টিপসব্লগ পোস্টলাইফ স্টাইল

জন্ম নিবন্ধন যাচাই মোবাইল দিয়ে মাত্র ২ মিনিটে

স্কুল থেকে শুরু করে কর্ম জীবন প্রায় সর্ব ক্ষেত্রে গেলেই আমাদের প্রয়োজন হয় জন্ম সনদের। কিন্তু যদি এই জন্ম সনদ না থাকে তাহলে পরতে হয় নানা ধরণের বিরম্বনায়। তাই জন্ম নিবন্ধন যাচাই নিয়ে অনেকেই গুগল থেকে সার্চ করে থাকে।

আমাদের মধ্যে অনেকের কাছে তার জন্ম নিবন্ধন রয়েছে আবার অনেকের কাছে নেই। বর্তমানে জন্ম নিবন্ধের যে ডিজিটাল কপি দেয়া হচ্ছে সেটি বেশীরভাগ মানুষের কাছেই নেই যার কারণে তারা অনবরত বিভিন্ন ধরণের সমস্যার মধ্যে পরছে।

তাই তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন এবং স্টেপ বাই স্টেপ কাজ করে থাকেন তাহলে মুহূর্তের মধ্যেই আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে নিতে পারবেন।

আর হ্যা আপনি অবশ্যই এই আর্টিকেলটি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন কেননা অনেকেই আছেন সময় নিয়ে না দেখেই কাজ করতে চান কিন্তু কিছুই করতে পারেননা।

তাই আপনি একটু সময় নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আছে কিনা সেটি নিজের হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই নিজে নিজেই যাচাই করুন।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই

জন্ম নিবন্ধন যাচাই এর পাশাপাশি প্রথমে আমি আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা জানিয়ে দিতে চাই যে কথা গুলো একজন বাংলাদেশ হিসাবে প্রতিটি মানুষের জানা অতিব জরুরি।

আমরা জন্ম নিবন্ধন কেন করি সেই প্রশ্ন কি কোনদিন আপনার মনের মধ্যে এসেছে? জন্ম নিবন্ধন হচ্ছে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট বিশেষ করে যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে কেননা ১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদেরকে স্কুল বা কলেজে ভর্তি হতে হয় আর জন্ম নিবন্ধন ছাড়া স্কুল বা কলেজে ভর্তি হওয়া যায়না।

বিশেষ করে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে আপনার কাছে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র থাকার পাশাপাশি একটি জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে আবার যখন জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করা হবে তখনো জন্ম সনদ প্রয়োজন হয় কেননা জাতীয় পরিচয় পত্রে আমাদের জন্ম তারিখ উল্লেখ করতে হয়।

বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে প্রতিটি মানুষ এই জন্ম নিবন্ধন পেয়ে থাকে আর এই জন্ম নিবন্ধনে নিজের ব্যাক্তিগত সমস্ত পরিচয় দেয়া থাকে যেমনঃ পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম স্থান এবং আপনার জন্মনের সঠিক তারিখ।

এমন কি এই জন্ম নিবন্ধন এমন একটি প্রসিডিউর যেখানে নিজের সঠিক বয়স দেয়া থাকে যার ফলে চাকরি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে কাজে লাগে।

অনেক সময় দেখা যায় বয়স শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে চাকরিতে এপ্লাই করা যায়না। কিন্তু নিজের কাছে যদি জন্ম সনদটি থাকে তাহলে শিক্ষাগত সার্ফিকেটের মধ্যে সেই বয়স যুক্ত করে দেয়ার মাধ্যমে নিজের বয়স সিমা নির্ধারন করা হয় এবং চাকরিতে যোগদান করা যায়।

জন্ম নিব্ধন যাচাই এর পাশাপাশি যে সমস্ত তথ্য জানা দরকার তার সাধারণ কিছু বিষয় আপনাকে জানিয়ে দেয়া হল আশা করছি আপনি উপকৃত হয়েছেন। তাহলে চলুন এখন দেয়া নেয়া যাক, অনলাইন থেকে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা যায় সেটি ধাপে ধাপে নেয়া যাক।

জন্ম নিবন্ধ যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা

বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরণের কাজ থেকে যায় আর তাদের কাজ গুলো ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারণে প্রয়োজন গুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আর তাই নানা বিধ কারণে জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করার দরকার হয়ে থাকে।

যেহেতু অনলাইন থেকে জন্ম সনদ যাচাই করার ক্ষেত্রে কোন প্রকার টাকা খরচ করার দরকার হয়না তাই যেকোনো সময় আপনি চাইলেই এটি যাচাই করে ফেলতে পারেন। স্কুল হোক বা কলেজ যে কাজেই হোক না কেন আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ডাউনলোড করে নিতে পারেন অথবা যাচাই করে নিতে পারেন।

