থেকে নিজে নিজে কিনে নিতে পারবেন। আর এই সফটওয়্যারটি আপনি ৭ দিন এবং ১ মাসের জন্য সম্পূর্ন ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন শুধু মাত্র ট্রায়াল ভার্সনের খাতিরে।
অন্যান্য সফটওয়ারের মতই এটির ইন্সটল করার ধাপ একই রকম তাই আপনি নিজে নিজেই সেটাপ করে নিতে পারবেন। প্রথমে একটি ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করুন এবং পরবর্তীতে আলাদাভাবে কিনে নিলেই হয়ে যাবে।
নড ৩২ ( Nod 32 )
এটিও আপনি ক্যাস্পারের মতই ব্যবহার করতে পারবেন। অনেক সময় ধরেই অনেকেই ব্যবহার করে আসছে। আপনি নড ৩২ এন্ট্রিভাইরাসটি ব্যবহার করলে নিজে থেকেই সমস্ত ভাইরাসকে ডিলিট করে দিবে।
আপনি এটিও ৭ দিনের জন্য ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যান্য সব সফটওয়্যার যেভাবে ইন্সটল করে এটিও একইভাবে ইন্সটল করতে হয়। এই এন্ট্রিভাইরাসটি ব্যবহার করলে কোন প্রকার ভাইরাস পিসিতে প্রবেশ করতে পারবেনা এবং ভাইরাস থাকলেও নিজে নিজে ডিলিট হয়ে যাবে।
ইন্টারনেট থেকে কোন প্রকার ভাইরাস ডাউনলোড হলে সেটিকে অটোমেটিক ডিটেক্ট করে নিতে পারে ও ডিলিট করে ফেলতে পারে। তাই আপনি এটি ব্যবহার করতেই পারেন।
এভাস্ট ( Avast )
এভাস্ট একটি কম্পিউটার এন্ট্রিভাইরাস যেটি আপনি কিছু দিনের জন্য ফ্রিতে ট্রায়াল ভার্সন ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস থেকে প্রটেক্ট করার জন্য এই এন্ট্রিভাইরসটি ব্যবহার করতে পারবেন।
যেহেতু একটি একটি প্রিমিয়াম এন্ট্রিভাইরাস তাই অবশ্যই আপনাকে এটি কিনে নিতে হবে। তাই আপনার উচিৎ হবে এন্ট্রিভাইরাস কিনে নেয়া।
এই রকম আরও অনেক এন্ট্রিভাইরাস রয়েছে যেগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করলেই হবে। এই তিনটি সব সময় পপুলার তাই আপনার কাছে শেয়ার করলাম।
সাবধান কোন প্রকার ক্রাক বা ফ্রি এন্ট্রিভাইরাস ব্যবহার করতে যাবেননা কারণ ফ্রি এন্ট্রিভাইরাসগুলোর মধ্যেই গোপন ভাবে ভাইরাস যুক্ত করা থাকে যা অগোচরে মানুষের কম্পিউটারে প্রবেশ করে ফেলে।
আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন সব ধরনের ফ্রি Antivirus ব্যবহার থেকে বিরত থাকার কারন ফ্রি মানেই ঝামেলা, একটা ফ্রি Antivirus এর মধ্যেও ভাইরাস থাকতে পারে তাই আপনি যেকোনো একটা Antivirus বা Internet Security পেইডটা কিনে নিবেন।
আপনি ইচ্ছা করলে ইন্টারনেট থেকে কিনতে পারবেন বা আপনার আশে পাশের যেকোনো একটা কম্পিউটার সোর্স থেকে সিডি কিনে ব্যবহার করতে পারবেন।
অন্যথায় আপনি যদি স্টুডেন্ট বা সাধারণ ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে,
আপনার কম্পিউটার এর সার্চ অপশনে গিয়ে লিখুন Windows Defender এবং এই Windows Defender টি ওপেন করে নিন এবং আপডেট এ ক্লিক করে আপডেট করে নিন।
কারন এই Windows Defender মাইক্রোসফট তাদের অফিসিয়াল Antivirus এবং Internet Security হিসেবে Windows বা অপারেটিং সিস্টেম এর সাথে ফ্রিতে দিয়ে থাকে। আপনি যদি একজন পার্সোনাল পিসি ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে তাহলে এটাই আপনার জন্য যথেষ্ট।
ভালো এন্ট্রিভাইরাস কোনটি?
আপনি Kespersky total security/ Kespersky internet security বা Avast অথবা Nod32 যেকোনো একটি ব্যবহার করলে হবে। আমি নিজে থেকে যেটা ব্যবহার করতে পছন্দ করি সেটা হল Kespersky এখন আপনি যেকোনো একটি ব্যবহার করুন।
একটা কথা এই Antivirus গুলো টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয়, আপনি যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোন ফ্রাম চালান যেগুলোতে প্রতিদিন নানা রকম মেইল, তথ্য, ডাটা আপনাকে সেভ করে রাখতে হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালো একটি Antrivirus ব্যবহার করতে হবে। না হলে হ্যাকাররা আপনার তথ্য চুরি করে নিতে পারে।
আর আপনি যদি নিজের প্রয়োজনে আপনার পিসি ইউজ করে থাকেন তাহলে আমার উপদেশ থাকবে কোন Antivirus ব্যবহার না করে Windows Defender টাকে ব্যবহার করার কেননা পার্সোনাল পিসির দিকে হ্যাকার দের কোন মনোযোগ থাকে না। তাছাড়া এই Windows Defender সব ধরনের ভাইরাস থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
আপনি যদি কমার্শিয়াল ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই রিকমেন্ড করর একটা Antivirus কিনে ব্যবহার করার জন্য কারন পেইড গুলোতে অনেক টুলস বেশী দেয়া থাকে।
আর্টিকেল ট্যাগ
কম্পিউটার ভাইরাস কি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, ১০ টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম, ৫টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম, কম্পিউটার ভাইরাসের নাম কি কি, কম্পিউটার ভাইরাসের উদাহরণ, কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার, কম্পিউটার ভাইরাস কে আবিষ্কার করেন, কম্পিউটার ভাইরাস কি কি ক্ষতি করে
প্রশ্ন এবং উত্তর
কম্পিউটার দ্বারা তৈরিকৃত এক ধরণের প্রগ্রাম যেটি মোবাইল এবং কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। ভাইরাস ডিভাইসে প্রবেশ করে কম্পিউটার ডিভাইস নষ্ট করার মত ক্ষমতা রাখে।
এই অবধি ৭ প্রকারের কম্পিউটার ভাইরাস আবস্কার হয়েছে।
ম্যালওয়্যার ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান, স্পাইওয়্যার, অ্যাডওয়্যার এবং র্যানসমওয়্যার ইত্যাদি।
ম্যালওয়্যার এর স্পেসিফিক প্রকার নেই কিন্তু ৫ প্রকার থেকে ৭ প্রকারের পাওয়া যায় যেমনঃ ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান, স্পাইওয়্যার,অ্যাডওয়্যার এবং র্যানসমওয়্যার।
কম্পিউটারে ভাইরাস নিজে নিজে তৈরি হয়না বরং এটি ইমেইল, অজানা সফটওয়্যার ইন্সটল, পেন্ড্রাইভ ব্যবহার, অনলাইন থেকে ফাইল ডাউনলোড করার সময় ভাইরাস সৃষ্টি হয়।