গ্যাজেট বাংলাদেশ

বাংলাদেশে ভিভো y20 মূল্য

বিশেষ করে বাংলাদেশের বাজারে ভিভো ফোন গুলোর চাহিদা ভালই রয়েছে আর তার মধ্যে ভিভো y20 একটি। আর আজকে বাংলাদেশে ভিভো y20 মূল্য এবং স্পেসিফিকেশন নিয়ে সমস্ত কিছু বিস্তারিতভাবে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে।

আপনি শুধু একটু সময় নিয়ে এই রিভিউ আর্টকেলটি পড়তে থাকুন। আজকের এই আর্টিকেলে এই ফোনের সমস্ত বিষয় নিয়ে একদম সহজ ও সাবলীল ভাষায় সম্পূর্ণ বাংলাতে আলোচনা করা হবে।

ফোনটির দামের পাশাপাশি ভালো এবং খারাপদিক সমস্ত কিছুই আপনাকে জানিয়ে দিয়ে হবে। যদিও এটি একটি চাহিদা সম্পন্ন ফোন তারপরেও এই ফোনের সম্পর্কে আপনার সমস্ত কিছু জেনেই কেনা উচিৎ।

অনেকেই আছেন ব্লগে আসেন ফোনের দাম জানেন এবং তারপর সরাসরি ব্যাক করে চলে যায়। এটি করা মোটেও ঠিক নয় কারণ কোন ফোন কেমন হবে সেটি শুধু মাত্র তার কনফিগারেশনের উপর ভিত্তি করেই হয়ে থাকে।

তাই অবশ্যই সময় নিয়ে বাংলাদেশে ভিভো y20 মূল্য এবং ফিচার গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। তাহলে চলুন দেরি না করে ভিভো y20 ফোনের দাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করে দেয়া যাক,

বাংলাদেশে ভিভো y20 মূল্য

অসাধারন স্টাইলের সাথে সাথে এই ফোনটি সবার কাছেই পছন্দের একটি ফোন কারণ এই ফোনের সাথে যে কালার ব্যবহার হয়েছে এবং যে ম্যাটারিয়াল ব্যবহার হয়েছে সেটি একদম অন্যরকম।

বাংলাদেশে ভিভো y20 মূল্য
ভিভো y20

ভিভো y20 ফুল স্পেসিফিকেশন

নেটওয়ার্ক২জি, ৩জি, ৪জি
র‍্যাম৪জিবি
রম৬৪জিবি
প্রসেসরঅক্টাকর
চিপ্সেট Qualcomm SM4250 ও Snapdragon 460
ব্যাটারি৫০০০ এমএএইচ ( ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জার )
ক্যামেরাব্যাক ১৩ মেগাপিক্সেল ও সেলফি ৮ মেগাপিক্সেল
দামঃ ৳13,990

আরওঃ মাত্র ১০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে সেরা কিছু মোবাইল ফোন দেখুন

বিস্তারিতঃ

ফোনের নামঃ ভিভো ওয়াই২০ ( Vivo Y20 )

রিলিজঃ আগস্ট ২০২২

ব্রান্ডঃ ভিভো

মডেলঃ Y20

দামঃ ৳ ১৩,৯৯০

ফোনের ক্যাটাগরিঃ স্মার্ট মোবাইল ফোন

নেটওয়ার্ক ও কানেক্টিভিটি

ভিভোর এই ফোনটির সাথে থাকছে মোট তিন ধরণের নেটওয়ার্ক সুবিধা আর এর মধ্যে রয়েছে ২জি, ৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্ক এবং সেই সাথে ফোনের সাথে ডুয়াল ন্যানো সিম কার্ড ব্যবহার করা যাবে।

এছাড়াও এই ফোনের সাথে আরও থাকছে জিপিআরএস, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, হটস্পট, ইউএসবি ভার্সন ২.০, ওটিজি সাপর্ট আরও অন্যান্য। যদি ফোনটির ইন্টারনেট স্পিডের কথা বলা হয় তাহলে দেখতে পাওয়া যায় যে এই ফোনের সাথে ব্যবহার হয়েছে HSPA, LTE-A প্রযুক্তি।

বডি

এদিকে ফোনটির বডির দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, এই ফোনের সাথে থাকছে গ্লাসের ডিস্প্লে এবং সেই সাথে এটির বডি তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে প্লাস্টিক এবং সেই সাথে মোবাইলের ব্যাক সাইডও প্লাস্টিকের থাকছে।

বডি ডাইমেনশন থাকছে 164.4 x 76.3 x 8.4 mm এবং সেই সাথে এই ফোনটির ওজন দেয়া রয়েছে 192.3 g গ্রাম যেটি একটি স্টান্ডার্ড মাপ বলা চলে। এছাড়াও এই ফোনের সাথে আরও থাকছে মিনিমাল নচ যেটি এই ফোনের আউটলুককে আলাদা একটি রূপ দিতে সক্ষম।

ডিস্প্লে

ভিভোর y20 মডেলের এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে IPS LCD capacitive touchscreen জেটির সাইজ রয়েছে 6.51 ইঞ্চি এবং সেই সাথে এই ডিস্প্লের রেজোলিউশন থাকছে 720 x 1600 পিক্সেল আর এটির রেসিও থাকছে 20:9

এছাড়াও এই ডিসপ্লেতে থাকছে মাল্টিটাচ ফিচার এবং সেই সাথে ডিস্প্লের ডেনসিটি থাকছে ২৭০ পিপিআই যেটি ফোনের সাইজের ডিস্প্লের জন্য একদম সঠিক পরিমানে থাকছে।

পারফর্মেন্স

ফোনটির বেস্ট পারফর্মেন্সের জন্য দেয়া থাকছে এন্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেম যেটি আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে ১১ তে আপডেট করে নিতে পারবেন। এদিকে ফোনটিতে থাকছে Qualcomm SM4250 ও Snapdragon 460 চিপ্সেট এবং সেই সাথে ডেটা প্রসেসিং এর জন্য থাকছে Octa-core এর প্রসেসর।

এদিকে ফোনটিতে ব্যবহার হয়েছে ৪জিবি ভ্যারিয়েন্টের র‍্যাম এবং সেই সাথে ৬৪জিবির একটি রম। এছাড়াও এটি ফোনের সাথে আলাদাভাবে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যাবে।

বেস্ট চার্জিং পারফর্মিং এর জন্য এই ফোনের সাথে থাকছে 5000 mAh এর ননরিমুভাল ব্যাটারি ও সেই সাথে দ্রুত চার্জ করার জন্য থাকছে ১৮ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জার যেটি দিয়ে ১ ঘন্টার মধ্যে এই ফোনকে ফুল চার্জ করা সম্ভব।

ক্যামেরা

ফোনটির সাথে ব্যবহার হয়েছে মোট তিনটি ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যেটি দিয়ে ১০৮০পি মুডে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। এছাড়াও এটির সেলফি ক্যামেরা হিসাবে থাকছে ৮ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা।

আর সেলফি ক্যামেরা দিয়েও ১০৮০পি মুডে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। এছাড়াও সিকিউরিটির জন্য এই ফোনের সাথে থাকছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক সেন্সর।

আরওঃ এই বছরে ভিভোর সেরা কিছু মোবাইল ফোন দেখতে ক্লিক করুন

ফোনটির ভালো এবং খারাপ দিক

ভিভো y20 মূল্য তালিকার পাশাপাশি এই ফোনের ভালো এবং খারাপ দিক গুলো তুলে ধরলে একজন ক্রেতার জন্য অনেক বেশী ভালো হয় তার জন্য এই ফোনটি সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত ধারনা দেয়ার চেষ্টা করছি যেটি থেকে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এই ফোনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে?

ফোনটিতে যে নেটওয়ার্ক ক্যাপাসিটি রয়েছে সেটি এই ফোনের দামের সাথে পারফেক্ট রয়েছে এছাড়াও ডুয়াল ন্যানো সিম কার্ড ব্যবহার করার মত সুবিধাও যুক্ত থাকছে এই ফোনের সাথে।

বডি স্টাইল এবং ম্যাটারিয়াল এর জন্য যে সমস্ত বস্তু ব্যবহার হয়েছে সেগুলোও ঠিকঠাক আছে। এছাড়াও বড় মাপের এই ডিস্প্লের পাশাপাশি আরও পাবেন আইপিএস টাচ স্ক্রিন। বিশেষ করে এই বাজেটের মধ্যে যে সমস্ত ফোন রয়েছে প্রায় সমস্ত ফোন এই মাপের ডিস্প্লে দেয়া থাকে।

যদি এই ফোনের পারফর্মেন্স এর কথা বলা হয় তাহলে এটিতে যে র‍্যাম ও রম রয়েছে সেটি একদম পারফেক্ট এছাড়াও চিপ্সেট ও প্রসেসর সমস্ত কিছুই অনেক ভালো মানের থাকছে।

আরওঃ নোকিয়ার সেরা কিছু বাটন মোবাইল

৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারির পাশাপাশি এই ফোনের ফাস্ট চার্জিং আপনাকে অনেক বেশী হেল্প করে থাকবে। এছাড়াও এই ফোনের ক্যামেরাও বেস্ট থাকছে। সমস্ত কিছু বিচার বেবচনা করলে দেখা যায় এই দামের মধ্যে যে সমস্ত ফিচার দেয়া দরকার তার সমস্ত কিছুই এই ফোনের মধ্যে রয়েছে।

তাই এই ফোনের খারাপ দিক নেই বললেই চলে। কিন্তু এখানে একটি বিষয় রয়েছে আর সেটি হচ্ছে এই ফোনটি রিলিজ হয়েছে আগস্ট মাসে তাই বর্তমানের ফোনের সাথে তুলনা করা যাবে না।

এখন চাইলে আপনি নিজের বিবচনার উপর ভিত্তি করে এই ফোনটি কিনতে পারেন।

শেষ কথাঃ আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত গ্যাজেট এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য শেয়ার করা হয় তাই আপনি আমাদের এই ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থেকে নিজের প্রযুক্তি অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে নিন।

গ্যাজেট থেকে আরও দেখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *