টেলিকমব্লগ পোস্ট

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২৩

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিয়ে অনেকের অনেক রকম প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ কোন ভিন্ন ক্যাটাগরির মানুষের বসবাস আমাদের এই দেশে। কেও কেও নামি দামি কোম্পানির মোবাইল ব্যবহার করছে আবার কেও ব্যবহার করছে একদম কম দামি মোবাইল।

প্রতিটি মানুষই তার চাহিদার উপর ভিত্তি করেই যোগান দিয়ে থাকে। কেও করছে আইফোন ব্যবহার আবার কেও কছে শাওমি, সিম্ফনি। এখন বলা যেতে পারে যে, আপনি যদি স্পেসিফিকভাবে জিজ্ঞাসা করেন বর্তমানে দেশের মধ্যে কোন মডেলের ফোন কত জন ব্যবহার? তাহলে কিন্তু কোনভাবেই উত্তর দেয়া সম্ভব নয়।

কারণ মোবাইল ফোন কত গুলো ব্যবহার হচ্ছে সেটি গণনা হয় নেটওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে। কত গল অপারেটর স্বয়ংসম্পূর্নভাবে চালু রয়েছে মূলত তার উপর ভিত্তি করেই মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা নির্ধারন করা হয়ে থাকে।

বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা সম্পর্কে জানুন

দেখুন জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করেই মূলত মোবাইল ফোন ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষ করে ২০২২ সালের জনসুমারিতে উঠে এসেছে যে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা রয়েছে ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন আর প্রতিটি পরিবারে সদস্য সংখ্যা গড়ে ৪ জন করে।

আর একটি মজার ব্যাপার হল পরিবার গুলোতে ৫ বছরের উর্ধে যারা রয়েছে তাদের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫৬% যেটি উঠেছে এসেছে এই নতুন জনসুমারিতে।

এর মধ্যে পুরুষ সংখ্যা মেয়েদের তুলনায় অনেক কম তাই বলা হয় দেশে নারীর চাইতে পুরুষ কম। যাইহোক বিবেচনা করলে দেখা যায় প্রতিটি পরিবারে কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি করে ফোন ব্যবহার হয়ে থাকে আবার কিছু কিছু পরিবারে প্রতি জনের কাছে দুটির বেশী ফোন রয়েছে।

আর সব মিলিয়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪০ লাখ ১ হাজার যা কিনা জনসংখ্যার চাইতেও অনেক বেশী। আর এই অর্থ হচ্ছে দেশের কেও কেও দুটি বা তার একাধিক ফোন ব্যবহার করে থাকে।

এদিকে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার জানিয়েছেন বর্তমানে বাংলাদেশে মোট চারটি মোবাইল কোম্পানির গ্রাহক রয়েছে কিন্তু বাস্তবতা দেখতে গেলে এর চাইতেও বেশী কোম্পানির ফোন বাংলাদেশে ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু এই চারটি বেশী ব্যবহার হয়।

বাংলাদেশে কোন সিমের গ্রাহক কত জন

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা

বাংলাদেশে মোট ৫টি টেলিযোগাযোগ কোম্পানি রয়েছে এবং শুধু মাত্র তারাই সারাদেশে নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে। এই সিম গুলোর বর্তমানে কি পরিমাণ ব্যবহারকারী রয়েছে সেটি জানতে পারলেই দেশের কি পরিমাণ মোবাইল ফোন রয়েছে সেটি একদম পরিস্কার হয় যাবে।

সিম কোম্পানি গুলো হল,

  • গ্রামিন ফোন
  • রবি
  • এয়ারটেল
  • বাংলালিংক
  • টেলিটক

গ্রামিন সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা

পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় এবং একই তথ্য টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী থেকে জানা যায় বর্তমানে বাংলাদেশে গ্রামিনফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা রয়েছে মোট ৮ কোটি ৪০ লাখ এবং মোট সিমের সংখ্যা রয়েছে ১১ কোটি ১৪ লাখ।

এদিক থেকে জানা যায় প্রায় ৩ কটির কাছাকাছি সিম কার্ড বন্ধ রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে অনেকেই অফাররের কারণে নতুন সিম কার্ড ক্রয় করে এবং মিনিট অ মেগাবাইট শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সেটিকে বন্ধ করে রেখে দেয়।

রবি সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা

বর্তমানে বাংলাদেশে রবির গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে মোট ৫ কোটি ৪৮ লাখ এবং তাদের সিমের সংখ্যা রয়েছে ১০ কোটি ২৬ লাখ। এদিক থেকে রবি গ্রামিন ফোনের চাইতে অনেক অংশে পিছে পরে রয়েছে।

যদিও ধীরে ধীরে রবি সিমের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর এখন যেহেতু গ্রামিন ফোনের সিম বিক্রি করা আপাদত বন্ধ রয়েছে তাই এই সুযোগে রবি গ্রাহক সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে নিচ্ছে।

এয়ারটেল সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা

এখন অব্ধি বাংলাদেশে এয়ারটেল সিমের ব্যবহারকারীকে গণনা করা হয়না এর কারণ হচ্ছে রবি এবং এয়ারটেল একই লিমিটেড কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত। রবি এবং এয়ারটেল একই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার পাশাপাশি কল সার্ভিস সমস্ত কিছুই একসাথে হয়ে থাকে।

যেহেতু এটি একটি একীভূত কোম্পানি তাই রবি ও এয়ারটেল পরিসংখ্যান একই সাথে হয়ে থাকে।

বাংলালিংক সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা

এখন অব্দি বাংলালিংক ৩য় অবস্থানে অবস্থান করছে কারণ এর গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ। বাংলালিংক পিছিয়ে থাকার পেছনে শুধুমাত্র তাদের নেটওয়ার্ক সেবা।

প্রতান্ত অঞ্চল গুলোতে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক না থাকায় তাদের গ্রাহক সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। যদিও এটি ফাস্টেট ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে থাকে তারপরেও তার গ্রাহক সংখ্যা অন্য কেও গেইন করে নিয়েছে।

টেলিটক সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা

বাংলাদেশে সিম ব্যবহার কারীর সংখ্যা হিসাব করতে গেলে টেলিটক রয়েছে সবার নিচে কারণ এটি বর্তমান ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ৬৭ লাখ ১ হাজার। যদিও গ্রাহক সংখ্যা কম হওয়ার অনেক গুলো কারণ রয়েছে।

তার মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে যেকেও চাইলেই অতি সহজেই এই সিম কিনতে পারেনা এবং সব জায়গায় এভাইলেবল নেই। স্পেসিফিক কোন এক জায়গা থেকে কিনে নিতে হয়।

সরকারি চাকরির আবেদন করার জন্য এই সিম ব্যবহার করা হয় তাই কিছু গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে। যদিও গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। যার প্রতিরূপ হচ্ছে প্রত্যান্ত অঞ্চল গুলোতে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা করে দেয়া।

এখন কোন সিমের গ্রাহক কত জন রয়েছে সেটি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করলেই বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহার কারীর সংখ্যা অতি সহজেই বেড় হয়ে আসবে। আমি যেহেতু আগেই বলে দিয়েছি তাই আপনি চাইলে একটু যোগ বিয়োগ করে দেখে নিতে পারে।

আর সেই সাথে এমন আরও তথ্য পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করবেন।

প্রশ্ন উত্তর

বাংলাদেশে কোন সিমের গ্রাহক বেশি?

ক্যালকুলেশন করলে দেখা যায় বাংলাদেশের গ্রামিন সিমের গ্রাহক বেশী কারণ তাদের গ্রাহক সংখ্যা হচ্ছে ১১ কোটি ১৪ লাখ জন।

ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত?

জনশুমারি করার পরে বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল ব্যবহারকারির সংখ্যা হচ্ছে ১৮ কোটি ৪০ লাখ ১ হাজার জন।

দেশে ব্যবহৃত মোট সিম কার্ডের সংখ্যা কত?

বাংলাদেশে ব্যবহৃত মোট সিক কার্ড সংখ্যা হচ্ছে ২৫ কোটি ৯৩ হাজার।

বাংলাদেশে মোবাইল কোম্পানি কয়টি?

বাংলাদেশে ১টি মাত্র নিজস্ব মোবাইল কোম্পানি রয়েছে কিন্ত বর্তমানে কয়েকটি কোম্পানি গড়ে উঠেছে যেমন শাওমি, রিয়েলমি, টেকনো, স্যামসাং, ভিভো, নোকিয়া, সিম্ফনি, ওপো, আইটেল। সব মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল কোম্পানি রয়েছে ১০ টি এবং পরবর্তিতে এটি বেড়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটর কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে?

বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটর ২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি ও এলটিই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে।

শেষ কথা

আপনি হয়ত জেনে গিয়েছেন বর্তমান সয়ের বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত জন এবং কি পরিমাণের সিম কার্ড রয়েছে। আর্টিকেলটি কেমন লাগলো সেটি অবশ্যই করমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *