ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা
আধুনিন প্রযুক্তি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যেমন মানুষের জীবন যাত্রাকে করেছে সহজ থেকে সহজতর ঠিক তেমনি শিক্ষাক্ষেত্রকে অনেক বেশী সহজ করে তুলেছে। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের যুগান্তকারী আবিস্কার মোবাইল ফোন মানুষের জীবনকে আরও বেশী সহজ করে তুলেছে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
মোবাইল ফোন একজন ছাত্রের জন্য যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে কারণ এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে অতি সহজেই ঘরে বসে পরিক্ষার ফলাফল দেখা যায় যার ফলে আলাদাভাবে স্কুলে যেতে হয়না।
এমন হাজারো উন্নতি হয়েছে মোবাইল আবিস্কার হওয়ার পরে। আজকের এই আর্টিকেলে এমন কিছু উপকার দিক তুলে ধরা হবে যেগুলো প্রায় সমস্ত শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রভাব ফেলেছে।
যেকোনো বিষয় জানতে হলে সেই বিষয়টি খুব ভালোভাবে সময় নিয়েই জানতে হয়। তাই এই আর্টিকেলে ৪ থেকে ৫ মিনিট ব্যয় করতে পারলে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা নিয়ে সমস্ত বিষয় জানা যাবে এবং সেই সাথে সমস্ত কিছুই মস্তিষ্কে সেভ হয়ে যাবে যার ফলে যেকোনো সময় অন্য কাওকে উত্তর দেয়া যাবে। এর পূর্বে মোবাইলের ফোন ভালো এবং খারাপ দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে সেগুলো দেখতে পারেন।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা
বর্তমান সময়ে একজন ছাত্রের জীবনে মোবাইল ফোন বিভিন্নভাবে উপকার করে আসছে। বেশ কিছু উপকারি বিষয় তুলে ধরা হবে যেগুলো প্রায় সব সময় ব্যবহার হয়ে আসছে।
আধুনিক বিশ্ব যত বেশী প্রযুক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে মানুষের চলাচল থেকে শুরু করে যোগাযোগ সমস্ত ক্ষেত্রে এসেছে অনাবিল পরিবর্তন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশী সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে এই মোবাইল ফোন।
তাহলে চলুন ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক,
অনলাইন পাঠদানে মোবাইল ফোন
যখন পৃথিবী জুড়ে করোনা মহামারি চলছিল তখন বিশ্বের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীদের ঘরে বন্ধি থাকতে হয় যার ফলে এক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অসস্থায় চলে যায়।
ঠিক এমনটি বাংলাদেশেও ঘটেছিল। তখন শিক্ষাবিদগণ একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হল যে, স্কুল, কলেজ কত দিন নাগাদ খুলবে সেটি স্থির করে বলা যাবেনা তাহলে এখন কি করা যায়? তখন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হল যে, অনলাইনে পাঠ্যক্রম চালাতে হয়।
ঠিক তখন থেকেই মোবাইল ফোনে বিশেষ কিছু অ্যাপ যেমন Google Meet, Google Meeting ব্যবহার করে অনলাইনে শিক্ষাদান শুরু হয়। এখন যদিও করোনা মহামারি শেষ হয়ে গিয়েছে কিন্তু সেই কার্যক্রম এখনো চালু রয়েছে।
আরও দেখুনঃ ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার শুরু থেকে গাইডলাইন
এখন ইউটিউব এম্ন একটি মাধ্যমে হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, চাইলেই যেকোনো বিষয় একটি মাত্র সার্চ করার মাধ্যমে খুজে বের করা যায় এবং সর্ব প্রকার সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। নিজের বিষয় ভিত্তিক লেখা পড়া করার সময় সমস্যা হলে ইউটিউবে সার্চ করে সেই সম্পর্কে ভিডিও দেখে অতি সহজেই সমস্যার সমাধান করা যায়।
বর্তমান সময়ে এমন কোন ভাষা নেই যে সেই ভাষায় ভিডিও তৈরি করা নেই তাই চাইলেই যেকোনো দেশের ছাত্র ছাত্রী অতি সহজেই তার নিজস্ব ভাষায় ভিডিও দেখার মাধ্যমে তার পাঠ্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও বর্তমানে সরাসরি টিউশনে না গিয়েই বিষয় ভিত্তিক বিষয়ের অনলাইন ক্লাস করার মাধ্যমে ঘরে বসেই সমস্ত কিছু নিয়ে শিক্ষা গ্রহন করা যায়। বাংলাদেশে ১০ মিনিট স্কুল সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অনলাইন কোর্স বিক্রি করে থাকে চাইলে তাদের কাছে থেকে কোর্স ক্রয় করার মাধ্যমে ঘরে বসেই টিউশন নেয়া যায় এবং সরাসরি যুক্ত হয়ে প্রশ্ন করে সমাধান নেয়া যায়।
আর এই সমস্ত কিছুই করা যাচ্ছে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে। মোবাইলে যদি ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে অতি সহজেই উপরোক্ত বিষয় গুলো এপ্লাই করার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহন করা যায়।
ওনলাইন ইনকাম
এক সময় ছাত্র জীবনে ইনকাম বিষয়টি নিয়ে কেও চিন্তাও করতো না কারণ কোন প্রকার সুযোগ ছিলনা। কিন্তু বর্তমান সময়ে তার চিত্র একদম আলাদা কেননা হাই স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ ও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অতি সহজেই ভালো মানের টাকা আয় করছে। এছাড়াও মোবাইল দিয়ে ফ্রিলান্সিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।
এখন অনলাইন মাধ্যম এতটা সহজ হয়ে গিয়েছে যে, চাইলেই যেকোনো স্থানে বসেই মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। ভিডিও তৈরি করা থেকে শুরু করে আর্টিকেল রাইটিং করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ভালো মানের টাকা আয় করা সম্ভব।
এখন ফেসবু, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম থেকে অতি সহজে টাকা আয় করা যায়। সাধারণভাবেই ইউটিউবের জন্য চ্যানেল খুলে সেই চ্যানেলে যে সমস্ত ভিডিও আপলোড করা হবে একই ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করার মাধ্যমেও ইনকাম করা সম্ভব।
ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা আয় করা নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করা রয়েছ চাইলে সেটি দেখতে পারেন এবং ছাত্র জীবনে আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার শুরু করে দিতে পারেন।
বর্তমান সময়ে অনেকেই রয়েছেন ফ্রিলান্সিং করার মাধ্যমে আলো মানের টাকা আয় করা সম্ভব কারণ ছাত্র জীবনে অনেক সময় রয়েছে যে সময় টুকু কাজে লাগিয়ে ফ্রিলান্সিং করে একজন ছাত্র ভালো মানের টাকা আয় করতে পারে এবং শিক্ষা জীবন শেষ হতে না হতেই নিজের ভালো একটি ক্যারিয়ার গঠন করে ফেলতে পারে।
যোগাযোগ কাজে মোবাইল ফোন
ব্যাক্তিগত কাজ থেকে প্রয়োজনীয় কাজ সব ক্ষেত্রেই এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই কয়েক বছর পূর্বেও মানুষ যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে চিঠি পত্র ব্যবহার করতো কিন্তু বর্তমানে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপন করছে।
ঠিক ছাত্রদের জন্য অনেক বেশী উপকারি ভূমিকা পালন করছে মোবাইল ফোন কারণ আধুনিক যুগে মোবাইল দিয়ে যোগাযোগ হয়ে থাকে। একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলতে চাইলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে অথবা কোন বিষয় জানতে চাইলে মোবাইল থেকেই সার্চ করে থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় কোন একটি কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা যায়না এবং কি কারণে উপস্থিত নেই সেটি কর্তিপক্ষকে জানানোর জন্য মোবাইল ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্য কোন প্রয়োজনে স্কুলের কর্তিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে মোবাইল ফোন ব্যবহার হয়ে থাকে।
কেও যদি বিদেশের কোন এক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চাইলে সেই প্রতিষ্ঠানের বিষয় এবং বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে অবশ্যই যোগাযোগ করার প্রয়োজন হয়ে থাকে এই ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট কানেসশন থাকলে অতি সহজেই সম্ভব হয়।
রিসার্চ করার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার
বিশ্বের পরিবেশের যেমন পরিবর্তন হয়েছে প্রযুক্তির আবির্ভাবের কারণে ঠিক তেমনি হয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে কেননা এক সময় পাঠদান করার জন্য শুধুমাত্র স্কুল, কলেজ ছাড়া কোন প্রকার উপায় ছিলনা কিন্তু বর্তমানে ঘরে বসেই সমস্ত বিষয় জানা যায় এবং পড়া যায়। একজন ছাত্রের জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
লেখা পড়া চলাকালিন অবস্থায় কোন একটি বিষয় বুঝতে না পারলে শুধুমাত্র মোবাইল ফোন থেকে যেকোনো একটি ইন্টারনেট ব্রাউজার ওপেন করে সেই বিষয় লিখে সার্চ করার সাথে সাথে হাজার ধরণের উত্তর পাওয়া যায়, যার ফলে একজন ছাত্র অতি সহজেই যেকোনো বিষয়ের সমস্যা সমাধান করতে পারে।
বিশেষ করে মেডিক্যালে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য মোবাইল ফোন অতি প্রয়োজনীয় একটি বস্তু কেননা তাদের প্রতিটি লেসন জানতে হয় ও পড়তে হয়। কোন একটি বিষয় মিস হয়ে গেলে সেই বিষয় অনলাইন থেকে সার্চ করার মাধ্যমে অতি সহজেই জানা যায়।
আরও দেখুনঃ যে সমস্ত কাজ শিখলে ফ্রিলান্সিং করে আয় করা যায়
এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে বেশ পরিবর্তন করেছে মোবাইল ফোন কারণ প্রতিটি বিষয় ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখে শিখে নেয়া যায়। যেকোনো প্রশ্নের উত্তর থেকে শুরু করে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করার জন্য গুগল সার্চ করাটাই যথেষ্ট কেননা গুগলে যে বিষয় লিখে সার্চ করা হয় সমস্ত বিষয় অতি সহজেই জানা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া তথ্যভান্ডার থেকে জ্ঞান অর্জন করা
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, টুইটার, লিংকডিন এবং এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত নেই এমন কাওকে হয়ত খুজে পাওয়া যাবেনা।
এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে এমন কিছু গ্রুপ এবং পেজ রয়েছে যেখানে প্রতিনিয়ত শিক্ষামূলক পোস্ট শেয়ার করা হয়ে থাকে যার ফলে এই সমস্ত গ্রুপ এবং পেজের সাথে যুক্ত থেকে অতি সহজেই তথ্য গুলো জানার মাধ্যমে নিজের জ্ঞানের পরিধি অতি সহজেই বাড়িয়ে নেয়া যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত থাকার মাধ্যমে দেশ এবং দেশের বাইরের সব ধরণের খবর অতি সহজেই জানা যায়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পাওয়া যায় যেগুলো বিভন্ন ধরণের তথ্য পাওয়া যায়।
তাই বলা যেতেই পারে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার মাধ্যমে অতি সহজেই জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র নিজের প্রচেষ্টা এবং ইচ্ছা শিক্তি থাকলেই হবে।
ই-লার্নিং সুবিধা গ্রহণ
বর্তমান সময়ের জন্য ই-লার্নিং হচ্ছে একটি যুগান্তকারী আবিস্কার। যেকোনো বইয়ের পিডিএফ ফাইল অতি সহজেই অনলাইনে সারচ করার মাধ্যমে খুজে বের করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় ক্লাস শুরু হওয়ার পূর্বে অনেকেই বই পড়া শুরু করে দেয় এবং এক্ষেত্রে বরি বের হওয়ার পূর্বেই অনলাইন থেকে সার্চ করে বই বের করা যায় এবং সেগুলো পড়া যায়।
এছাড়াও অনেকে আছে দরিদ্র পরিবারের এবং সে বই কিনে পড়তে অনেক বেশী কষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এই ই-লার্নিং এমন এক সুবিধা দিয়েছে যে অনলাইনে ফ্রি বই পাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের টিউশন নেয়া যাচ্ছে একদম ফ্রিতে এতে আলাদাভাবে টিউশন ফি প্রদান করতে হয়না।
চাইলেই ইউটিউব অথবা গুগলে সার্চ করার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর ও ভিডিও পাওয়া যায় এবং অতি সহজেই শিক্ষা গ্রহন করা যায়। অনলাইন থেকে ই-বুক পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে চাইলে বইয়ের নাম লিখে সাথে পিডিএফ লিখে দিলেই বই চলে আসবে এবং সেটি মোবাইলে ডাউনলোড করে যেকোনো সময় পড়া যায়।
অনলাইনে একাডেমিক কাজ সম্পাদন
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব ব্যাপী অনলাইনে শিক্ষাক্রম শুরু হয় যা প্রতিট ছাত্রের জন্য অনেক বেশী উপকারি ভূমিকা পালন করছে। যখন বিশ্ব জুড়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন শিক্ষা কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনলাইন শিক্ষাক্রম শুরু হয়ে যায় যার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম সচল থাকে এবং পাঠ্যদান ভালোভাবেই চলতে থাকে।
যদিও মহামারি শেষ হয়ে গিয়েছে কিন্তু অনলাইনে শিক্ষাদান এখনো চালু রয়েছে যার ফলে একজন ছাত্র অতি সহজেই অনলাইন থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে পারে। কোন একটি বিষয় না বুঝলে অনলাইনে সার্চ করে অতি সহজেই জানতে পারে।
এখন সরাসরি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার Registration করা, বেতন দেওয়া, পরীক্ষার ফি প্রদান, ফলাফল বের করা ইত্যাদি এখন ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে করা সম্ভব।
ছবি এবং ভিডিও ধারণ করার জন্য মোবাইল ফোন
বর্তমান সময়ে ছবি তোলার জন্য মোবাইল ফোন অনেক বেশী উপকারি একটি বস্তুতে পরিনত হয়েছে। যদিও ডিএসএলআর এর মত বেশ কিছু ক্যামেরা ডিভাইস রয়েছে কিন্তু সর্বদা মোবাইল ফোন কাছে থাকে যার ফলে মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে থাকে।
অনেক সময় দেখা যায়, কাছে বই না থাকলে অন্য জনের কাছে থেকে বই নিতে হয় কিন্তু মোবাইল ফোন থাকার ফলে অতি সহজেই বইয়ের পাতার ছবি তুলে রাখা যায় এবং সেই সাথে যেকোনো জায়গায় বসে মোবাইল থেকে বই পড়া যায়।
বর্তমান সময়ে ইউটিউবে সার্চ করলে অনেক শিক্ষা মূল্যক ভিডিও পাওয়া যায়। একজন ছাত্র চাইলেই টিউশনের ভিডিও গুলো ধারণ করে রেখে সেগুলো পরবর্তিতে দেখে পড়তে পারবে।
অনেক ছাত্র রয়েছে যারা নিজে নিজেই মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করছে। চাইলে যেকোনো ছাত্র অতি সহজেই ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবে।
এছাড়াও কাছে যদি একটি ভালো মানের ফোন থাকে যেটি দিয়ে হাই রেজোলিউশনের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করা যায়। এক্ষেত্রে দেখা যাবে যে, মোবাইল দিয়ে ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে সেগুলো ওয়েবসাইটে বিক্রি করার ভালো মানের টাকা আয় করা যায়।
শেষ কথাঃ এই ছিল ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আর্টিকেল। আশা করছি তথ্য গুলো অনেক কার্যকারী হবে। যদি আরও কিছু জানার থাকে অবশ্যই কমেন্ট করবেন এবং সেই সাথে আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে সেই মন্তব্য করতে ভুলবেন না। অবশ্যই শেয়ার করবেন কেননা আপনার জন্য অনেকে এই তথ্য গুলো জানতে পারবে।