ক্যারিয়ারব্লগ পোস্ট

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এবং কাজ কোথায় পাওয়া যায়?

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ -আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত বেকার সংখ্যা বেড়েই চলেছে এর কারণ হচ্ছে লেখা পড়ার পাশাপাশি বেশীরভাগ শিক্ষার্থিদের তেমন কোন স্কিল থাকেনা। আবার যাদের ভালো স্কিল রয়েছে তারা ভালো কোন এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।

বিশেষ করে আমাদের দেশে তেমন কোনো স্কিল শেখানো হয়না বললেই চলে। তাই আজ এমন একটি স্কিল ও পেশার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করবো যার মাধ্যেম আপনি চাইলে নিজের স্কিল বৃদ্ধি করার পাশাপাশি প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সেই স্কিল এর নাম হচ্ছে ফ্রিলান্সিং যেটি আপনি চাইলেই করতে পারবেন শুধু করতে হবে একটু খানি প্রচেষ্টা।

ফ্রিলান্সিং এমন একটি পেশা যেটি যে কেও চাইলে করতে পারে কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট। আপনার যদি কোনো কাজের প্রতি স্কিল থাকে সেই কাজের মাধ্যমেই আপনি প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আজকে শুধু ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবেনা। কিভাবে আপনি একজন সফল ফ্রিলান্সার হতে পারবেন এবং এমন কি কি কাজ রয়েছে যে গুলোর মধ্যে থেকে একটি শিখে নিতে পারলে আপনি ফ্রিলান্সার হতে পারবেন তার সমস্ত কিছু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে।

শুধু তাই নয় ফ্রিলান্সিং কিভাবে শিখবো, ফ্রিলান্সিং এর কাজ সমূহ, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এমনকি মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিলান্সিং করা যায় সমস্ত কিছু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে তাই মনোযোগ দিয়ে শেষ অব্দি এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

আর্টিকেল সূচনা

ফ্রিলান্সিং কি ?

ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে বলতে গেলে এটি মূলত একটি মুক্ত পেশা। আমাদের দেশের ভাষায় ফ্রিলান্সিংকে মুক্ত পেশা বলা হয়ে থাকে কারণ এই কাজ ঘরে বসে যেকোনো সময় নিয়ে যে কেও করতে পারে। চাইলে আপনি ও ফ্রিলান্সিং করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ জানার পূর্বে ফ্রিলান্সিং সম্পর্কে জানুন।

ফ্রিলান্সিং কে চাকরির সাথে তুলনা করা যায় কারণ হচ্ছে এই পেশায় একটি কোম্পানির বা ব্যাক্তির আন্ডারে থেকে কাজ করা হয়ে থাকে। চাকরির এবং ফ্রিলান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, চাকরি করতে হলে সঠিক সময়ে অফিস যেতে হয় এবং সঠিক সময়ে বেড় হতে হয় যেখানে কোন ব্যাক্তি স্বাধীনতা থাকেনা।

কিন্তু ফ্রিলান্সিং এর ক্ষেত্রে নিজের স্বাধীন অনুযায়ী কাজ করা হয়ে থাকে। কোন একটি কোম্পানির খন্ডকালীন অধীনে অর্থাৎ কন্ট্রাক্ট এর মাধ্যমে কাজ করাই হচ্ছে ফ্রিলান্সিং। এখানে মূলত একটি স্কিল এর উপর ভিত্তি করে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অন্য কারো কাজ করে দেয়াকে বোঝায়।

এক কথায় যদি বলা হয় যারা নিজের স্কিল বা অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে শুধু মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ না করে অনেক গুলো ক্লায়েন্টের সাথে নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী অনলাইনে কাজ করাকে ফ্রিলান্সিং বলে। বাংলাদেশে এই ফ্রিলান্সিংকে আউটসোর্সিং বলা হয়ে থাকে।

যারা ফ্রিলান্সিং করে থাকে তাদেরকে ফ্রিলান্সার বলা হয়। যারা ফ্রিলান্স বা ক্লায়েন্ট তারা ফ্রিলান্সারদের দিয়ে এই সমস্ত কাজ গুলো করিয়ে থাকে আর এই কাজের মাধ্যমেই মূলত ইনকাম হয়ে থাকে। আপনি যদি ফ্রিলান্সার হতে চান তাহলে প্রতিটি স্টেপ ফলো করতে থাকুন কারণ এখানে একজন সফল ফ্রিলান্সার হতে চাইলে কি কি করতে হবে সমস্ত কিছু বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে বা ফ্রিলান্সিং কি সেটি জানার পর যে কাজটি করতে হয় সেটি হচ্ছে ফ্রিলান্সিং শেখা। না শিখলে ইনকাম হবে কিভাবে? ফ্রিলান্সিং শেখার পূর্বে প্রথমেই যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে একজন সফল ফ্রিলান্সার হতে চাইলে কি কি দরকার হবে?

আপনি যদি কোনো কিছু না ভেবেই ইউটিউবে ভিডিও দেখে কাজ শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে সেটি হবে আপনার সব চাইতে বড় বোকামি।

তাই প্রথমেই বিষয় গুলোর প্রতি আপনাকে সঠিক ধারণা রাখতে হবে সেই সাথে দেখতে হবে আপনার দ্বারা সমস্ত পদক্ষেপ গুলো ধারন করা সম্ভব কিনা? সমস্ত কিছু জানার পরেই আপনার কাজ শেখা উচিৎ।

নিজের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন

সঠিক সিদ্ধান্ত একজন মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। তাই প্রথমেই একটু চিন্তা ভাবনা করে সিধান্ত গ্রহন করতে হবে। অনেকেই রয়েছেন ইউটিউব বা অন্য কোন এক প্লাটফ্রম থেকে ফ্রিলান্সারদের ইনকাম দেখে ফ্রিলান্সিং করতে চান কিন্তু এক সময় দেখে যায় তাদের সেই প্রথম দিকের ইচ্ছাটি একদম শেষ হয়ে যায়।

তাছাড়াও অনেকে ধরণের কোর্স এর অ্যাড দেখে প্রলভিত হয়ে নিজে ফ্রিলান্সিং শুরু করতে চান কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর সেই ইচ্ছা একেবারের জন্য শেষ হয়ে যায়। এর কারণ হচ্ছে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে না পারা।

অনেকেই রয়েছেন যারা ফ্রিলান্সিংকে পার্ট টাইম জব হিসাবে গ্রহন করতে চান আর এটি হয়ে যায় তার জন্য অনেক বড় একটি ভুলের কারণ। অনেকেই রয়েছেন ফুল টাইম কাজ করেও সফলতা অর্জন করতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়।

এখানে আপনাকে বলা হয়নি যে, আপনি সমস্ত কিছু ছেড়ে দিয়ে শুধু ফ্রিলান্সিং এর দিকে নজর দিন। আপনাকে শুধু নিজের চাকরি অথবা পড়া লেখার পাশাপাশি অল্প অল্প সময় দিয়ে কাজ শিখতে হবে। যখন আপনি কাজ শিখে যাবেন তখন অনায়াসে ফ্রিলান্সিং শুরু করে দিতে পারবেন।

অন্য কারো লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা দেখে নিজে নিজে কাজ শুরু করে দেয়া হবে একটি মুর্খতা। যারা ফ্রিলান্সিং করে লক্ষ টাকা ইনকাম করে তাদের থাকে কাজের প্রতি পরিপূর্ন ভালোবাসা।

আপনার যে কাজের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে সেই কাজ আপনাকে বেঁছে নিতে হবে। কি কি কাজ রয়েছে সেটি পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি ফ্রিলান্সিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কাজের প্রতি ভালোবাসা সহ কাজে পরিপূর্ন ভাবে লেগে থাকতে হবে।

তাই প্রথমেই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন। কারণ সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন না করলে আপনি এক সময় সফলতা না পেয়ে ব্যার্থ হয়ে যেতে পারেন। তাই নিজের সিদ্ধান্তকে অটল করে রাখুন যে, আপনি সফল হবেনই এবং কাজ ছেড়ে দিবেন না। ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে হয়ত আপনি ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করে দিয়েছেন।

বিভিন্ন ধরণের কৌশল জানতে হবে

আপনি যদি একটু চালাক হতে পারেন তাহলে ফ্রিলান্সিং এর কাজ শেখা আপনার জন্য অনেক বেশী সহজ হয়ে যাবে। যেমন আপনার জানা থাকতে হবে যেকোনো একটি ভালো ট্রেনিং সেন্টার বা অনলাইন কোর্স থেকে প্রফেশনাল কোর্স করার মাধ্যমে সহজেই ফ্রিলান্সিং এর কাজ শেখা যায়। আর কোর্স ছাড়া আপনার বিকল্প কিছু নেই।

তাছাড়াও আপনি গুগল থেকে সার্চ করার কৌশল অবলম্বন করতে পারেন কারণ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফ্রিলান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয় ও অনেক ফ্রি কোর্স এবং ভিডিও পাওয়া যায়। সেগুলো খুঁজে বেড় করার মত কৌশল আপনার থাকতেই হবে।

বর্তমান সময়ের সব চাইতে বড় প্লাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। প্রফেশনাল ফ্রিলান্সারা তাদের চ্যানেলে বিভিন্ন ধরণের ভিডিও পাবলিশ করে থাকে। তাছাড়াও যারা প্রফেশনাল রয়েছেন তারা বিভিন্ন ধরণের ভিডিও দেখে থাকে।

আপনার সার্চ করার প্রতি অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অনেকেই রয়েছেন গুগল বা ইউটিউব সার্চ করতে পারেনা কিন্তু ফ্রিলান্সিং করতে চলে আসে। মনে রাখবেন আপনি কাজ শেখা শুরু করলে অনেক ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে যেগুলোর সমাধান গুগল বা ইউটিউব সার্চ করে করতে হয়। আপনাকে কৌশল গুলো জেনে নিতে হবে।

সঠিক কোর্স বেঁছে না নেয়া

ফেসবুক অথবা ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে ফ্রিলান্সিং শেখার জন্য কোর্স বিক্রি করে থাকে এমনকি অনেক ধরণের প্রলোভন দেখানো হয়ে থাকে। এই প্রলোভনের কারনে অনেকেই প্রতারিত হয়ে যায় এবং ফ্রিলান্সিং করার মত ইচ্ছা নষ্ট করে ফেলে।

তাই নিজের সঠিক কোর্সটি বেঁছে নিতে হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন আপনার জন্য কোন কোর্সটি সঠিক হবে, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বলবো রবি ১০ মিনিট স্কুলের একটি কোর্স রয়েছে সেটিতে জয়েন করতে পারেন।

তাদের কোর্স গুলো প্রফেশনাল দের দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে এমনকি তারা হাজার কোর্স বিক্রি করে তাই এখানে প্রতারিত হওয়ার কিছু নেই। তাদের কোর্সের নাম হচ্ছে ঘরে বসে ফ্রিলান্সিং

আপনি যদি ঘরে বসে ফ্রিলান্সিং কোর্সটি করতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন সরাসরি কোর্সে নিয়ে যাবে। আপনাকে শুধু পেমেন্ট করে কোর্সটি কিনতে হবে। কোর্স মূল্য মাত্র ৯৫০ টাকা এমনকি এর চাইতে সুলভ মূল্যে প্রফেশনাল কোর্স আপনি অন্য কোথাও পাবেন না।

ইংরেজি ভাষাতে অভিজ্ঞ হওয়া

শুধু ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে জানলেই হবেনা ফ্রিলান্সিং শিখে নিজেকে ফ্রিলান্সার হিসাবে তৈরি করতে হলে অবশ্যই ইংরেজি ভাষা জানতে হবে এর কারণ হচ্ছে বেশীরভাগ ফ্রিলান্সার বাহিরের দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করে থাকে যার দরুন ইংরেজি ভাষা জানতে হয়। তাই আপনি যদি ইংরেজি ভাষা না জেনে থাকেন তাহলে আপনি তাদের সাথে কথা বলতে পারবেন না যার ফলে কোন কাজও পাবেন না।

ফ্রিলান্সিং এর কাজ করার জন্য আপনাকে ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করতে হবে এমনটি কিন্তু নয়। এখানে শুধু কাজ রিলেটেড ভাষা বা শব্দ গুলো জানলেই আপাদত হয়ে যাবে।

আপনার উচিৎ হবে কাজ শেখার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা শিক্ষা করার প্রতি আগ্রহ তৈরি করা। ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে

ধৈর্য ধারণ করা

ফ্রিলান্সিং পেশায় সফল হওয়ার সব চাইতে বড় চাবি কাঠি হচ্ছে ধৈর্য ধারণ করা। যার মধ্যে ধৈর্য ধারন করার ক্ষমতা নেই সে কক্ষনও এই পেশায় সফল হতে পারেনা। এই পেশায় যারা নিয়োজিত রয়েছেন তাদের সবার মধ্যেই রয়েছে ধৈর্য।

প্রথম দিকে কাজ শেখার পর কাজ খুজতে হয়। অনেকেই রয়েছেন প্রথমে কোনো ধরণের কাজ পায়না যার ফলে সফলতার দ্বার প্রান্ত থেকে ফিরে আসে। তাই আপনি কাজ শেখার পর কাজ পান বা না পান সেটি নিয়ে চিন্তিত না হয়ে লেগে থাকতে হবে। তাহলেই একদিন সফলতা দেখা দিবে ইনশাল্লাহ।

জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন

আমাদের দেশের অনেকেই রয়েছেন কোন ধরণের জ্ঞান ছাড়াই ফ্রিলান্সিং এর জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বসে থাকে। মনে রাখতে হবে ফ্রিলান্সিং এর জন্য কোন কাজ যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে কোন ভাবেই অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে যাবেন না।

আপনি যদি শুধু শুধু মার্কেটপ্লেস গুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন এবং কোন কাজ না জানেন তাহলে এক্ষেত্রে দেশের ভাব মুর্তি নষ্ট হয়। তাই প্রথমে যেকোনো একটি কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিতে হবে তারপর কাজ করার জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

আপনি যদি স্কিল অর্জন না করেন তাহলে কোন ভাবেই কাজ করতে পারবেন না। তাই প্রথমে কোর্স করে নিজের স্কিল ডেভেলপ করুন তারপর কাজ করতে এগিয়ে আসুন।

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ

আপনার অবশ্যই একটি কম্পিউটার অর্থাৎ ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থাকতে হবে। বিশেষ করে ফ্রিলান্সিং এর জন্য যে সমস্ত কাজ গুলো রয়েছে তার সমস্ত কাজ কম্পিউটার ব্যবহার করে করা হয়ে থাকে। আপনার যদি কম্পিউটার না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি কোন ভাবেই কাজ শিখতে পারবেন না।

কেও যদি আপনাকে বলে থাকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিলান্সিং করা সম্ভব! সে আপনাকে ভুল বলেছে। মোবাইল দিয়ে সাধারণ কিছু কাজ করে ফ্রিলান্সিং করা সম্ভব কিন্তু প্রফেশনালি কোন কিছুই সম্ভব নয়। মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিলান্সিং করা সম্ভব সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

বিশেষ করে বর্তমানে যে সমস্ত প্রফেশনাল কাজ রয়েছে তার মধ্যে সব কাজ গুলো কম্পিউটার ব্যবহার করে করতে হয়। তাই প্রথমেই একটি কম্পিউটার কিনে নিতে হবে। আপনাকে বলছিনা যে, অনেক মূল্যের কম্পিউটার কিনতে হবে। আপনি কম দামের একটি কম্পিউটার ব্যবহার করেই ফ্রিলান্সিং শিখে কাজ করতে পারবেন।

তাছাড়াও কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো করতে হলে অনেক দামি কম্পিউটার কিনতে হয়। যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ভিদিও এডিটিং ইত্যাদি। সমস্ত কিছু নিয়ে আলোচনা করা হবে তাই ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন কারণ এই আর্টিকেলে ফ্রিলান্সিং নিয়ে সমস্ত কিছু ধাপে ধাপে আলোচনা করা হবে যা একজন নতুন ফ্রিলান্সার এর জন্য জানা অনেক বেশী জরুরি।

ইন্টারনেট কানেকশন

আপনার সমস্ত কিছু থাকার পর যদি ইন্টারনেট কানেকশন না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি কোন ভাবেই কাজ করতে পারবেন না কারণ ফ্রিলান্সিং এর কাজ ইন্টারনেট ব্যবহার করেই হয়ে থাকে। যেকোনো সমস্যার সমাধান করার জন্য ও বায়ারের সাথে কথা বলা, কাজ দেখা, কাজ নেয়া, কাজ ডেলিভারি দেয়া, পেমেন্ট গ্রহন সমস্ত কিছু ইন্টারনেট ব্যবহার করে করা হয়ে থাকে।

তাই আপনার প্রথমেই বাড়িতে বা অফিসে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে নিতে হবে।

বিশেষ করে যারা সাধারণ মানুষ ইন্টারনেট বা অন্য কোন মাধ্যমে থেকে ফ্রিলান্সিং এর ব্যাপারে শুনতে পায় তখন তাদের মনের মধ্যে নানা ধরণের প্রশ্ন বাসা বাধে। তার মধ্যে এটি একটি । ইতোমধ্যে ফ্রিলান্সিং কাজ করার জন্য জন্য কি কি প্রয়োজন সমস্ত কিছু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়ে তার পরে সংখিপ্ত আকারে আবার জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি।

বিশেষ করে আপনাকে প্রথমে ভেবে চিনতে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে যে, আপনি নিজের ক্যারিয়ার একজন ফ্রিলান্সার হিসাবে গড়ে তুলতে চান কি না? হুট হাট করে কোন ধরণের কাজ করা একদম বোকামি ছাড়া কিছুই না।

তার পরে কাজ শেখার জন্য ভালো একটি কোর্স কিনতে হবে অথবা গুগল বা ইউটিউব ব্যবহার করে শিখে নিতে হবে। সব চাইতে ভালো হয় ঘরে বসে ফ্রিলান্সিং কোর্স করতে পারলে। কোর্স করতে হলে আপনার দরকার হবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও সাথে ইন্টারনেট কানেকশন।

বিভিন্ন ধরণের কৌশল, অভিজ্ঞতা অর্জন এবং ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা থাকলেই আপনি হতে পারবেন একজন ফ্রিলান্সার।

ফ্রিলান্সিং এর শিক্ষাগত যোগ্যাতা

অনেকের চিন্তা ভাবনা যে ফ্রিলান্সিং করতে অনেক বেশী শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল। কিন্তু আপনার সাধারণ একটু হলেও শিক্ষাগত যোগ্যাতা লাগবেই কিন্তু সেটি যে অনেক বেশী হতে হবে তা কিন্তু ঠিক নয়।

আমাদের দেশের অনেকেই রয়েছেন যারা এইচএসসি পাশ করার পরের ফ্রিলান্সিং কে তার ক্যারিয়ার হিসাবে বেঁছে নিয়েছে এবং সফল হয়েছে। আমি বলছিনা যে আপনি পড়া লেখা ছেড়ে দিয়ে ফ্রিলান্সিং নিয়েই থাকেন শুধু।

আমি এতি বোঝাতে চেয়েছি যে, সাধারণ ভাবে ইংরেজিতে শেখার মত শিক্ষাগত যোগ্যাতা থাকলেই আপনি ফ্রিলান্সিং করতে পারেবন। তারপর কাজের সাথেই পড়া লেখা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

তারপরেও আমার মতে আপনার সর্বনিম্ন হলেও এইচএসসি পর্যন্ত লেখা পড়া থাকতে হবে। কারণ এসএসসিতে বেশীরভাগ মানুষ তেমন কিছু শিখতে পারেনা। তারপরেও আপনি যদি চেষ্টা করেন ক্লাস ৯ থেকেই সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

একটি কমন প্রশ্ন কি এমন কাজ রয়েছে যেটি শিখতে পারলে ফ্রিলান্সিং করার মাধ্যেম প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

ফ্রিলান্সিং করার জন্য হাজার হাজার কাজ রয়েছে যেগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি খুব ভালোভাবে শিখে নিতে পারলে আপনি অনায়াসে ফ্রিলান্সিং করতে পারবেন। মূল কথা হচ্ছে আপনি কোন কাজটি শিখবেন এবং কোন কাজের চাহিদা অনেক উর্ধে রয়েছে।

সমস্ত কাজ একজনের শেখার দরকার নেই কারণ যেকোনো একটি কাজের উপরে ভালো স্কিল অর্জন করতে পারলে ফ্রিলান্সিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তাই প্রথমে কাজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানুন যে, কোন কাজ শিখতে পারলে আপনি ফ্রিলান্সিং করতে পারবেন।

বিশেষ কথাঃ অন্যের কথায় প্রলোভিত না হয়ে আপনি যে কাজটি সম্পর্কে জানেন অথবা যে কাজটি আপনি নিজে শিখতে পারবেন সেই কাজটি কিন্তু আপনাকে শিখতে হবে। যদি আপনি অন্যদের দেখে প্রলোভিত হয়ে সেই কাজ শিখতে শুরু করেন তাহলে কিন্তু আপনার সফলতা আসবেনা।

উদাহরণ স্বরূপ যদি বলা হয়, আপনি শিখতে পারবেন ওয়েব ডিজাইন কিন্তু আপনি চেষ্টা করছেন গ্রাফিক ডিজাইন তাহলে কিন্তু বিষয়টি একদম উল্টা হয়ে যাবে। তাই আগে আপনি সিদ্ধান্ত নিন যে, কোন কাজটি আপনি খুব সহজেই শিখতে পারবেন।

আপনি যদি ফ্রিলান্সিং মার্কেট প্লেস গুলো ঘুরে দেখেন তাহলে অনেক ধরণের কাজের তালিকা দেখতে পাবেন। সমস্ত মার্কেট প্লেস নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং লিংক শেয়ার করা হবে তাই পড়তে থাকুন। আর হ্যা, একটি মাত্র আর্টিকেলে সমস্ত কাজ তুলে ধরা সম্ভব নয় তাই যেগুলোর চাহিদা বর্তমান সময়ে অধিক সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা। ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে

গ্রাফিক ডিজাইন

গ্রাফিক ডিজাইন বলতে কোন কিছু আকা আকি করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে এই পেশাটির চাহিদা আকাশ চুম্বি বললেই চলে।

কোম্পানি লোগো থেকে শুরু করে, ব্যানার ডিজাইন, ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন, বিল্ডিং এর রুম ডিজাইন, মটর সাইকেল ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন। এক কোথায় যদি বলা হয় বর্তমানে আমরা যে সমস্ত কিছু ব্যবহার করি তার একটি ডিজাইন আগে থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে।

আর এই সমস্ত বস্তুর যে ডিজাইন করা হয় সেটি হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। সমস্ত পেশার মধ্যে এটির চাহিদা অনেক বেশী হয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে এই পেশা শিখতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে

গ্রাফিক ডিজাইন ও এক্সেল এর কোর্স করুন

ওয়েব ডিজাইন

বর্তমান বিশ্বে ওয়েব সাইটের চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। মানুষের ব্যাক্তিগত কাজ থেকে শুরু করে কোম্পানির কাজের পাশাপাশি ই-কমার্স ওয়েব সাইট সর্ব ক্ষেত্রে গড়ে উঠছে ওয়েব সাইট।

আপনি যখনই কোন কিছু দেখতে যাবেন বা খুজতে যাবেন সব ক্ষেত্রেই দরকার হবে ওয়েব সাইট। আপনি যে ইউটিউব, ফেসবুক ব্যবহার করেন এগুলো কিন্তু একেকটি ওয়েব সাইট।

ধারণা করা হয়ে থাকে দিন যত পার হবে ওয়েবসাইটের প্রতি মানুষের আস্থা দিন দিন বাড়তে থাকবে। এটির চাহিদা কোন সময় কমবে না। অনলাইন মার্কেট প্লেসে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা অনেক বেশী।

এর কারণ হচ্ছে প্রতিটি ওয়েব সাইট তৈরি প্রথম ধাপ হচ্ছে ডিজাইন। একটি বাড়ি তৈরি করার পূর্বে যে প্রথমেই ডিজাইন করে নিতে হয় এবং পরবর্তীতে সেই বাড়িকে ইট, বালি, রড, সিমেন্ট ব্যবহার করে ডেভেলপমেন্ট করা হয়। ঠিক তেমনি একটি ওয়েব সাইটের ক্ষেত্রে একই রকম।

ওয়েব সাইট তৈরি করার পুর্বে একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার দের দিয়ে ওয়েব সাইট এর মকাপ তৈরি করে নেয়া হয়। মকাপ বলতে ওয়েব সাইট দেখতে কেমন হবে সেটি বুঝিয়ে থাকে।

আপনি যদি খেয়াল করেন পৃথিবীতে যে সমস্ত ওয়েব সাইট রয়েছে প্রতিটি ওয়েব সাইট দেখতে আলাদা আলদা। ফেসবুকের সাথে কিন্তু টুইটারের কোন মিল নেই।

আর এই মিল অমিল যে তৈরি করেছে সে হচ্ছে ওয়েব ডিজাইনার। তাই আপনি চাইলে এই পেশাটি বেঁছে নিতে পারেন কারণ এই পেশার ডিমান্ড বর্তমান মার্কেট প্লেসে অনেক উর্ধে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

একটি ওয়েব সাইট ডিজাইন করার পরের ধাপ হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ওয়েব ডিজাইনের উদাহরণ স্বরূপ বলেছি যে, একটি ঘরের ডিজাইন করার পরে সেই ঘরকে ডেভেলপমেন্ট করতে হয়। ঠিক একই ওয়েব সাইটের ক্ষেত্রে।

ডিজাইন শেষ করার পর সেই ওয়েব সাইট ডেভেলপ করার দরকার হয় নতুবা ঐ ডিজাইন করা ওয়েব সাইট দিয়ে কোন কাজ করা যায়না। উদাহরণ স্বরূপ ফেসবুকের কথা বলি, ফেসবুক ডিজাইন করার পর সেটিকে ডেভেলপমেন্ট করা হয়েছে যার ফলে আমারা পোস্ট করতে পারি, ছবি অ্যাড করতে পারি, মেসেজ দিতে পারি।

যদি ডেভেলপমেন্ট না করা হত তাহলে এমনটি আমরা করতে পারতাম না। তাহলে বুঝতে পারেছেন একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করার পর অবশ্যই ডেভেলপ করতে হয় আর এর জন্য দরকার হয় একজন ওয়েব ডেভেলপারের।

তাই আপনি চাইলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

মোবাইল ফোনের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে আগের তুলনায় মোবাইল ব্যবহার কারীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। তাহলে ভেবে দেখুন বাহিরের দেশের কি পরিবর্তন হয়েছে।

আমরা যে সমস্ত মোবাইল ফোন গুলো ব্যবহার করি তার মধ্যে রয়েছে এন্ড্রয়েড এবং আইওএস। ব্যাংক থেকে শুরু করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সবারই রয়েছে মোবাইল অ্যাপ।

শুধু যে, এই ক্ষেত্রে এটি বলা ঠিক নয় কারণ ধীরে ধীরে প্রায় সমস্ত কাজ কর্ম মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে করা শুরু করে দিয়েছে। হিসাব নিকাশ থেকে শুরু করে তথ্য আদান প্রদান সব ক্ষেত্রেই মোবাইল অ্যাপের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তাই আপনি এই পেশাটি বেঁছে নিতে পারেন। আপনি এন্ড্রয়েড অথবা আইওএস যেকোনো একটি শিখে নিতে পারেন। আর হ্যা মনে রাখবেন ওয়েব থেকে শুরু করে অ্যাপ সমস্ত ক্ষেত্রে প্রোগ্রামিং ভাষার দরকার হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে

লোগো ডিজাইন

বর্তমান সময়ে লোগো ডিজাইন একটি প্রফেশনাল ফ্রিলান্সিং পেশা।

এর কারণ হচ্ছে এই সময়ে মোবাইল অ্যাপ থেকে শুরু করে, ওয়েব সাইট, কোম্পানি সমস্ত কিছুর জন্য দরকার হয় একটি লোগো। একটি লোগো যেকোনো একটি কোম্পানির পরিচয় বহন করতে যথেষ্ট।

যদি উদাহরণ দেয়া হয় তাহলে অ্যাপল, মাইক্র সফট, ফেসবুক, টুইটার এদের উল্লেখ করা যায়। এদের লোগো যেখানেই থাকুন না কেন দেখার সাথে সাথে যেকোনো ব্যাক্তি চিনতে পারে।

ঠিক তেমনই সারা বিশ্বে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে নতুন নতুন সব প্রতিষ্ঠান এবং সেই সব প্রতিষ্ঠানের জন্য দরকার হয় লোগো। বর্তমানে লোগো ডিজাইন করে আমাদের দেশের হাজার যুবক ফ্রিলান্সিং করে লাখ টাকা ইনকাম করছে।

তাই আপনি চাইলে এই কাজটি বেঁছে নিতে পারেন। কিন্তু আপনাকে একটি বিষয়ের উপর লক্ষ রাখতে হবে যে, আপনি লোগো ডিজাইন করতে পারবেন কিনা? লোগো ডিজাইন করতে হলে আপনাকে হতে হবে একজন ক্রিয়েটিভ পার্সন।

যেটি দেখতে পাবেন সেটি একে ফেলার মত ক্যাপাসিটি থাকতে হবে। আপনি প্রথমে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এর জন্য নিজে নিজে ইউটিউব ভিডিও দেখে প্রথম দিকে শেখা শুরু করুন যখন দেখতে পাচ্ছেন আপনি এটি করতে পারবেন তখনই একটি কোর্স করে নিন।

লোগো ডিজাইন শিখতে পারলে ফ্রিলান্সিং এর পাশাপাশি লোকাল ভাবেও কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে

ভিডিও এডিটিং

বর্তমান সময়ের জন্য ভিডিও এডিটিং একটি আলদা ক্যাটাগরির পেশা। আলদা ক্যাটাগরির বলার কারণ হচ্ছে এই পেশার প্রতি মানুষের আগ্রহ খুবই কম যার কারনে আপনার জন্য অনেক ভালো একটি মাধ্যম হতে চলেছে ফ্রিলান্সিং এর ক্ষেত্রে।

ধারণা করা হয় বিশ্বে যে পরিমাণ ভিডিও এডিটর দরকার তার মধ্যে কয়েক শতাংশ রয়েছে মাত্র। ভিডিও অ্যাড থেকে শুরু করে মুভি, নাটক, পার্টি, ইভেন্ট, ভ্রমন সমস্ত ক্ষেত্রে ভিডিওর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু ভিডিও এডিটর এর পরিমাণের কোন তারতম্য হয়নি বললেই চলে।

এই পেশার গুরুত প্রতিনিয়ত এত বেশী বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, অনেকেই গ্রহন করা শুরু করে দিয়েছে। তাই আপনি চাইলে ভিডিও এডিটিং পেশাটি আপনার ক্যারিয়ার এর জন্য বেঁছে নিতে পারেন।

ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট

বর্তমান সময়ের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট অনেক মূল্যবান একটি পেশা। কারণ হচ্ছে এই সময়ে বেশীরভাগ ওয়েব সাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি যার ফলে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

মানুষের ব্যবহারের সুবিধার উপরে ভিত্তি করে ওয়ার্ডপ্রেস হয়ে উঠছে জনপ্রিয়। একজন ওয়েব ডিজাইনার এবং ওয়েব ডেভেলপার এর চাহিদা যেমন বেশী তেমনি একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের চাহিদা অনেক বেশী।

ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হতে পারলে আপনার জন্য কিছু প্লাস পয়েন্ট রয়েছে, তার মধ্যে হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট। যে মূলত ওয়েব ডেভেলপার সেই একন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার।

এর কারণ হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে হলে প্রথমে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হয়। তাই আপনি এই কাজ শিখলে একসাথে তিন বিষয় এক্সপার্ট হয়ে যাবেন এবং প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।

তাই আপনি চাই এই জবের উপর স্কিল অর্জন করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে


কনটেন্ট রাইটিং

কনটেন্ট রাইটিং বলতে কোন কিছু লেখা লেখি করাকে বুঝিয়ে থাকে। আমরা যখন ইন্টারনেটে কোন কিছু সার্চ করি তক্ষন কিন্তু অনেক কিছু আমাদের সামনে প্রদর্শিত হয় যার মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে টেক্সট।

যদিও বর্তমানে ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা অনেক বেশী গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরেও সেই সমস্ত ভিডিওর স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে প্রথমেই লিখে নিতে হয়। এমন অনেক ক্লায়েন্ট রয়ছেন যারা তাদের ভিডিওর স্ক্রিপ্ট প্রফেশনাল দের দিয়ে লিখিয়ে থাকে।

অনেকে রয়েছেন যারা তাদের ওয়েবসাইটের বা ব্লগের জন্য কনটেন্ট লিখিয়ে থাকে। সব মিলিয়ে যদি কনটেন্ট নিয়ে বিস্তারিত বলা হয় তাহলে বলে শেষ করা খুবই কষ্ট হয়ে যায়।

শেষ কথা বলতে গেলে কনটেন্ট রাইটিং একটি প্রফেশনাল পেশা যেটি শিখলে আপনি নিজের ওয়েব সাইটে নিজেই লিখা লেখি শুরু করে দিতে পারবেন। আপনি এই কনটেন্ট রাইটিং পেশাকে গ্রহন করতে চাইলে বেশীদিন কষ্ট করতে হবেনা।

এর কারণ হচ্ছে এটি তেমন কোন জটিল বা কঠিন কাজ নয়। সাধারণ একটি কোর্স করেই আপনি একজন প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার হতে পারবেন।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজ ( SEO )

বর্তমানে যে সমস্ত পেশা রয়েছে তার মধ্যে SEO হচ্ছে প্রফিটেবল পেশা। আপনি আমি যখন কোন কিছু গুগল থেকে সার্চ করি তখন তখন কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ওয়েবসাইট লিংক গুগল সাজেস্ট করে।

কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে যে সমস্ত ওয়েবসাইট গুলো অনেক বেশী অপ্টিমাইজ করা সেই সমস্ত ওয়েবসাইট গুলো বেশী র‍্যাংক করে থাকে অর্থাৎ প্রথম পেজে একদম উপরের দিকে দেখায়।

প্রথম দিকে যে সমস্ত ওয়েবসাইট শো করে সেই সমস্ত ওয়েবসাইটে মানুষ বেশী ক্লিক করে থাকে। এখন বলুন কে চায়না যে তার ওয়েবসাইট গুগল সার্চে র‍্যাংক করুন। এটি কিন্তু সবাই চায়।

কিন্তু একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে, ওয়েবসাইটের মালিকের কোন অভাব নেই কিন্তু সে যে তার ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাংক করিয়ে নিবে এমনটি নাও পারতে পারে। আর এমন ঘটনা হয়ে থাকে বেশীরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে।

তাই তারা তাদের ব্লগ হোক বা প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট হোক সেটিকে SEO করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ফ্রিলান্সার হায়ার করে থাকে। তাই আপনি চাইলে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজের ভালো একটি ক্যারিয়ার ঘঠন করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং

অনলাইনে কোন একটি পন্যকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অন্য কারো কাছে পৌঁছে দেয়াকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। শুধু যে পন্য হতে হবে সেটি কিন্তু মূল টপিক নয়, এখানে কোন একটি সার্ভিসও হতে পারে।

ধীরে ধীরে সমস্ত কিছু চলে আসছে ভার্চুয়াল জগতের মধ্যে। মানুষ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে পন্য বিক্রি সমস্ত কিছু নিয়ে আসছে অনলাইনের আন্ডারে।

তাই আপনি চাইলে এই পেশাটি বেঁছে নিতে পারেন। কারণ হচ্ছে এই প্লাটফর্মে আপনাকে দিয়ে অন্য কেও টাকার বিনিময়ে পন্য বা সার্ভিস প্রমোট করিয়ে থাকবে।

শুধু যে তাই সেটি কিন্তু নয়, আপনি সঠিক ভাবে কাজ শিখলে অন্যদের পন্য বা সার্ভিস প্রমোট করে সেটি বিক্রি করে দিয়ে কমিশন ইনকাম করতে পারবেন। যাকে আমরা সাধারণভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হিসাবে চিনে থাকি।

আপনি চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করার মাধ্যেম একজন সফল ফ্রিলান্সার হতে পারেন। প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করুন অনালাইনে।

কোর্স করুন

ভাষা ট্রান্সলেটর

বর্তমান বিশ্বের মধ্যে বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ রয়েছেন। ব্যবসা বলুন বা অন্য কোন ক্ষেত্রের কথা বলুন একদেশের মানুষ অন্য দেশের মানুষের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়ে থাকে কিন্তু তাদের সাথে কথা বলার সময় ভাষা বুঝতে পারেনা।

যার কারনে অনেকেই রয়েছেন অনলাইন বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষা ট্রান্সলেটর হায়ার করে থাকে।

এই ক্ষেত্রের প্রসারের কারণ হচ্ছে বর্তমানে মানুষের বেশীরভাগ যোগাযোগ হয়ে থাকে অনলাইন মাধ্যম গুলোতে। ভিডিও কল, চ্যাটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে।

তাই আপনি চাইলে অন্য দেসের ভাষা শিখে ট্রান্সলেটর হিসাবে ফ্রিলান্সিং জব করতে পারেন। এই বিষয় নিয়ে আপনি সার্চ করলে অনেক জব পেয়ে যাবেন। কোথায় পাবেন সমস্ত কিছু আলোচনা করা হবে।

এই পেশার জন্য আপনাকে শুধু মাত্র কয়েকটি দেশের ভাষা শিখতে হবে। আপনি যদি তিন থেকে ৫ টি দেশের ভাষা শিখতে পারেন তাহলে আপনি অনেক বেশী টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনাকে শুধু বেঁছে নিতে হবে কোন ভাষা নিয়ে আপনি কাজ করতে চান। ইংরেজি যেহেতু অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না তাই এই ভাষা হতে পারে আপনার প্রথম শেখার ভাষা।

মনে রাখবেন যেকোনো দেশের ভাষা শিখলেই হবেনা। আপনাকে বেঁছে নিতে হবে কোন ভাষা দিয়ে আপনি ইনকাম করেতে পারবেন। সুধিধার জন্য এখানে চাপুন এখন দেখেনিন চাহিদা সম্পন্ন ভাষা।

ফেসবুক মার্কেটিং

বর্তমান সময়ের ব্যবহারের মধ্যে সব চাইতে বহুল হচ্ছে ফেসবুক। বর্তমানে এই ফেসবুক ব্যবহার করে লাখ লাখ মানুষ ব্যবসা করার মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ারকে সফল করে তুলছে।

এই সফলতার পেছনে রয়েছে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মার্কেটিং। বাংলায় একটি কথা রয়েছে প্রচারেই প্রসার। আপনি যদি নিজে প্রচার করতে না পারেন তাহলে কিন্তু নিজের ব্যবসার কোন প্রসার ঘটাতে পারবেন না।

তাই অনেকেই রয়েছেন তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রচার করার জন্য আলাদা ভাবে মার্কেটার নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে ফেসবুক মার্কেটার।

আমদের দেশে অনেকে রয়ছেন ফেসবুক মার্কেটিং নামে মানুষের সাথে জালিয়াতি করে থাকে। এটি বলার কারণ হচ্ছে কোন ধরণের স্কিল ছাড়া মানুষের ব্যবসার দায়িত্ব নিয়ে নেয়।

এমন অবস্থায় লাভ ছাড়া কোন ক্ষতি হয়না। তাই আপনি যদি একটি ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স করেন এবং প্রফেশনালি অন্যদের কাজ করে দিয়ে থাকেন তাহলে শুধু ফ্রিলান্সিং নয় আপনি নিজের ফেসবুক পেজ থেকেই মাসে হাজার থেকে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে সহজ পেশা গুলোর মধ্যে আমার জানা মতে এই পেশাটি অনেক অন্যতম। তাই নিজেকে একজন প্রফেশনাল ফেসবুক মার্কেটার হিসাবে গড়ে তুলুন এবং প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করুন।

এই স্কিলটি আপনি যদি অর্জন করতে পারেন তাহলে এক সময় নিজের ব্যবসা নিজেই পরিচালনা করতে পারবেন অর্থাৎ নিজের ব্যবসার মালিক নিজেই হতে পারবেন। তাই আপনার জন্য স্পেশাল একটি ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স সাজেস্ট করছি।

আপনি এখনই জয়েন করে নিন, কোর্স করুন


সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

ফেসবুক যেহেতু একটি সোশ্যাল মিডিয়া ঠিক এরই মত আরও অনেক সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেগুলো থেকে মার্কেটিং করার মাধ্যমে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখে নিতে পারেন তাহলে অন্যান্য সব প্লাটফর্ম ও আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবে।

তাই আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিজের ক্যারিয়ার হিসাবে বেঁছে নিতে পারেন। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মধ্যে ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডিন, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি প্লাট ফর্ম বেঁছে নিতে পারেন।

ফ্রিলান্সিং কোথায় শিখবো

এই প্রশ্ন সবার মাঝেই থেকে যায় যে, ফ্রিলান্সিং কোথায় শেখানো হয়ে থাকে? বর্তমান সময়ে ফ্রিলান্সিং এর কাজ শিখতে হলে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো বেঁছে নিলেই হয়ে যায়।

ঘুরি লার্নিং থেকে শুরু করে রবি ১০ মিনিট স্কুল সবারই অনলাইন ক্লাস রয়েছে ফ্রিলান্সিং শেখানোর জন্য।

যারা অনেক বেশী স্কিলেড তারা ইউটিউব থেকে ভিডিও শেখার মাধ্যমে ও গুগল থেকে সার্চ করার মাধ্যমে ফ্রিলান্সিং শিখে থাকে। এক্ষেত্রে অনেক বেশী রিসার্চ করতে হয়।

কিন্তু আমার মত থাকবে আপনি অনলাইন ক্লাস করতে পারেন অথবা দেশের ভালো একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করতে পারেন।

খেয়াল রাখবেন দেশের মধ্যে এবং অনলাইনে অনেক প্রতারক রয়েছে যারা মানুষকে শেখানোর নাম করে আশা হত করছে। তাই কোর্স করার পূর্বে আপনি একটু ভেবে চিনতে নিবেন।

তাছাড়াও আমি যে সমস্ত কোর্স লিংক দিয়েছি সেগুলো করলে আপনি কোন আশাহত হবেননা। তাছাড়াও আপনি আইটি বাড়ি থেকে কোর্স কিনে ফ্রিলান্সিং শিখতে পারেন। তাছাড়াও ইউটিউবে ফ্রিলান্সিং কেয়ার নামক ইউটিউব চ্যানেল থেকে কাজ শিখতে পারেন।

আপনাদের সুবিধার জন্য আবারো কোর্স লিংক গুলো দেয়া হল,

অন্যান্য কোন কোর্স করতে চাইলে আপনাকে একটু কষ্ট করে খুঁজে নিতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

ফ্রিলান্সিং এর জন্য যে সমস্ত কাজ গুলো রয়েছে সেগুলো শেখার পর অবশ্যই কাজ শুরু করতে হয়। বিশেষ করে যারা ফ্রিলান্সিং এর কাজ শিখতে যায় তাদের যে ট্রেইনার থাকে তিনি সমস্ত প্রসেস দেখিয়ে দেয়।

কিন্তু তার পরেও কিছু মার্কেটপ্লেস এর নাম উল্লেখ করার চেষ্টা করছি,

ফাইবার

ফাইবার হচ্ছে বর্তমান সময়ের অনেক জনপ্রিয় একটি মার্কেট প্লেস। এই মার্কেট প্লেস থেকে আপনি অনায়াসে বায়ার রিকোয়েস্ট পেয়ে যাবেন। এই মার্কেট প্লেসে কাজ করতে হলে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনি যে বিষয়ে কাজ শিখেছেন সেই বিষয়ের উপরে গিগ তৈরি করে নিতে হবে। যখন আপনি কাজ শিখে নিবেন তখন সমস্ত কিছু জেনে যাবেন।

আপনার বায়ার রিকোয়েস্ট আসার পরে সেই সমস্ত বায়ারদের সাথে কথা বলে কাজ এর ধরণ সম্পর্কে জেনে নিয়ে কাজ করে দিতে হবে। সেই কাজের বিনিময়ে সেই বায়ার আপনার ফাইবার অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দিবে এবং আপনি সেটি ব্যাংক বা কার্ডে তুলে নিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে

ফ্রিলান্সার

ফ্রিলান্সার ডট কম ফাইবারের মত একটি ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিলানসিং প্লাটফর্ম। এখানে ভিভিন্ন ধরণের জব পোস্ট করা হয়ে থাকে। যে কোন একটি কাজ শেখার পর আপনাকে এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

তার পর আপনি আপনার রিলেটেড জব গুলো খুঁজে বেড় করে বিড করেবন। বায়ার যদি আপনার বিড পছন্দ করে তাহলে আপনাকে নক করবে। তার পরে বায়ারের সাথে কথা বলে কাজ সম্পাদন করে দিতে পারলেই আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হবে।

আপনি যখন কাজ শুরু করবেন তখন এমন আরও অনেক মার্কেট প্লেস খুঁজে পাবেন। পুরো বিশ্বের মধ্যে এই দুটি অনেক বেশী পরিচিত তাই শেয়ার করলাম।

আপওয়ার্ক

এটিও একটি অনলাইন ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস যেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ কাজ পোস্ট করা হয়ে থাকে। আপনি চাইলে এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করেও ফ্রিলান্সিং করতে পারবেন।

ফ্রিলান্সিং এর জন্য যে সমস্ত ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম রয়েছে সবার কাজের ধরণ প্রায় একই রকম।

৯৯ ডিজাইন

ডিজাইন নাম দেখেই বুঝতে পারছেন যে, এই সাইটে শুধু ডিজাইন নিয়ে কাজ পোস্ট করা হয়ে থাকে। যারা মূলত গ্রাফিক নিয়ে কাজ করতে চান তাদের অন্য সব চাইতে বেস্ট একটি ওয়েবসাইট এটি।

ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়

কাজ শেখার পূর্বেই প্রায় সবারই একটি প্রশ্ন? ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়? এই প্রশ্ন আসতেই পারে একজনের মনে।

উত্তরে একটি কথা বলতে চাই, আপনাকে সব সময় স্মরণ রাখতে হবে ফ্রিলান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে ইনকামের কোন লিমিটেশন নেই বললেই চলে। আপনার কাজের ভিত্তি করে ইনকাম হবে।

আমাদের দেশের এমন অনেক ফ্রিলান্সার রয়েছেন যারা মাসে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে তাই বলে কিন্তু আপনার এত টাকা ইনকাম হবে সেটি মোটেও ঠিক নয়।

কিন্তু হ্যা আপনি যদি ভালোভাবে কাজ শিখতে পারেন তাহলে মিনিমাম ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। মনে রাখবেন ফ্রিলান্সিং এমন একটি মাধ্যম যেখানে স্কিল এর উপর ভিত্তি করে ইনকাম হয়ে থাকে।

বিশেষ কথা হচ্ছে আপনি যদি প্রথমেই ইনকামের আশা করে ফ্রিলান্সিং এর দিকে ঝুকে পরেন তাহলে আপনি কোন দিন সফল হতে পারবেন না। এই পৃথিবীতে যে সমস্ত মানুষ গণ সফল হয়েছেন তাদের পেছনে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়।

ফ্রিলান্সিং জগতে যেই আসুক সবাই ইনকাম করতেই আসে কিন্তু সবার প্রথমে একটি উদ্দেশ্য থাকে সেটি হচ্ছে সঠিক ভাবে মনোযোগ দিয়ে কাজ শেখা। সঠিক ভাবে যে ব্যাক্তি কাজ শিখতে পারে সেই জীবনে সফল হতে পারে।

তাই আপনার উচিৎ হবে টাকার পিছে না ছুটে কাজের পিছে ছোটা, তাইলে দেখবেন টাকা আপনার পিছে ছুটে আসছে। ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত দিন লাগবে

যারা ফ্রিলান্সিং শুরু করতে চায় তাদের প্রথম প্রশ্ন গুলোর মধ্যে এটি একটি প্রশ্ন। এই কাজ শিখতে কত দিন লাগবে সেটি কেও কোন দিন বলতে পারবেনা।

এর কারণ হচ্ছে এটি মূলত ডিপেন্ড করে যে কাজ শিখে তার উপর। আপনি যত পরিমাণ সময় ব্যয় করতে পারবেন তত তাড়াতাড়ি কাজ শিখতে পারবেন। কিন্তু এখানে একটি কথা রয়েছে, এমন ভাবে সময় ব্যয় করা যাবেনা যে নিজে অসুস্থ হয়ে যেতে হবে।

আপনাকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ব্যয় করার উপদেশ দিবো আমি। আপনি এর চাইতে বেশী সময় ব্যা করতে যাবেন না। যদি বেশী সময় ব্যয় করেন তাহলে আপনার কাজের প্রতি চাহিদা নষ্ট হয়ে যাবে।

প্রথম দিকে আপনি যখন ব্যাসিক শেখা শুরু করবেন তখন আপনার মিনিমাম ৬ মাস সময় লাগবে। তারপর থেকে আপনি নিজেই একজন প্রফেশনাল হয় উঠবেন।

যখন দেখতে পাবেন আপনি কোন একটি কাজ করে দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বা কেও একটি কাজ দিলে সেটি করে দিতে পারেন তাহলে আপনি আপনি ফ্রিলান্সিং এর জন্য প্রস্তুত।

অনেকে ৬ মাসের মধ্যে সমস্ত কিছু শিখে নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারে আবার অনেকে রয়েছেন ১ বছর বা তার চাইতে বেশী সময় ব্যয় করে থাকে।

আনুমানিক একটি হিসাব যদি ধরা হয় তাহলে, ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যেই ফ্রিলান্সিং এর কাজ শিখে কাজ করা শুরু করে দেয়া যায়।

এখন আপনি চিন্ত ভাবনা করে দেখুন আপনার কাজ শিখতে কত সময় প্রয়োজন হবে। মনে রাখবেন কোন কিছুই হুট করে হয়ে উঠেনা, ধির্ঘ সময় নিয়ে সমস্ত কিছু করতে হয় তাহলে ফল অনেক ভালো পাওয়া যায়।

অধিকাংশ ফ্রিলান্সার ব্যার্থ হওয়ার কারণ

আমাদের সমাজের অনেক ফ্রিলান্সার রয়েছেন যারা ব্যর্থতার মধ্যে পতিত হন। ব্যার্থ হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে কিছু কারণ তুলে ধরছি যেগুলো আপনাকে ইগনর করে চলতে হবে।

১. দ্বিধাদ্বন্দ ও সিদ্ধান্তহীনতা হচ্ছে সব চাইতে প্রধান কারণ। অনেকেই রয়েছেন মার্কেট প্লেসে কাজ করতে করতে এক সময় মন বলে উঠে চাকরি করবো নাকি ফ্রিলান্সিং করবো? এমন প্রশ্ন আসার পরেই তার মধ্যে শুরু চলে আসে হতাশা। আর এই হতাশা নিয়ে কাজ শুরু করে দেয় যার ফলে এক সময় সে সফল হয়ে উঠতে পারেনা।

তাই আপনার উচিৎ হবে প্রথমে নিজের মনকে শক্ত করা। ফ্রিলান্সিং নাকি চাকরি কোনটি আপনার জন্য ভালো হবে সেটি বেঁছে নিয়ে কাজ করতে হবে। কাজ শিখলেই যে, ফ্রিলান্সিং করতে হবে সেটি কিন্তু মূল বিষয় হতে পারেনা। অনেকে রয়েছেন প্রফেশনালভাবে কাজ শিখে চাকরি করছে।

২. দক্ষাতার অভাব হচ্ছে আরও বড় একটি কারণ। অনেকে রয়েছেন কিছু একটি শিখে চলে আসে মার্কেট প্লেসে কাজ করতে। দুই একটি কাজ করার পর এক সময় দেখা যায় সে আর কাজ পাচ্ছে না।

এর কারণ হচ্ছে নিজে যে কাজটি সম্পাদন করে দিয়েছে সেটি প্রফেশনালদের মত হয়নি যার ফলে সেই বায়ার আর তার আছে ফিরে আসেনি। এমনটি মাঝে মধ্যেই হচ্ছে, তাই আপনার উচিৎ হবে কোন একটি কাজ খুব ভালোভাবে শিখে নিয়ে তারপর সেই কাজ শুরু করা।

না হলে আপনি বেশী দূর এগিয়ে যেতে পারবেন না।

৩. কাজের প্রতি অমনোযোগী কোন দিন সফল হতে পারেনি এমনকি পারবেও না। অনেকেই রয়েছেন নিজের কাজের প্রতি অনেক বেশী অমনোযোগী। সে তার সময়ের কাজ সময়ে শেষ করেনা যার ফলে সেই কাজ সঠিক ভাবে হয়ে উঠেনা।

আপনার মধ্যে যদি অমনোযোগী ভাব থেকে থাকে তাহলে সেই ভাব ধুয়ে মুছে শেষ করে দিতে হবে তবেই আপনি সফলকাম হতে পারবেন।

৪. নিজের কাজের জন্য কোন ধরনের সময় নির্ধারন না করাও ব্যার্থতার একটি কারণ হতে পারে। অনেকেই রয়েছেন নিজের প্রতিদিনের কাজের সাথে ফ্রিলান্সিংকে মানিয়ে নিতে পারছেন না।

সঠিক সময়ে ঘুম থেকে না উঠে বিছানায় থাকা, হাতে কাজ থাকার পরেও বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া, কাজ থাকা সত্তেও মুভি দেখা, গান শোনা, চ্যাটিং করা ইত্যাদি কাজে মগ্ন থাকা।

এ সমস্ত কাজের ফলে অনেক ফ্রিলান্সার হচ্ছেন ব্যার্থ। তাই আপনার মধ্যে যদি এমন গুন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সে সমস্ত গুন গুলোকে আপনার এখন থেকেই বাদ দিয়ে দেয়া উচিৎ।

৫. হাল ছেড়ে দেয়ার প্রবণতা বেশীরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়। অনেকেই রয়েছেন প্রথম দিকে কাজ তেমন পায়না। শুধু যে এই ক্ষেত্রে সেটি কিন্তু মোটেও ঠিক নয়, জীবনের প্রতিটি কাজের মাঝে কেও যদি হাল ছেড়ে দিয়ে বলে এটি আমার দ্বারা হবেনা তাহলে বুঝে নিতে পারে সেই ব্যাক্তি সফলতার কাছে থেকে ফিরে এসেছে।

আর যদি বলা হয় ফ্রিলান্সিং এর কথা তাহলে, এই কাজের প্রতি যারা যারা হাল ছেড়ে না দিয়ে ধরে রেখেছে তারাই সফল হয়েছে। তাই আপনার মধ্যে যদি এমন স্বভাব থেকে থাকে যে, কোন কিছু শুরু করে কিছুদিন যাওয়ার পরে হাল ছেড়ে দেন তাহলে এখনই হাল ছেড়ে না দিয়ে সেই কাজের পিছে ছুটে চলেন দেখবেন সফলতা আসবেই।

তাই ফ্রিলান্সিং এর ক্ষেত্রে সব চাইতে বড় হতাশাকে কাটিয়ে ওঠার প্রবণতা তৈরি করতে হবে।

আপনি যদি উপরোক্ত বিষয় গুলোকে মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে পারেন তাহলে একদিন সফল হবেন ইনশাল্লাহ।

কাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশা?

এই ফ্রিলান্সিং পেশা কিন্তু সবার জন্য নয়। হাতে গোনা কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের জন্য এই ফ্রিলান্সিং পেশা। এমন যদি না হত তাহলে আজ ঘরে ঘরে ফ্রিলান্সার তৈরি হয়ে বসে থাকতো আর মার্কেট প্লেসে কাজের অভাব হয়ে যেত।

তাহলে কাদের জন্য এই পেশা?

  • যে সমস্ত ব্যাক্তি অধিক লোভী নয়
  • যাদের মধ্যে কাজ শেখার প্রতি অনেক বেশী আগ্রহ রয়েছে
  • যে সমস্ত ব্যাক্তি অনেক বেশী ধৈর্যশীল
  • যারা জীবনে ঝুকি নিতে পারেন
  • যাদের মধ্যে জীবনে কিছু করার মত প্রবল ইচ্ছাশক্তি রয়েছে
  • খুব তাড়াতাড়ি যারা ইনকাম করার উপায় খুজতে যায়না
  • যারা সৎ কর্মশীল ও কর্মঠ
  • নিজের যে প্যাশন রয়েছেন সেটি যেভাবেই হোক পূরন করার ইচ্ছা শক্তি রাখে।

যাদের এই পেশায় আসা উচিৎ নয়

  • অনেকেই রয়েছেন আবেগের বসে ইউটিউব বা ফেসবুক থেকে ভিডিও দেখে নিজেকে একজন ফ্রিলান্সার হিসাবে তৈরি করে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে চান কিন্তু কোন ভাবেই কিছু করে উঠতে পারেনা তাদের উচিৎ নয় এই পেশায় আসা। কারন জীবন আবেগ নয় বিবেক দিয়ে চলে, আবেগ দেয় শুধু সহানুভূতি।
  • অনেকেই রয়েছেন কাজ শেখার পূর্বেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম করার চিন্তা করে বসে থাকে। এই সমস্ত ব্যাক্তির কোন সময় উচিৎ হবেনা ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ারে আসা। যদিও চলে আসে, সে কিছুদিন পর সমস্ত কিছু ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।
  • যারা মূলত একদম কম সময় ব্যয় করে লাখ টাকা ইনকাম করার স্বপ্ন দেখে।
  • যারা চাকরি বা অন্য কোন কাজের পাশাপাশি আলাদাভাবে ইনকাম করার আশায় ফ্রিলান্সিং করা শুরু করে দেয়।
  • অনেকেই মনে করে থাকেন কাজ শেখার কিছুদিন পরেই লাখ টাকা ইনকাম করা যায় তারা এই কাজ থেকে দূরে সরে থাকুন কারণ এই পেশা দীর্ঘ মেয়াদী হয়ে থাকে।
  • অনেকেই রয়েছেন ফেসবুক বা ব্যানারে নানা ধরণের অ্যাড দেখে ফ্রিলান্সিং করার আগ্রহ জাগে এবং খুব সহজেই টাকা ইনকাম করার কথা চিন্তা করে।

আপনি যেভাবে কাজ শুরু করবেন

আপনি হয়ত এই আর্টিকেল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কিছু বিস্তারিতভাবে পড়েছেন। ফ্রিলান্সিং সম্পর্কে এমন কিছু নেই যে আলোচনা করা হয়নি। এখন আপনি চিন্তা করুন নিজে নিজে এই কাজ আপনার জন্য পার্ফেক্ট কিনা?

যদি মনে করেন আপনার জন্য ঠিক আছে আপনি পারবেন এই কাজ তাহলে উপরে উল্লেখিত যে কাজটি আপনার কাছে সহজ মনে হবে সেটি কোন একটি ট্রেনিং সেন্টার থেকে শিখে নিন অথবা ঘরে বসে ফ্রিলান্সিং কোর্সটি করেনিন।

আমাদের দেশের যারা প্রথম শ্রনীর ফিলান্সার রয়েছেন তারা প্রায় সবাই ইউটিব, গুগল থেকে নিজে নিজে শিখে নিয়েছে। নিজে নিজে শিখতে হলে অনেক ধরণের স্কিল দরকার হয়।

আপনার যদি স্কিল না থেকে থাকে তাহলে কোর্স করে নেয়া ভালো হবে। আমাদের দেশের সফট্টেক আইটিআইটি বাড়ি ইত্যাদি অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যারা অনলাইন ও অফলাইন উভয় যায়গায় ফ্রিলান্সিং এর কোর্স করিয়ে থাকে।

আপনি চাইলে তাদের কাছে থেকে কোর্স করে নিতে পারেন।

নিজেকে প্রস্তুত করে তুলুন তাহলেই আপনি একজন সফল ফ্রিলান্সার হতে পারবেন। তাছাড়াও ফ্রিলান্সিং শেখার জন্য একদম পরিপূর্ন গাইডলাইন জেনে নিতে এখানে চাপুন।

মানুষের মাঝে ফ্রিলান্সিং নিয়ে ভুল ধারণা

আমাদের দেশের মানুষের মাঝে সামাজিক কুসংস্কারের মত ফ্রিলান্সিং নিয়ে অনেক কথা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যেমন,

  • কয়েক দিন কাজ শিখে ফ্রিলান্সিং করে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
  • যেকোনো একটি ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে কিছু টাকা খরচ করে নিলেই ফ্রিলন্সার হওয়া যায়।
  • মোবাইল দিয়েই ভিডিও দেখে, ক্লিক করে, লাইক শেয়ার করে লাখ টাকা ইনকাম করা যায় আর তাকে ফ্রিলান্সিং বলে।
  • ফ্রিলান্সিং করতে হলে কম্পিউটার সায়েন্স এর ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে।

মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিলান্সিং করা যায়?

এই প্রশ্নের এক কথায় উত্তর হবে, মোবাইল দিয়ে কোন ধরণের ফ্রিলান্সিং এর কাজ করা যায়না। আপনাকে অনেকেই বলে থাকবে হাতে একটি স্মার্ট ফোন যদি থাকে তাহলে ফ্রিলান্সিং করে ইনকাম করা যায়।

এমন ধারণা যদি আপনার মধ্যে থেকে থাকে তাহলে এখনই সেটি ঝেড়ে ফেলুন। কারণ এ অব্দি ফ্রিলান্সিং করার জন্য এমন কিছু কাজ তৈরি হয়নি যে মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব।

যদিও কষ্ট করে অনেকে করে থাকে, তারপরেও কিছু দিন পরে সে কাজের প্রতি চিরদিনের জন্য আগ্রহ শেষ হয়ে যায়।

যেমন কোন বায়ার যদি একটি ব্যানার ডিজাইন করতে দেয় এবং আপনি মোবাইল ব্যবহার করে তৈরি করলেন। যেমন অনলাইন থেকে ক্যানভা ব্যবহার করে প্রফেশনাল মানের লোগো এবং ব্যনার সহ গ্রাফিক এর সমস্ত কিছু করা যায়।

এমন অবস্থায় কয়েকটি কাজ করার পর একসময় দেখবেন আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ কমে গিয়েছে। এর কারণ হচ্ছে যে কাজ কম্পিউটার ব্যবহার করে করা হয় সেই কাজ হাজার চেষ্টা করলেও মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব হয়ে উঠেনা।

তাই আপনি কোন ব্লগ বা ইউটিউবে যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিলান্সিং এর কথা শুনে থাকে তাহলে বুঝে নিবেন কেও আপনাকে ধোঁকা দিয়ে অগোচরে ক্ষতি করে ফেলছে কিন্তু তার লাভ হয়ে যাচ্ছে।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিলান্সিং থেকে সাবধান!

নতুন হিসাবে আপনার জন্য কিছু পরামর্শ

  • অনেকেই রয়েছেন দুই দিন কাজ করে ফেসবুক ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দেয় যে, ফ্রিলান্সিং শেখাবে। এমন বিজ্ঞাপন দাতা থেকে দূরে থাকবেন।
  • আপনি যদি কোন একটি ট্রেনিং সেন্টার থেকে ফ্রিলান্সিং শিখতে চান তাহলে আগে সেই সেন্টার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেনিন।
  • চাকরি করবেন নাকি ফ্রিলান্সিং সেটি আগে ঠিক করেনিন।
  • অল্প দিনে লাখ টাকা ইনকাম করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
  • কাজের প্রতি সময় ব্যয় করুন এবং লেগে থাকুন সফলতা একদিন আসবেই ইনশাল্লাহ।

শেষ কথা

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এবং কিভাবে নিজেকে একজন ফ্রিলান্সার হিসাবে গড়ে তুলে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা যায় সমস্ত কিছু আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়ে। আপনি হয়ত সমস্ত কিছু জেনে এবং বুঝে গিয়েছে।

এখন নিজেকে প্রস্তুত করে তুলুন একজন ফ্রিলান্সার হিসাবে।

আর্টিকেলটি কেমন লাগলো সেটি অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন সেই সাথে অন্যদেরকে দেখতে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন এতে হতে পারে আপনার জন্য অঙ্ক্য কারো অনেক বেশী উপকার হচ্ছে।

কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্টে প্রশ্ন করবেন। আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে না জেনে অবশ্যই আপনি নিজের ক্যারিয়ারকে সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে ফ্রিলান্সিং এর কাজ গুলোর মধ্যে থেকে যেটি আপনি নিজে শিখতে পারবেন অবশ্যই সেটি শিখে নিবেন।

আমাদের অনেকেই রয়েছেন যারা শুধু ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে জানতে চান। যেহেতু আপনি সমস্ত কিছু জেনে এবং বুঝে গিয়েছে তাই নিজেকে একটু শক্ত করে চিন্তা ভাবনা শুরু করুন।

আশা করছি আপনি সফল হবেন ইনশাল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *