টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী কি এবং কিভাবে গঠন হয়?
টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী কি বিষয়টি অনেকের কাছে একদম নতুন হতে পারে কারণ এমন নাম যে মন্ত্রি সভায় থাকতে পারে এমন বিষয় বেশীরভাগ মানুষের একটি খটকা লেগে থাকে।
তাই আমি আজকে আপনাকে এই টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী সম্পর্কে সমস্ত কিছু বিস্তারিত জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো সেই সাথে বর্তমানে এই মন্ত্রি কে ও কিভাবে ঘঠন হয় সমস্ত কিছুই বিস্তারিত জানাবো।
নামটি যেহেতু টেকনোলজি রিলেটেড তাই আশা করবো টেকিভাবেই বুঝিয়ে দেয়ার জন্য তাই একটু খানি সময় নিয়ে পড়ুন এবং টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী কি বা কাকে বলে?
যে সমস্ত সদস্য বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ার পরেও এবং সংসদ সদস্য না হয়েও মন্ত্রী সভায় স্থান পান বা জায়গা পান তাদেরকেই মূলত টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী বলা হয় থাকে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে মন্ত্রি মহোদয়দের মধ্যে মাত্র গুটি কয়েক জনকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী করা হয়। বিশেষ করে এগুলো মানুষের ভোটের ভিত্তি ছাড়াই হয়ে থাকে।
কারণ যোগ্য মানুষকে এই দায়িত্বে বসিয়ে দেয়া হয় এবং তার সাথে প্রতিমন্ত্রি দিয়ে দেয়া হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংঘঠিত হয়। আর এই নির্বাচনে যারা জয় লাভ করে তাদেরকেই শুধু মাত্র সংসদ সদস্য বলা হয়ে থাকে কিন্তু টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের কে সংসদ সদস্য বলা হয়না।
টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী কয়জন?
বিশেষ করে মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর সংখ্যা কোনোভাবেই মন্ত্রিসভার এক -দশমাংশের বেশি হতে পারেনা কারণ এটি এমনভাবে তৈরি করা হয় যে শুধুমাত্র যারা এই পদের জন্য যোগ্য তারাই মন্ত্রির দায়িত্ব পেয়ে থাকে।
যোগ্য মানুষ ছাড়া এই পদে কাওকে নেয়া যাবেনা বরং যারা যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ তাদেরকেই শুধু টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসাবে সংসদে জায়গা দেয়া হয়।
সংবিধানের নিয়ম অনুসারে জাতীয় নির্বাচনের আগেই বর্তমান সরকারের নির্বাচন ছাড়া বা অনির্বাচিত মন্ত্রি ভূমিকা থাকতে পারেনা বা কোন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী থাকার মত অধিকার রাখেনা।
বিশেষ করে নির্বাচনের আগেই যখন জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে যায় তার ঠিক ৯০ দিন পূর্বেই টেকনোক্র্যাট মন্ত্রি মহোদয়দেরকে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়।
পরবর্তিতে নব নির্বাচিত সরকার গঠন হওয়ার পরে নতুন করে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রির নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এখানেই ঐ একি বিষয় যোগ্য মানুষ ছাড়া জায়গা পায়না।
এই অনুপাতে বর্তমান সময়ে একাদশ জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের মোট টেকনোক্র্যাট মন্ত্রির সংখ্যা ৩ জন।
👉ঘরে বসেই মোবইল দিয়ে আয় করার উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুন
বর্তমান টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ২০২৩
ইতোমধ্যে আপনাকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী কি এবং কিভাবে ঘঠন হয় ও কতজন মন্ত্রি বর্তমানে রয়েছে সমস্ত কিছু বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছি।
এখন এই তিন জন মন্ত্রি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক। বর্তমান যে তিনজন মন্ত্রি রয়েছেন তারা হলেন,
- ইয়াফেস ওসমান -বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী
- মোস্তফা জব্বার -বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী
- শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ -ধর্ম প্রতিমন্ত্রি
ইয়াফেস ওসমান (জন্ম ১ মে, ১৯৪৬)

তিনি বর্তমান সময়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী কিন্তু এক সময় তিনি একই মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯৪৬ সালের ১লা মে।
তিনি গত ২০১৫ সালের ১৮ই জুলাই থেকেই বাংলাদেহশ সরকার কর্তিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন।
সেই সাথে তিনি বাংলাদেশ স্থপিত ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত আছেন।
মোস্তফা জব্বার ( জন্ম: ১২ই আগস্ট, ১৯৪৯ )

তিনি বর্তমান সময়ের সরকার শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন।
তাছাড়াও তিনি বাংলাদেশ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের সাবেক সভাপতি। এমনকি তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি।
শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ ( জন্ম ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ – মৃত্যু ১৩ জুন ২০২০ )

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
এক সময় শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন।
এগুলো দেখতে পারেন,
ফেসবুক থেকে ঘরে বসে আয় করার যত সব উপায় জানুন এখানে
সফলতার গল্প কয়েকটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া জানতে এখানে ক্লিক করুন
শেষ কথা
এই ছিল আজকের বিষয় বস্তু এবং কিভাবে সরকার কর্তিক ঘঠন করা হয়ে থাকে বিস্তারিত। আশা করছি আপনি সমস্ত কিছুই সমর্পকে বিস্তারিত জেনে গিয়েছেন।
তারপরেও যদি কোন প্রকার প্রশ্ন থেকে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন আমরা আপনার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।