আপনি যে কারণে জন্ম সনদ যাচাই করতে চাইছেন হয়ত অন্য কারো জন্য অন্য কোন কারণ হতে পারে। তাই একটু চোখ বুলিয়ে জেনেনিন জন্ম নিবন্ধ যাচাই করার কিছু প্রয়োজনীয়তা।

  • আপনার জন্ম সনদটি অনলাইনে আছে কিনা অথবা ডিজিটালাইজেশন হয়েছে কিনা সেটি জানার জন্য জন্ম সনদ যাচাই করা হয়ে থাকে। যেহেতু বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহার করে অতি সহজেই যেকোনো জন্ম সনদ নকল করা যায় তাই এটি অনেক বেশী জরুরী। আর একমাত্র অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে বোঝা যাবে জন্ম নিবন্ধ সনদটি সঠিক আছে কিনা। যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন নকল হয়ে থাকে তাহলে সেটি নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে অনলাইনে সার্চ করলে তার ডেটা খুজে পাওয়া যাবেনা। তাই আসল নকল পরিক্ষা করার জন্য অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হয়।
  • বিশেষ করে প্রাইমারি লেভেল এবং হাই স্কুল লেভেলে ভর্তির সময় জন্ম সনদ দরকার হয়ে থাকে। আর এই সময়ে যদি জন্ম সনদের ডিজিটাল কপি কাছে না থাকে তাহলে অনলাইন থেকে যাচাই করে সেটিকে ডাউনলোড করার মাধ্যেম ভর্তির কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • এছাড়াও নতুনভাবে ভোটার হওয়ার জন্য প্রথমেই যে কাগজটির দরকার হয় সেটি হচ্ছে জন্ম সনদ। আপনার কাছে যদি জন্ম সনদ না থাকে তাহলে আপনি ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তাই নতুন ভোটার হওয়ার জন্য জন্ম সনদ যাচাই করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
  • বর্তমানে সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হচ্ছে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন। বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের কাছে ডিজিটাল জন্ম সনদ থাকাটা অনেক বেশী জরুরী। আর আবেদন করার কিছুদিন পরেই নিজে নিজে চেক করে নেয়া যাবে আপনার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল হয়েছে কিনা?

এই সমস্ত কারণ ছাড়াও আরও অনেক কারণ রয়েছে যার কারণে জন্ম নিবন্ধ যাচাই করতে হয়। যাই হোক, এখন চলুন স্টেপ বাই স্টেপ দেখে নেয়া যাক কিভাবে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হয়?

জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক

যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার জন্ম নিব্ধন অনলাইন করন করছেন তাই এখন নিজের ঘরে বসেই হাতে থাকা মোবাইল ব্যবহার করেই জেনে নেয়া যায় নিজের জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইনে আছে কিনা?

আপনি বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন? সেখানে বসেই হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার জন্ম সনদটি যাচাই এর পাশাপাশি, ভূল সংশোধন, নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন সমস্ত কিছু করতে পারবেন।

অনেকেই আছেন পার্শবর্তি কম্পিউটারের কোন একটি হাব বা দোকান থেকে ভূয়া জন্ম সনদ তৈরি করে থাকে এবং কাজে লাগাতে চান কিন্তু এই ডিজিটাল বা তথ্য প্রযুক্তির যুগে সেটি করা সম্ভব নয় কারণ এখন জন্ম নিবন্ধ যাচাই অনেক বেশী সহজ প্রসিডিউরে পরিনত হয়েছে তাই আপনিও দেখতে পারবেন আপনার জন্ম নিবন্ধটি সঠিক না ভূয়া।

আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য দুটি বিষয় জেনে রাখবেন আর সেটি হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং সাথে থাকতে হবে সঠিক জন্ম তারিখ।

আপনার হাতে যে এনালগ নিবন্ধন রয়েছে সেটিতে আপনার জন্ম তারিখ এবং জন্ম নিবন্ধ নাম্বার যুক্ত করা আছে আর সেটি ব্যবহার করেই দুই মিনিটের মধ্যে আপনি সমস্ত কিছু জানতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হলে আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশ সরকার কর্তিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে। আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ সমস্ত কিছু জানিয়ে দেয়া হচ্ছে আপনি শুধু ফলো করুন এবং কাজ করতে থাকুন তাহলেই নিজের জন্ম সনদ দেখতে পারবেন।

ধাপ ১ঃ জন্ম নিবন্ধন যাচাই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে একটি লিংককে ক্লিক করতে হবে। আর ওয়েবসাইট লিংকটি আমি নিচে যুক্ত করে দিচ্ছি আপনি শুধু ক্লিক করে দিন তাতেই সেই ওয়েবসাইটে আপনি চলে যেতে পারবেন।

ওয়েবসাইট লিংক ক্লিক করুন

লিংকটিতে ক্লিক করার পরে নিচে দেয়া ছবির মত একটি পেজ ওপেন হবে এবং সেই পেজ থেকে আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে সার্চে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনাকে শুধু ইন্সট্রাকশন দিয়ে দেয়া হবে এবং সেই অনুযায়ী আপনাকে নিজে নিজেই কাজ করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই

আপনি যে ফরমটি দেখতে পাচ্ছেন এই ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে দিতে পারলেই আপনার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল হয়েছে কিনা সেটি যাচাই করতে পারবেন সেই সাথে ডাউনলোড করে নিজে মোবাইল অথবা কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে পারবেন।

কিভাবে ডাউনলোড করবেন এবং সেভ করবেন সেটি ধাপে ধাপে চলে আসবে আপনি শুধু ইন্সট্রাকশন দেখতে থাকুন এবং সেই সাথে কাজ করতে থাকুন।

ধাপ ২ঃ জন্ম নিবন্ধন নাম্বার প্রদান করুন

Birth Registration Number লেখা এই খালি বক্সে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটি দিন। আপনার আপনার পুরাতন জন্ম নিবন্ধন কাগজে একটি জম্ন নিবন্ধন নাম্বার দেখতে পাবেন এবং সেই নাম্বারটি আপনাকে এখানে দিয়ে দিতে হবে।

খেয়াল রাখবেন নাম্বারটি ১৭ ডিজিটের হবে এবং সেই সাথে একটি নাম্বারও ভূল করা যাবে না। যদি ভূল হয় তাহলে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেননা।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই

আপনি অবশ্যই যে জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটি দিবেন সেটি সঠিক হতে হবে নতুবা আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটি যাচাই করতে পারবেননা।

আশা করছি আপনি সঠিকভাবে প্রথম স্টেপটি পূরণ করতে পেরেছেন। এখন চলুন দ্বিতীয় স্টেপে চলে জাওয়া যাক।

স্টেপ ২ঃ জন্ম তারিখ প্রদান করুন

আপনার জন্ম নিব্ধনে আপনার জন্ম তারিখ দেয়া আছে সেটি আপনাকে সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।

এখানেও একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় রয়েছে আর সেটি হচ্ছে আপনার জন্ম তারিখটিও সঠিক হতে হবে নতুবা এরর দেখাবে।

আশা করছি আপনি এই স্টেপ ও ভালোভাবে করে নিয়েছেন। এখন চলুন লাস্ট স্টেপে চলে যাওয়া  যাক। এটিই হচ্ছে লাস্ট স্টেপ আর এই স্টেপ পূরণ করতে পারলেই আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে সক্ষম হবেন।

স্টেপ ৩ঃ ক্যাপচা পূরণ করুন

এই ক্যাপচাটি পূরণ হয়ে গেলে আপনাকে নিচে দেয়া সার্চ বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে। একটু সময় লোডিং হওয়ার পরেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে ফেলতে পারবেন এবং ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কিভাবে ডাউনলোড করতে হবে সেটি দেখতে পরের স্টেপ ফলো করুন।

নোটঃ আপনি সমস্ত কিছু দিয়ে সার্চ বাটনে ক্লিক করার পরে যদি Record Not Found লেখা আসে তাহলে বুঝতে হবে আপনি যে সমস্ত তথ্য দিয়েছেন সেটি ভূল আছে অথবা আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে নেই। তাই আবার নতুন করে তথ্য দিয়ে সার্চ করে দেখুন। তাছাড়াও আপনার কাছে যদি নকল বা জাল জন্ম নিবন্ধন সনদ থেকে থাকে তাহলে সেটির তথ্য আপনি কোনভাবেই অনলাইন থেকে পাবেননা।

স্টেপ ৪ঃ জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড pdf

এই শেষ স্টেপটি ফলো করলেই আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা শেষ করেই এটি নিজের মোবাইল অথবা কম্পিউটারে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন আর সেটি হবে পিডিএফ ফাইলে তাই যেকোনো সময় আপনি এই ডাউনলোড ফাইলটি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

আপনি যদি মোবাইল থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে থাকেন তাহলে আপনার সামনে একটি ডাউনলোড বাটন চলে আসবে সেখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

আর আপনি যদি কম্পিউটার থেকে যাচাই করে থাকেন তাহলে আপনি আপনার কি বোর্ড থেকে চাপুন Ctrl+p আর এটি চাপার পরে আপনার সামনে প্রিন্ট এর অপশন চলে আসবে।

এখন আপনি একদম উপরে দেখুন Destination লেখা আসে সেখান থেকে অপশন পরিবর্তন করে পিডিএফ করে নিবেন এবং ডাউনলোড করে নিবেন। আর যদি আপনার কাছে প্রিন্টার থাকে তাহলে সেটি সরাসরি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। অনেক সময় মোবাইল দিয়ে এটি হয়তো ডাউনলোড করা যাবেনা তাই আপনাকে স্ক্রিন সুট নিতে হবে।

একটি কথা আপনাকে না জানালেই নয়, এই অনলাইন কপিটি অরজিনাল জন্ম নিবন্ধনের মত হবেনা কারণ এটি হচ্ছে অনলাইন কপি কিন্তু আপনি এটি কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।

অরজিনাল এনআইডি কার্ড পেতে হলে আপনাকে পার্শবর্তি ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভাতে গিয়ে নিয়ে আসতে হবে। আশা করছি আপনি সফলভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রটি যাচাই করতে পেরেছেন এবং সেই সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে গিয়েছেন।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক apps

আমাদের মধ্যেই চায় যে খুব সহজেই মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে জন্ম নিন্ধন যাচাই করতে করতে একটি কথা মনে রাখতে হবে, এ অবদি জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য অনলাইন ভিত্তিক কোন প্রকার অ্যাপ এভাইলেবল নেই।

আপনাকে শুধুমাত্র উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনেই কাজ করার মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনটি যাচাই এর পাশাপাশি ডাউনলোড করে নিতে হবে। বিশেষ করে সরকারি সেবা গুলো পাওয়ার জন্য অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে আর সেগুলো ব্যবহার করেই সমস্ত কাজ গুলো সম্পাদন হয়ে থাকে তাই আলাদাভাবে কোন অ্যাপ ডেভেলপ করা হয়নি।

আর যদি আপনি অ্যাপ ব্যবহার করে জন্ম নিন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড করতে চান তাহলে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করে নিতে হবে আর এই ক্ষেত্রে তথ্য চুরির সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই আপনার উচিত হবে কোন প্রকার অ্যাপ ব্যবহার না করে সরাসরি ওয়েবসাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করা।

এছাড়াও আপনি যদি নিতান্তই অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার জন্ম সনদটি যাচাই করতে চান তাহলে আপনাকে গুগল প্লে স্টর থেকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে আর এই অ্যাপটির নাম হচ্ছে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

আপনি যদি অ্যাপটি ডাউনলোড করতে চান তাহলে নিচে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন এবং সেই অনুযায়ী অ্যাপ থেকে যাচাই করেনিন। যাচাই করে সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন আপনার জন্য নতুন একটি আর্টিকেল যুক্ত করে দিবো নতুবা অন্য কোন ভাবে সাহায্য করবো।

হারিয়ে জাওয়া সনদ ডাউনলোড করার নিয়ম

আপনার জন্ম নিবন্ধনটি যদি হারিয়ে যায় তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল তথ্য সেভা কেন্দ্রে যোগাযোগ করার মাধ্যমে সেটি ডাউনলোড করিয়ে নিতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনি যদি পৌরসভার মধ্যে বসবাস করে থাকেন তাহলে সেখানে গিয়ে কথা বলতে হবে অথবা আপনি যদি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে বসবাস করেন তাহলে আপনাকে সেখানে যেতে হবে।

এছাড়া আপনার জন্ম সনদটি যদি হ্যান্ড রাইটিং বা হাতে লেখা থাকে তাহলে আপনি সেটি নিয়ে গেলেই কিছু ফি নেয়ার মাধ্যমে নতুন করে অনলাইন করে দিবে এবং আপনার জন্ম সনদটি ডিজিটাল করে দিবে।

এ ক্ষেত্রে হয়তো কিছুদিন সময় লাগতে পারে। আপনাকে আবার স্মরণ  করিয়ে দিতে চাই যে, আপনি অনলাইন থেকে কোনভাবেই জন্ম সনদের মূল কপি ডাউনলোড করতে পারবেননা। অরিজিনাল বা মূল কপি পেতে হলে আপনাকে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।

জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

উপরোক্ত বিষয় গুলো ফলো করলে আপনি সঠিক ভাবেই আপনার জন্ম সনদ যাচাই করে নিতে পারবেন। তারপরেও জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি যে, শুধুমাত্র জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম সনদ যাচাই করা সম্ভব নয়।

জন্ম তারিখের পাশাপাশি অবশ্যই জন্ম নিব্ধন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দরকার হয়। যখন জন্ম তারিখ এবং সেই সাথে জন্ম নিব্ধন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এই দুটি তথ্য একত্রে থাকবে তখন অনলাইন থেকে অতি সহজেই জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা সম্ভব হবে। আশা করছি আপনি এই আর্টিকেলটি থেকে সমস্ত কিছুই বুঝতে পেরেছেন।

আপনি আপনার পুরাতন জন্ম সনদটি ব্যবহার করার মাধ্যমে সেখান থেকে জন্ম তারিখ এবং রেজিস্ট্রেশন নাম্বার উভয় ব্যবহার করে অনলাইন থেকে নিবন্ধনটি যাচাই করেনিন।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি

আপনি চাইলেই আপনার যাচাই কৃত অনলাইন কপিটি মোবাইলে সেভ করে রাখতে পারবেন অথবা কম্পিউটার থেকে সরাসরি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। ফলাফলটি আসার পর কম্পিউটার কি-বোর্ড থেকে Ctrl+P বাটনটি একসাথে চেপে ধরুন। চেপে ধরার পরে দেখতে পারবেন নতুন একটি ইউন্ড ওপেন হবে।

এখন আপনি চাইলেই আপনার যাচাই কৃত কপিটি পিডিএফ আকারে সেভ করে নিতে পারবেন অথবা সরাসরি প্রিন্টারের মাধ্যমে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। যদি মোবাইল থেকে হয় তাহলে দেখতে পারবেন উপরেই ডাউনলোড অপশন রয়েছে সেখান থেকে ডাউনলোড করেনিন।

আর যদি কম্পিউটার হয় তাহলে নতুন ওপেন হওয়া পপআপ থেকে দেখুন Destination লেখা আছে সেখান থেকে প্রিন্ট অপশন থেকে Pdf করে নিয়ে সেভ করুন তাহলেই ডাউনলোড হয়ে যাবে।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই 19860915428117351

নাম্বারসহ হেডিংটি দেয়ার একটি কারণ রয়েছে আর সেটি হচ্ছে হেডিং এর পাশে যে নাম্বারটি রয়েছে সেটি মূলত জন্ম নিবন্ধন নাম্বার। আপনার পুরাতন জন্ম সনদে এমন নাম্বার দেয়া থাকবে আর এই নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ব্যবহার করেই আপনাকে অনলাইন ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে নিতে হবে।

FAQ – প্রশ্ন উত্তর

চলুন জন্ম নিন্ধন নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন এবং উত্তর গুলো জেনে নেয়া যাক। আশা করছি কম সময়ে অনেক কিছু শিখে নিতে পারবেন।

কোন ওয়েবসাইট থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা যায়?

অনলাইন থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই এবং সেই সাথে ডাউনলোড করার জন্য everify.bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।

হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবো কিভাবে?

আপনার কাছে যদি হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন থেকে থাকে তাহলে আপনাকে নিক্টস্থ পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নতুন করে ফি জমা দেয়ার মাধ্যমে পাওয়য়া যাবে।

১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবো কিভাবে?

আপনার জন্ম নিবন্ধনটি যদি ১৬ ডিজিটের হয় তাহলে আপনাকে শেষ ৫ ডিজিটের পূর্বে ০ বসিয়ে দিলেই কাজ হয়ে যাবে।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আছে কিনা জানবো কিভাবে?

আপনি everify.bdris.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার মাধ্যমে যাচাই করে নিতে পারবেন।

জন্ম তারিখ ও নাম ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবো কিভাবে?

আপনি যদি পৌরসভা এরিয়ার মধ্যে বসবাস করেন তাহলে পৌরসভাতে যেতে হবে আর যদি ইউনিয়ন পরিষদ এরিয়াতে বসবাস করেন তাহলে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হবে।

জন্ম নিন্ধন যাচাই ও ডাউনলোড করবো কিভাবে?

এর জন্য আপনাকে কম্পিউটার ব্যবহার করে everify.bdris.gov.bd এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে এবং সঠিক তথ্য দিয়ে যাচাই করার পর কি-বোর্ড থেকে Ctrl+p চাপতে হবে এবং ডাউনলোড করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে কত টাকা ফি দিতে হয়?

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে কোন প্রকার ফি প্রদান করতে হয়না এটি ফ্রিতেই করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *