ফ্লায়ার ডিজাইন কি এবং কিভাবে ইনকাম করা যায়?
বর্তমান সময়ের ব্যবসা বা কোন পণ্যের মার্কেটিং করার জন্য ফ্লায়ার তৈরি করা হয়ে থাকে যার ফলে নতুনদের খুব সহজেই অনলাইন থেকে আয় করার নতুন একটি মাধ্যম তৈরি হতে চলেছে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে ফ্লায়ার ডিজাইন কি এবং সেই সাথে কিভাবে ফ্লায়ার ডিজাইন করার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন তার সমস্ত কিছুই জানিয়ে দেয়া হবে।
সেই সাথে আপনি এটি কিভাবে ডিজাইন করবেন এবং কোথা থেকে আয় করবেন সমস্ত কিছুই জানিয়ে দেয়া হবে। আপনাকে শুধু এই আর্টিকেলটি সময় নিয়ে পড়তে হবে এবং বিস্তারিত বিষয় গুলো জানতে হবে।
আপনি ফ্লায়ার ডিজাইন নিয়ে আজ এমন কিছু জানতে ও শিখতে চলেছেন যা অন্য কোথা থেকে শিখতে পারবেননা। তাই চলুন আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
ফ্লায়ার ডিজাইন কি ?
ব্যবসা বা কোন পন্য প্রচার করার জন্য যে কভার ইমেজ থাকে সেটিকেই ফ্লায়ার বলা হয়। বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে তাই অনেকেই এই পেশার সাথে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে।
এটি একদম নতুন একটি কাজ বললেই চলে তাই এই কাজের অপরচুনিটি অনেক বেশী। আপনি যখন ফেসবুক বা অন্য কোন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করেন তখন দেখতে পাবেন বিভিন্ন ডিজাইনের অ্যাড আপনাকে দেখাবে।
এই যে অ্যাড ব্যানার গুলো দেখতে পান সেই সমস্ত অ্যাড গুলো অনেক সুন্দর ভাবে ডিজাইন করা থাকে এবং সেই অ্যাড ব্যানারে সমস্ত কিছু অনেক সুন্দর ডিজাইনের সাথে সাথে উপস্থাপন করা থাকে আর এগুলোকে মূলত ফ্লায়ার বলা হয়।
বর্তমানে ফ্লায়ার ডিজাইনের চাহিদা এমন হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, কেও যদি একজন প্রফেশনাল ফ্লায়ার ডিজাইনার হতে পারে তাহলে সে প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবে।
আশা করছি ফ্লায়ার ডিজাইন কি সেটি সম্পর্কে আপনার ধারণা হয়ে গিয়েছে। এখন পরবর্তি বিষয় গুলো জানা শুরু করুন,
ফ্লায়ার ডিজাইন কেন করা হয়?
আপনি যদি মার্ভেল বা ডিজনে সিরিজের মুভি গুলো দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন তাদের মুভির পোষ্টার গুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যে, একবার দেখলেই মনে চায় পোষ্টারে ক্লিক করতে।
এছাড়াও আপনি অনেক সময় লক্ষ্য করে থাকবেন, যে সমস্ত বই গুলো রয়েছে তার কভারে আলাদা একটি ডিজাইন করা হয়ে থাকে। প্রতিটি পণ্যের আলাদা আলাদা প্রচারের জন্য আলাদা আলাদা ডিজাইন হয়ে থাকে।
বর্তমান সময়ের অন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট যেন একটি ট্রেন্ডে পরিনত হয়েছে। এখন সমস্ত বড় বড় ইভেন্টের ইনভাইট কার্ড গুলো ডিজাইন করার জন্য ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার হায়ার করা হয়ে থাকে।
এখন যদি বলা হয় তাহলে, ব্যবসায়িক কাজ থেকে শুরু করে পণ্যের প্রচার, মুভির ব্যানার, থাম্বনেইল তৈরি, বিভিন্ন পোষ্টার ডিজাইন, বইয়ের কভার ডিজাইন, বিজনেস প্রপোজাল ইত্যাদি ক্ষেত্রে ফ্লায়ার ডিজাইন করা হয়ে থাকে।
ডিজিটাল মাধ্যমের উন্নতির সাথে সাথে ফ্লায়ার ডিজাইনের চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। তাই এখন এটি এমন একটি মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে যে, কেও এই প্লাটফর্মে কাজ শুরু করে দিলে সফল হতে বেশীদিন সময় লাগবেনা।
আশা করছি ফ্লায়ার ডিজাইন কি এবং কেন এই ডিজাইন করা হয় সেটি সম্পর্কে আপনার একটি ধারণা হয়ে গিয়েছে।
আরওঃ ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট শিখে মাসে লাখ টাকা আয় করার গাইডলাইন
কাজ কিভাবে শুরু করবেন?
ফ্লায়ার ডিজাইন শেখার জন্য আপনাকে এডোবি ফটোশপ এই এডোবি ইলিস্ট্রাটের এর ভালো মানের ধারণা থাকতে হবে। বিশেষ করে আমরা অনেকেই গ্রাফিক ডিজাইনের কথা জানি আর ফ্লায়ার ডিজাইন হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইনের একটি পাঠ।
এছাড়াও আপনি বর্তমান সময়ের বহুল ব্যবহৃত ওয়েবসা অ্যাপলিকেশন ক্যানভা ব্যবহার করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে ক্যানভার প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহার করতে হবে। সেই সাথে ক্যানভা ডিজাইনের একটি প্রফেশনাল কোর্স করতে হবে যেটি ইউটিউবে এভাইলেবল রয়েছে।
ডিজাইন শেখার জন্য আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স করতে হবে এর জন্য আপনি ইউটিবে ভালো মানের ফ্রি কোর্স পেয়ে যাবেন এছাড়াও আপনি চাইলে কিছু টাকা খরচ করে বাংলাদেশের যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে অতি সহজেই গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স কিনে নিয়ে করতে পারেন।
প্রিমিয়াম কোর্স গুলোতে একটি সুবিধা রয়েছে আর সেটি হচ্ছে লাইফটাইম সাপোর্ট। তাই আপনার উচিৎ হবে ভালো মানের একজন ডিজাইনার হওয়ার জন্য একটি কোর্স কিনে নেয়া।
যে কোর্স লিংক দেয়া রয়েছে সেটি দিয়ে আপনি শুধু মাত্র ফটোশপ ব্যবহার করেই একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পারবেন। আপনাকে ডিজাইন শিখতে হলে একটি ভালো মানের গাইডলাইন মেনেই শিখতে হবে।
ফ্লায়ার ডিজাইন গাইডলাইন
ফ্লায়ার ডিজাইন কি সেটি জানার পর অবশ্যই কাজ শিখতে হবে আর এর জন্য একটি পরিপূর্ন গাইডালাইন জানতে হবে। দেখুন একজন ফ্লায়ার ডিজাইনারকে প্রথমেই যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হয় সেটি হচ্ছে আপনি কোন ধরণের প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছেন।
দেশ এবং দেশের বাইরে অনেক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের প্রতি বছরের যে ইভেন্ট হয় সেই ইভেন্টের জন্য ফ্লায়ার তৈরি করে থাকে আর যেটি অনেক বেশী ব্যয় বহুল হয়ে থাকে।
এখন যদি একজন ডিজাইনার সেই ইভেন্টের ফ্লায়ার তৈরি করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই সেই ইভেন্টের যে মূল বিষয় গুলো রয়েছে সেটির মূল বিষয় একদম সংক্ষেপে উপস্থাপন করে দিতে হবে। একটি ফ্লায়ারেতো অনেক লেখা থাকে কিন্তু সবাই পুরো লেখা গুলো পড়ে না।
এই জন্য ফ্লায়ার ডিজাইনের সময় কিছু মূল বিষয় খেয়াল রেখেই কাজ করতে হয় আর সেটি হচ্ছে মূল বিষয়টি একদম সংক্ষেপে উপস্থাপন করা। আর লেখাটি এমন জায়গায় এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন সকলের নজর কাড়তে পারে।
আর সেই সাথে ফ্লায়ারের জন্য ব্যবহার করা ফ্রন্টের দিকেও অনেক বেশী নজর দিতে হবে কেননা একমাত্র ফ্রন্ট পারে একটি লেখাকে খুব সুন্দর দেখাতে। এর জন্য আপনি গুগল থেকে বিভিন্ন ফ্রন্ট ডাউনলোড করবেন এবং দেখে দেখে প্রাক্টিজ করতে থাকবেন। যেই ফ্লায়ারের সাথে যে ফ্রন্ট অনেক বেশী সুন্দর লাগবে সেই ফ্রন্টি ব্যবহার কতে হবে। এছাড়াও,
সাধারণের মধ্যে অসাধারণ ডিজাইন প্রস্তুত

মানুষের কাছে সাধারণ বিষয় গুলো সব সময় অনেক বেশী পছন্দনীয় হয়ে থাকে। আপনি জদ জটিল একটি ডিজাইন উপস্থাপন করেন তাহলে সেটি সবার কাছে ভালো নাও লাগতে পারে।
তাই আপনি চাইলে একদম সহজ এবং সাধারণ একটি ডিজাইন তৈরি করার মাধ্যমে খুব সহজেই অন্যদের নজর কাড়তে পারেন। এর জন্য শুধু আপনাকে অনেক বেশী দক্ষ একজন ডিজাইনার হতে হবে।
ফ্লায়ারের কালার কম্বিনেশন থেকে শুরু করে ছবির ব্যবহার ও সেই সাথে লেখার ফ্রন্ট ও ফ্রন্ট সাইজ সমস্ত কিছুর দিকে অনেক বেশী নজর দিতে হবে যেন আপনার করা ডিজাইনটি অন্যদের চেয়ে অনেক বেশী সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়।
বেস্ট কালার কম্বিনেশন

একটি ফ্লায়ারকে অতি সুন্দর করে তোলার জন্য কালার হচ্ছে অনেক বড় একটি ফ্যাক্টর কারণ আপনি যদি ইমেজের কালারের সাথে টেক্সের কালার মিল না রাখতে পারেন তাহলে সেই ডিজাইন কোন সময় ভালো হতে পারবেনা।
যেমন একটি কোম্পানি আপনার কাছে তাদের ইভেন্টের একটি ফ্লেয়ার তৈরি করতে দিল কিন্তু আপনি ডিজাইনটি এমনভাবে করে দিলেন যে, তাদের কোম্পানির লোগোর কালারের সাথে কোন প্রকার মিল নেই। যদি এমন হয় তাহলে আপনার করা ডিজাইন তারা বাতিল করে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নিবে।
তাই আপনি সব সময় কালার কম্বিনেশনের উপর অনেক বেশী ফোকাস দেয়ার চেষ্টা করবেন।
আরওঃ হাতে থাকা মোবাইল ব্যবহার করে আয় করার উপায়
সঠিক ছবি নির্বাচন করা

দেখুন প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চায় তাদের পন্য গুলোকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য এবং সেই সাথে গ্রাহকদের সাথে ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি করার জন্য। আর এর জন্য ফ্লায়ারে ব্যবহার করা ছবি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাই এমন একটি ইমেজ ব্যবহার করতে হবে যেন যে কেও একবার দেখলেই সেটিতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তাই এমন একটি ইমেজ ব্যবহার করুন যেটি দেখতে অসাধারণ। যদি মানুষের ছবি ব্যবহার করতে হয় অবশ্যই সেটি হাসি মুখের থাকতে হবে কারণ মানুষ হাসি মাখা মুখে অনেক বেশী আকৃষ্ট।
এই কারণে আপনি সব সময় চেষ্টা করুন ভালো মানের একটি ছবি নির্বাচন করতে। আপনি একদম ফ্রিতে পিক্সেল, পিক্সেবে, আনপ্লাশ ইত্যাদি ওয়েবসাইট থেকে সব ধরণের ছবি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রয়োজনে বিভিন ধরণের শেইপ ব্যবহার করুন

একটি ফ্লায়ারের সাথে অনেক গুলো ছবি ও টেক্স ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে আর এর জন্য আপনাকে আলাদা আলাদা শেইপ ব্যবহার করতে হবে। আর আপনি যদি আলাদা আলাদা শেইপ ব্যবহার না করেন তাহলে কোনভাবেই অনেক গুলো ছবি ও টেক্সটের ব্যবহার করতে পারবেননা।
দেখুন যখন অনেক গুলো শেইপ ব্যবহার করে সেখানে বিভিন্ন ধরণের ইমেজ সেট করা হবে এবং বিস্তারিত লেখা গুলো লিখে দেয়া হবে তখন সেটি দেখতে যেমন অনেক সুন্দর হবে সেই সাথে সমস্ত কিছুর উপস্থাপন অনেক সহজ ভাবেই তুলে ধরা যাবে। তাই প্রয়োজনের ক্ষেত্রে একাধিক শেইপ ব্যবহার করতে হবে ।
যোগাযোগের ঠিকানা গুলো হাইলাইট করা

প্রায় প্রতিটি ফ্লায়ারে যোগাযোগের জন্য ঠিকানা, ইমেইল এড্রেস, ওয়েবসাইটের লিংক লিখে দিতে হবে। তাই আপনাকে ঠিকানার পজিশন এমন ভাবে রাখতে হবে যেন অতি সহজেই সবার চোখের সামনে আসে।
এর জন্য আপনি বিশেষ করে বোল্ড অক্ষর ব্যবহার করবেন এবং সেই সাথে বেস্ট পজিশনিং করে দিবেন। এক্ষেত্রে আপনার করা ডিজাইন আরও বেশী সুন্দর ও আকর্শনীয় হয়ে উঠবে।
বিভিন্ন ধরণের প্যাটার্ন এর ব্যবহার

মনে রাখবেন আপনি ডিজাইন করার সময় যখন বিভিন্ন ধরণের প্যাটার্ন ব্যবহার করবেন তখন সেই ডিজাইটি আরও বেশী সুন্দর হয়ে উঠবে। তাই সব সময় মাথ্য রাখবেন সুন্দর কিছু প্যাটার্ন যুক্ত করে দেয়ার জন্য।
এটি একটি ডিজাইনকে ফুটিয়ে তুলতে অনেক বেশী সাহায্য করে থাকে।
প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন

ডিজাইন করার সময় আপনাকে ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রাসঙ্গিক সমস্ত বিষয় গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। যেমন, ইভেন্টের ধরণ কেমন হবে, সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের চাহিদা কতটুকু, এর অবস্থান কোথায় ইত্যাদি।
দেখুন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা ডিজাইন হয়ে থাকে। যেমন একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যে ধরণের ডিজাইন করতে চাইবে একটি ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান কিন্তু তার চেয়ে আলাদা ডিজাইন করতে চাইবে আর এর কারণ হচ্ছে তাদের গ্রাহকদের চাহিদা একদম ভিন্ন হয়ে থাকে।
প্রধান বা প্রাইমারি কালারের সঠিক ব্যবহার করুন

আমরা প্রাইমারি কালার বলতে লাল, নীল ও হলুদ কালারকে চিনে থাকি। একমাত্র এই তিনটি কালার পারে একটি ডিজাইনকে অসাধারণ একটি লুক দিতে । তাই সব সময় প্রাইমারি কালারের যথাযথ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
বিশেষ দক্ষতার সাথে কাজ করুন

দেখুন কাজ যেটি হোক না কেন দক্ষতা যদি বেশী থাকে তাহলে অতি সহজেই কাজ পাওয়া যায় এবং সেই সাথে নিজের প্রচারের ক্ষেত্রে অনেক বেশী সুবিধা হয়ে যায়। একটি বিষয় সব সময় খেয়াল করা যায় প্রায় বেশীরভাগ ডিজাইনার অন্য সমস্ত প্রফেশনাল ডিজাইনারদের কাছে থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তাদের মত করেই ডিজাইন করে করে থাকে।
কিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয় কারণ আপনি যদি নিজের সৃজনশীল মনকে কাজে লাগিয়ে ডিজাইনের মধ্যে নতুনত্য নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনি অতি সহজেই ট্রেন্ডে পৌঁছতে পারবেন যার ফলে কাজ পাওয়ার প্রবনতা অনেক গুন বেড়ে যাবে।
তাই সব সময় চেষ্টা করুন নিজের সমস্ত অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীল মনকে কাজে লাগাতে।
হাই রেজুলেশন ইমেজ ব্যবহার করুন

ইমেজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়টি অনেক বেশী মাথায় রাখতে হবে। আপনি সব সময় ফ্লায়ারের মধ্যে হাই কুয়ালিটির ইমেজ গুলোই ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার ডিজাইন করা ফ্লায়ারটি দেখতে অনেক বেশী সুন্দর হবে।
দেখুন আপনি যদি খারাপ রেজুলেশনের ছবি ব্যবহার করে ডিজাইন করেন তাহলে যখন এই ফ্লায়ারটি প্রিন্ট আউট করা হবে তখন ছবিটি একদম অপরিস্কার দেখাবে। তাই সব সময় চেষ্টা করুন হাই রেজুলেশন যুক্ত ইমেজ বা ছবি ব্যবহার করার জন্য।
বিভিন্ন ধরণের ফ্রেমের ব্যবহার

আপনি যদি আপনার ডিজাইনে ফ্রেম ব্যবহার করেন তাহলে আপনার করা ডিজাইন দেখতে অনেক বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। ফ্রেম কিন্তু খেত্র বিশেষে করতে হবে কারণ সব ডিজাইনের জন্য ফ্রেম প্রযোজ্য নয়।
কাজ কোথায় পাওয়া যাবে
ফ্লায়ার ডিজাইন কি এবং কেন করতে হয় ও সেই সাথে কাজ গুলো শেখার পর কোথায় কাজ পাওয়া যাবে সেটিও জানা অনেক বেশী জরুরী কারণ কাজ কোথায় করা যাবে সেটি যদি না জানেন তাহলে বলতেই পারেন এটি শিখবো কিন্তু কাজ করবো কোথায়?
ফ্লায়ার ডিজাইন এমন একটি কাজ যেটি খুব ভালোভাবে শিখতে পারলে আপনার এলাকায় একটি প্রিন্টের দোকান করলেও মাস শেষে ভালো মানের টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়াও অনলাইন মার্কেট প্লেসে আপনি ফ্রিলান্সিং করার মাধ্যমে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে ফ্লায়ার ডিজাইনের কাজের জন্য প্রতিনিয়ত ফ্রিলান্সার হায়ার করা হচ্ছে। বিশেষ করে ফাইবার, ফ্রিলান্সার, ৯৯ ডিজাইন ইত্যাদি অনলাইন মার্কেট প্লেস গুলোতে আপনি ফ্রিলান্সিং করার মাধ্যমে অতি সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি চান ফেসবুক থেকেও আয় করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য ফ্লায়ার দরকার হয় থাকে। আর আপনি যদি সেই ডিজাইন করে দেয়ার মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে এবং আপনার ডিজাইন গুলোর অ্যাড প্রমোট করতে হবে।
তাহলেই আপনি ফেসবুক থেকে অতি সহজেই ক্লায়েন্ট পেয়ে যাবে। একবার যদি কাজ শিখতে পারেন আপনি চাকরি করেও ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।
কাজ শিখতে শিক্ষাগত যোগ্যতা
আপনার যে অনেক বেশী শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে সেটি অবশ্য না। আপনি শুধু ইংরেজিতে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করলেই হয়ে যাবে কারণ ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি জানতে হবে।
এছাড়া আপনি যেকোনো ক্লাস বা যেকোনো মাধ্যম থেকেই এই কাজ শিখতে পারেন। বিশেষ করে এইচএসসি লেভেল থেকেই শুরু করা যাবে কারণ মাধ্যমিকের ছেলে বা মেয়েদের অনলাইনের কাজের প্রতি তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে।
কি পরিমাণ টাকা আয় করা সম্ভব
কি পরিমাণ আয় হবে সেটি বলা সম্ভব নয় কারণ এটি কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। এছাড়াও অনেক ফ্রিলন্সার রয়েছেন যারা প্রতি ঘন্টায় ২০ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়ে থাকে ( সুত্রঃ প্রথম আলো )।
তাই আগেই টাকার চিন্তা না করে কাজ শিখুন দেখবেন টাকা আপনার কাছে নিজে নিজেই চলে আসবে। মনে রাখবেন এটির প্রতিযোগিতা অনেক কম তাই আপনি এই সুযোগটি নিয়ে নিতে পারেন।

শেষ কথা
আজকের এই আর্টকেল থেকে আমি আপনাকে ফ্লায়ার ডিজাইন কি এবং এটির বর্তমান চাহিদা সহ কিভাবে কাজ করতে হবে এবং কাজ কোথায় পাওয়া যাবে সমস্ত কিছুই বিস্তারিত জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি।
আমি মনে করি বর্তমান সময়ের জন্য এটি একটি চাহিদা সম্পূন্ন কাজ। তাই নিজের মূল্যবান সময়কে নষ্ট না করে ফ্লায়ার ডিজাইন শিখুন এবং নিজের বেকারত্বকে দূরে ঠেলেদিন।