বিশ্বের প্রথম নেটওয়ার্কের নাম কি ?
বিশ্বের প্রথম নেটওয়ার্কের নাম কি -প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত এত বেশী এগিয়ে গিয়েছে যে, বিশ্বের সব মানুষ যে একটি মাত্র ভার্চুয়াল দুনিয়ার মধ্যে নিমজ্জিত রয়েছে আর এর পেছনের মূল কারণ হচ্ছে ইন্টারনেট এবং এই ইন্টারনেট পরিচালিত করার জন্য দরকার হয় নেটওয়ার্ক।
আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো এই নেটওয়ার্ক কবে এবং কিভাবে আমাদের মাঝে আসলো। কিভাবেই বা ইন্টারনেটের ধারণা আমাদের মধ্যে আসলো সব কিছু নিয়েই ছোট একটি সত্য গল্প নিয়ের আজকের এই আর্টিকেলটি সৃজনশীলতায় সমস্ত কিছু লেখা হয়েছে।
তাই একটু সময় নিয়ে আপনি অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করবেন। আশা করছি আপনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চলেছেন। তাহলে চলুন আর্টিকেলটি শুরু করে দেয়া যাক।
বিশ্বের প্রথম নেটওয়ার্কের নাম কি ?
বিশ্বের প্রথম নেটওয়ার্কের নাম অর্পানেট যার ইতিহাস শুরু হয় ১৯৫০ সাল থেকে যাকে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কিং বলা হয়। কম্পিউটার বিজ্ঞান অধ্যাপক লিওনার্ড ক্রাইনরক তার গবেষণাগার থেকে সর্বপ্রথম একটি বার্তা পাঠান স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে এবং এই বার্তা পাঠেতে তিনি ব্যবহার করেছিলেন অর্পানেট।
আর তখন থেকেই জন সাধারণের মধ্যে প্রথম নেটওয়ার্কের ধারণ এসেছিল। পরবর্তিতে ১৯৬০ সালের শেষের দিকে এবং ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে বিভিন্ন প্রটোকল ব্যবহার করার মাধ্যমে নেটওয়ার্ককে অনেক বেশী উন্নত করা হয়।
অর্পানেটকে ইন্টারনেটওয়ার্কিং উন্নয়নের মাধ্যমে একাধিক নেটওয়ার্ককে একটি মাত্র নেটওয়ার্ককে পরিনিত করেছিল। তাই বলা হয়ে থাকে অর্পানেট চালু হয় ১৯৬০ সালের দিকে কিন্তু উপরের তারিখ গুলো উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া।
আরও দেখুনঃ ইলেকট্রনিক সিম সম্পর্কে আপনি কি জানেন?
নেটওয়ার্ক / ইন্টানেটের ইতিহাস
অর্পানেটকে উন্নত করার পর ১৯৮১ সালে এটিকে ন্যাশনাল সাইন্স ফাউন্ডেশন (এনএসএফ) ও কম্পিউটার সাইন্স নেটওয়ার্কের (সিএসএনএটি) এর মাধ্যমে অনেক বেশী সম্প্রসারিত করা হয় আর এই সম্প্রসারনের জন্য যে সমস্ত উন্নয়ন করতে হয় সেটি এই দুটি প্রতিষ্ঠান করছিল।
পরবর্তিতে ১৯৮৬ সালে যখন এনএসএফনেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সুপার কম্পিউটার সাইটগুলোতে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়। এদিকে ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে আইএসপির মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাপি নেটওয়ার্ক বিস্তার অর্থাৎ ইন্টানেট পরিসেবার কাজ শুরু হয় এবং সেটি ১৯৯০ সালে সঠিকভাবেই বাস্তবায়িত হয়।
১৯৯০ সালের পরবর্তি সময়ে ইন্টারনেটের অনেক বেশী উন্নয়ন হয় যার ফলে অর্পানেটের কর্মবিরতি দেয়া হয় এবং ইন্টানেটের পরবর্তি প্রজন্মের আবির্ভাব ঘটে। এর পরে ১৯৯৫ সালে ইন্টানেট বিশ্বব্যাপি বানিজ্যকভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
তারপর থেকেই বিশ্বব্যাপি ইন্টানেট পরিসেবা শুরু হয় এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ইন্সট্যান্ট মেসেজিং, ওয়েবসাইট, অনলাইন কেনাকাটা, ভিডিও কলিং, ভিডিও গেমস ইত্যাদি মাধ্যম গুলো বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পরে এবং পুরো বিশ্ব একটি গ্লোবাল ভিলেজে পরিনিত হয়।
আর বর্তমানে সেই নেটওয়ার্ক এর আপডেট প্রযুক্তি ২জি, ৩জি, ৪জি ও ৫জির আওতায় রয়েছি।
ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক কী?
নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট একই বস্তু মনে হলে দুটির মধ্যেই রয়েছে অপরিহার্য পার্থক্য আর এই পার্থক্যটি হোল নেটওয়ার্ক কয়েকটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করার মাধ্যমে তৈরি করা হয় যা শারিরিকভাবেই সংযুক্ত থাকে এবং চাইলেই একটি কম্পিউটার থেকে অন্য একটি কম্পিউটারের ডেটা গুলোকে এক্সেক্স করা যায়।
কিন্তু এদিকে ইন্টারনেট একদম আলাদা ভূমিকা পালন করে থাকে কারণ ইন্টানেট হল এমন এক প্রযুক্তি যা ছোট নেটওয়ার্কগুলোকে এবং সেই সাথে সমস্ত বৃহৎ নেটওয়ার্ক গুলোকে একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত করার মাধ্যমে একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক তৈরি করে থাকে।
ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক মাধ্যমে ব্যবহার করে বিশ্বের মধ্যে থাকা সমস্ত কম্পিউটার ডাইভাসকে একত্রিত করে দেয় যার ফলে যেকোনো সার্ভার থেকে আমরা তৎক্ষণাৎ যেকোনো কিছু দেখতে পারি এবং এক্সেক্স করতে পারি।
নেটওয়ার্ক শুধু মাত্র একটি রুমে থাকা বা একটি বিল্ডিংয়ের মধ্যে থাকা কম্পিউটার গুলোকেই একত্রে যুক্ত করতে পারে কিন্তু ইন্টারনেট এমন এক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি যা এই নেটওয়ার্ককে একটি মাধ্যম ব্যবহার করে ইন্টারনেট সার্ভারের সাথে যুক্ত থাকা প্রতিটি কম্পিউটারকে একত্রে যুক্ত করে রাখে।
যেমন আমরা ফেসবুক ব্যবহার করি এবং মেসেজিং থেকে শুরু করে, ছবি আপলোড, ভিডিও আপলোড করে থাকি। এই সমস্ত কিছুই একটি কম্পিউটারে জমা হয়ে থাকে যাকে আমরা সার্ভার নামে চিনে থাকি। আর এই সার্ভাবে আমরা আমাদের ফোন থেকেই বিভিন্ন কিছু আপলোড করে রাখতে পারছি এবং প্রয়োজনে ডাউনলোড করে রাখতে পারছি।
ফেসবুইকের মত অনেক প্লাটফ্রম রয়েছে যেমন ইউটিউব সমস্ত জায়গায় যা কিছু দেখি সব কিছুই কম্পিউটারে সেভ করে রাখা হয়। আর ভিন্ন জায়গায় থাকা ভিন্ন কম্পিউটারের এক্সেক্স পেয়ে থাকি শুধু মাত্র ইন্টারনেট থাকার কারণে।
ইন্টানেটের কাজ হচ্ছে ছোট এবং বড় নেটওয়ার্ক গুলোকে একিভূত করে সংযোগ স্থাপন করা এবং বিশ্ব জুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
আরও দেখুন