নাথিং ফোন এর মধ্যে কি আছে যে আইফোনকে টেক্কা দিয়ে বিক্রিতে বাজিমাৎ করেছে
নাথিং ফোন 1 -বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত ফোন গুলোর মধ্যে যে ফোনটির কথা জনমুখে শোনা যায় সেটি হচ্ছে নাথিং ফোন। মানুষের মুখে মুখে এই ফোনের কথা ভাইরাল হওয়ার পেছনে কারণ রয়েছে আর সেটি হচ্ছে একমাত্র এই একটি ফোন যা আইফোনকে টেক্কা দিয়ে বাজারে সর্বচ্চ বিক্রি হয়েছে।
গত 12 জুলাই লন্ডনভিত্তিক প্রযুক্তি প্রশ্ন নাথিং ফোন তাদের প্রথম সিরিজের ফর নাথিং ফোন বিশ্ববাজারে উন্মোচন করার সাথে সাথে মানুষের কাছে অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন একটি পণ্য হিসেবে উঠে এসেছে।
আমরা কম বেশি সবাই ওয়ানপ্লাস সম্পর্কে জানি অর্থাৎ ওয়ান প্লাস ফোন সম্পর্কে ওয়ানপ্লাস ফোনেরসাবেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা কার্ল পেইনের তৈরি নাথিং ফোন বাজারে আসার পরপরই অভিযোগ ওঠে ফোনটা নিয়ে।
কিন্তু সমস্ত অভিযোগ কে পিছনে ফেলে যে সমস্ত প্রযুক্তিপ্রেমিক রয়েছে তাদের কাছে আস্থা তৈরি করতে তেমন বেশি সময় নেয়নি নাথিং ফোন 1 সেজন্যই ভারতের বাজারে বিক্রিত সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে নাথিং ফোন 1 ।
ভারতের বাজারে গত 20 দিনের সর্বমোট 1 লাখ ইউনিট ফোন বিক্রি করেছে তারা ।
ইন্ডিয়ার নাথিং ফোন ১ এর জেনারেল ম্যানেজার মনোজ শর্মা বলেছেন ফ্লিপকার্ট এর মাধ্যমে খুব সহজে নাথিং ফোনের মডেলটি শুধুমাত্র 20 দিনে 1 লাখ ইউনিট এর বেশি বিক্রি হয়েছে পাশাপাশি এই ফোন উন্মোচন করার সাথে সাথে অফলাইনে বিক্রি হয়েছে প্রচুর পরিমাণে সেটি হয়তো বা তাদের যে বিক্রির যে লিস্ট দিয়েছে সেখানে যুক্ত করা হয়নি যার কারণে তারা ১ লাখ ইউনিটকে শুধুমাত্র মানুষের সামনে তুলে ধরেছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে নাথিং ফোন বাজারে আসার পূর্বেই প্রায় 10 মিলিয়ন এর বেশি মানুষ তাদের যে নোটিফিকেশন বাটনে অটোমেটিক আগে থেকে ক্লিক করে রেখেছিলেন।
এর মানে বোঝা যায় যে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মানুষের এই ফোনের প্রতি অধিক বেশি আগ্রহ তাই ফোনটির নোটিফাই বাটনে ক্লিক করেছিল।
অধিক চাহিদা সম্পন্ন হওয়ার পিছনে কারন রয়েছে সেটি হচ্ছে বিশ্বের প্রথম সম্পুর্ন ট্রান্সপারেন্ট তাই চাইলেই ফোনের ভিতরে কি রয়েছে সেটি সম্পূর্ণ ভাবে একদম বাহির থেকে দেখা যাবে।
ফোনের প্রসেসর এবং মাদারবোর্ডের সম্পূর্ণ বস্তুগুলো আপনি খুব সহজে দেখতে পারবেন এই ফোনের বাইরের অংশ থেকেই।
ফিচার হিসেবে ফোনটিতে রয়েছে ডুয়েল সিম এবং সেইসাথে 120 হার্টজ রিফ্রেশ রেট। সেইসাথে ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 6.55 ইঞ্চি ফুল এইচডি ডিসপ্লে এবং সেই সাথে ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিল্লা গ্লাস।
ফোনটির ডিসপ্লেতে সর্বোচ্চ রেজুলেশন পাওয়া যাবে ১০৮০ বাই ২৪০০ পিক্সেল সাথে কর্নিং গরিলা গ্লাসের সুরক্ষা মিলবে সেইসাথে আপনি ফোনটি যদি হাত থেকে ফেলে দেন তারপর আপনার ফোনটি ভাঙার মতো কোনো ধরনের সম্ভাবনা থাকবে না।
অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে পাওয়া যাবে এন্ড্রয়েড ১২ আর এই অপারেটিং সিস্টেমটি হচ্ছে সর্বোচ্চ লেটেস্ট মডেল এবং সেই সাথে চিস্পসেট ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকম স্নাপড্রাগণ 730g পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে এবং সেইসাথে সর্বোচ্চ 256 জিবি ufs ও ৩.১ স্টোরেজ এর সুবিধা রয়েছে।
বিশেষ ক্ষেত্রে যারা ফটোগ্রাফিতে আগ্রহ তাদের জন্য এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ব্যাক প্যানেলে দুটি 50 মেগাপিক্সেলের সেন্সরসহ ডুয়েল ক্যামেরা এবং সেইসাথে প্রথমটি রয়েছে এফ/১.৮৮ অ্যাপারচার সহ ৫০ মেগাপিক্সেলের সনি আইএমএক্স৭৬৬ সেন্সর। খুব সহজে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন কাজ করবে এবং ইলেক্ট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন এর সুবিধা দিবে।
আর দ্বিতীয়টি এফ/২.২ অ্যাপারচার সহ ৫০ মেগাপিক্সেলের স্যামসাং জেএন১ আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, যা ইলেকট্রনিক ইমেজ স্টেবিলাইজেশনসহ ১১৪ ডিগ্রি ফিল্ড-অফ-ভিউ সুবিধা দেবে
রাতের বেলা ঝকঝকে ছবি তোলার জন্য এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে নাইট মোড সেই সাথে পোট্রেট মুড এবং সিন ডিটেকশন ও এক্সট্রিম নাইট মোড এবং সেইসাথে এক্সপার্ট মোটর ব্যবহার করা হয় সেই ফোনে।
ফোনের চার্জিং ধারণ ক্ষমতার জন্য রয়েছে 4500 এমএইচ ব্যাটারি এবং সেইসাথে খুব তাড়াতাড়ি চার্জ করার জন্য 33 ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিং সুবিধা।
এদিকে ফোনটি নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় এটি 3g 4g ও 5g সাপোর্ট এর সুবিধা রয়েছে।
এছাড়াও ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম যেন মুখের আবরণের সাথে খুব সহজে কাজ করতে পারে সেই সাথে তিন বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং সাইবার সিকিউরিটি প্যাচ যুক্ত করা হয়েছে।
স্টোরেজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় এ ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 8gb রম 128gb রম এবং সেই সাথে ভারতের মূল্য হিসেবে ফোনটির দাম ধরা হয়েছে 32 হাজার 993 রুপি বাংলাদেশের টাকা হবে 43 হাজার টাকা।
এদিকে যে ফোনটিতে 12gb রম 256gb রম ব্যবহার করেছে সে ফোনটির ভারতের মূল্য ধরা হয়েছে 38 হাজার 999 রুপি এবং বাংলাদেশী টাকা ধরা হয়েছে 52 হাজার টাকা।
সমস্ত দিক দিয়ে বিবেচনা করলেই খুব সহজেই বাজারে খুব দ্রুত প্রসার করতে পারবে।
আরও দেখুন,