ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম ২০২৩
ভোটার আইডি কার্ড চেক -বর্তমান সময়ে বেশীরভাগ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে তাই তাদের মধ্যে সবাই তার মোবাইল ফোন থেকে নিজের ভোটার আইডিটি বের করে নিতে চান। বিশেষ করে সবার কাছে কম্পিউটার না থাকার কারণে অনেক বেশী বিড়ম্বনার মধ্যে পরতে হয়।
এই জন্য আপনি কিভাবে মোবাইলে ভোটার আইডি চেক করা যায় সেটি খুঁজছেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে দেখিয়ে দিবো আপনি কিভাবে খুব সহজেই নিজের মোবাইলে ভোটার আইডি চেক করতে পারবেন।
যদিও বর্তমানে ভোটার আইডি চেক করার জন্য যে ওয়েবসাইট ছিল সেটি বন্ধ আছে। এতে কোন সমস্যা নেই কারণ আমি আজকে আপনাকে দেখিয়ে দিবো কিভাবে নিজের মোবাইল থেকে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
ইতোমধ্যে যারা নতুনভাবে ভোটার নিবন্ধন করেছেন তারা অরিজিনাল ভোটার আইডি কার্ড হাতে পেতে অনেক দিন সময় লাগবে। অনেক সময় নিজের কাজের জন্য অনেক সময় ভোটার আইডি দরকার হয়ে থাকে।
কিন্তু অরজিনাল কপি হাতে না থাকার কারনে অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে চান। কিভাবে ডাউনলোড করতে হবে সেটি না জানার কারনে অনলাইনে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। আশা করছি আপনি প্রতিটি স্টেপ ভালোভাবে ফলো করতে পারলে অতি সহজেই নিজের মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন এবং ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য যা দরকার
একটি ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে হলে সেই আইডি কার্ডের কিছু তথ্য জানতে হয় নতুবা অনলাইন থেকে কোনভাবেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি চেক ও ডাউনলোড করতে পারবেননা।
আপনার যে সমস্ত ব্যাক্তিগত তথ্য জানতে হবে তার একটি তালিকা দিয়ে দেয়া হবে এবং সেই সাথে আপনাকে একটি কথা খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে প্রতিটি তথ্য অবশ্যই সঠিক প্রদান করতে হবে নতুবা কোনভাবেই আপনি ভোটার আইডি কার্ড ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন না।
যে তথ্য গুলো আপনার জানতে হবে,
- একটি স্মার্ট ফোন
- ইন্টারনেট বা ডেটা
- মোবাইল নাম্বার
- এনআইডি নাম্বার অথবা ভোটার স্লিপ নাম্বার
- জন্ম তারিখ
এগুল থাকলেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
যে সকল তথ্য জানা যাবে
- ভোটার আইডির ব্যাক্তিগত নাম
- ছবি
- পিতার পুরো নাম
- মাতার পুরো নাম
- জন্ম তারিখ
- ভোটার আইডি নাম্বার
আরও দেখুনঃ এইভাবে মবোবাইল চার্জ দিন ব্যাটারি ভালো থাকবে
এই কয়েকটি তথ্য থাকলেই আপনার আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক করে ভোটার আইডির অনলাইন কপি যে কোন কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।
আর হ্যা অবশ্যই সঠিক তথ্য দিয়ে আপনার এনআইডি বা ভোটার আইডি কার্ড বের করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম বা ভোটার আইডি কাড দেখার নিয়ম
আপনি কয়েকটি উপায়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি অনলাইন থেকে চেক করতে পারবেন। আর সব গুলো উপায় আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ জানিয়ে দেয়া হবে।
যে উপায়টি আপনার জন্য সহজ হয় আপনি সেই উপায়টি বেছে নেয়ার চেষ্টা করবেন বলে আমি আশাবাদি।
আপনি আপনার ফোন থেকে মোবাইল নাম্বার, মোবাইল অ্যাপ এবং সেই সাথে ওয়েবসাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার এনআইডি কার্ড নাম্বার জানতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড -মাধ্যম এসএমএস
আপনি যদি জানতে চান যে, আপনার ভোটার আইডি কার্ড সফল ভাবে কার্যকরী হয়েছে কিনা? তাহলে সবচেয়ে সহজ উপায় আপনার জন্য।
আপনি এসএমএস এর মাধ্যমে অতি দ্রুত আপনার এনআইডি নাম্বার জানতে পারবেন। এখানে সুধু আপনার ভোটার আইডি নাম্বার ও ব্যাক্তিগত তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।
যদি নিতান্তই আপনার সুধু মাত্র এনআইডি কার্ড নাম্বার জানার দরকার হয় তাহলে আপনি আপনার ফোন থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখুন NID এবং এরপরে একটি স্পেস দিন এবং Form No লিখুন, এরপর আরও একটি স্পেস দিন এবং DD-MM-YYYY এই সেম ফরমেটে আপনার জন্ম তারিখ লিখে পাঠিয়ে দিন 105 নাম্বারে।
ফলো করুনঃ NID<Space>FORM NO<Space>DD-MM-YYYY
উদাহরণঃ 123456789 76030088 10/11/2000
এখানে যে ফরম নাম্বারের কথা বলা হয়েছে সেটি হচ্ছে আপনি ভোটার হওয়ার সময় আপনাকে যে টোকেন দেয়া হয়েছিল সেটির উপরে একটি নাম্বার দেয়া আছে সেটি।
এছাড়াও আপনি টোকেন নাম্বার দিয়ে কিভাবে এনআইডি বের করবেন সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে চাইলে সেটি দেখে নিতে পারেন।
বিঃদ্রঃ যদি এই ৮ ডিজিটের ফরম নাম্বার দিয়ে এন আইডি না আসে তাহলে অবশ্যই এই আট ডিজিটের পূর্বে NIDFN এই লেখাটি যুক্ত করে দিতে হবে। যেমনঃ NIDFN76030088
দেখুনঃ কিভাবে টোকেন নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে হয়?
ওয়েব সাইট ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম
এখন যে উপায়টি আপনাকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে এই উপায় অবলম্বন করে আপনি আপনার ছবি সহ সকল তথ্য পেয়ে জাবেন।
বিশেষ করে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি দুই ধরনের ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড করতে পারবেন। একটি থেকে আপনি সরকার কর্তিক প্লাস্টিকের যে কার্ডটি রয়েছে সেটির মত আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন এবং অন্যটি থেকে আপনি সুধু মাত্র আপনার আইডি কার্ড তথ্য জানতে পারবেন।
বিষয় গুলো দেখতে থাকুন আপনি নিজেই সব কিছু বুঝতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম –ভূমিকর ওয়েবসাইট থেকে
ভূমিকর ওয়েবসাইট থেকে ভোটার আইডি কার্ড চেক এবং ডাউনলোড করা অতি সহজ একটি উপায়। আপনি অতি সহজেই এই ওয়েবসাইট থেকে আপনার ভোটার আইডি তথ্য বের করে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার সামনে নতুন একটি পেজ ওপেন হয়ে যাবে। আপনি মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় ব্যবহার করেই আপনার এনআইডি বের করতে পারবেন।

আপনি এখানে লেখাতে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার সামনে এমন একটি পেজ চলে আসবে এবং ফাকা ঘরে আপনার মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে দিয়ে পরবর্তি পদক্ষেপ লেখাতে ক্লিক করে দিতে হবে।
আপনি যখন পরবর্তি পদক্ষেপ লেখাতে ক্লিক করবেন তখন আপনার ফোনে একটি এসএমএস আসবে এবং সাথে একটি ৬ ডিজিটের ওটিপি দিয়ে দেয়া হবে সেই ওটিপি নাম্বারটি আপনাকে ফাকা ঘরে বসিয়ে যাচাই করুন বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে।
আরওঃ নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড

আপনি যাচাই করুন বাটনে ক্লিক করে দেয়ার সাথে সাথে নতুন একটি পেজ ওপেন হবে এবং সেই পেজে আপনাকে পর পর দুই ঘরে একই পাসওয়ার্ড দিয়ে দিতে হবে।

এরপরে আপনাকে সংরক্ষন বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে। এখন আপনাকে আপনার পুনরায় প্রথম পেজে নিয়ে যাবে।
এখন আপনাকে আপনার দেয়া মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করে আরও একটু কাজ করতে হবে। লগিন করার পরে আপনি নতুন একটি ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন।

এখন আপনাকে এনআইডি ভেরিফাই করুন এই অপশনে ক্লিক করতে হবে এবং আপনার কাছে যে টোকেন আছে সেখানে আপনার এনআইডি নাম্বার দেয়া থাকবে নতুবা আপনি মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে প্রথমে এনআইডি নাম্বারটি জেনেনিন এবং এনআইডি ভেরিফাই করুন।

আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার ও জম্ন তারিখ দিয়ে যাচাই ও হালনাগাদ বাটনে ক্লিক করুন।
হালনাগাদ হলেই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সমস্ত তথ্য আপনার কাছে চলে আসবে। অনেক সময় সার্ভার এরর থাকে যার ফলে আপনাকে পুনরায় চেষ্টা করতে হবে।
সার্ভার এরর দেখালে আপনি দ্বিতীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেন।
আরওঃ মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতিয় পরিচয় পত্র বের করুন
ভোটার আইডি কার্ড চেক –Nidw থেকে
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপনি আপনার স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পারবেন এবং ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এই ওয়েবসাইট থেকে এনআইডি ডাউনলোড করতে হলে আপনাকে আগের ন্যায় এই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হলে আপনাকে এখানে ক্লিক করে ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে হবে।

এখন আপনাকে রেজিস্টার করুন এই অপশনে ক্লিক করে দিতে হবে এবং নতুন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

আপনার সামনে এমন একটি পেজ ওপেন হবে এবং সমস্ত কিছু সঠিক পূরণ করে সাবমিট করতে হবে পরবর্তি ধাপ গুলো সঠিকভাবে পূরণ করে দিতে হবে।
আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনাকে পরবর্তি ধাপে চলে যেতে হবে। আপনি নিচে দেয়া ধাপ গুলো অনুসরণ করুন,
- রেজিস্টার করুন বাটনে ক্লিক করে দিন।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার যদি না থাকে তাহলে ফরম নাম্বার দিন এবং জন্ম তারিখ সঠিকভাবে বসিয়ে দিন।
- ক্যাপচা পূরণ করুন এবং সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন
- এখন আপনার স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা বসিয়ে দিন।
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে সাবমিট করে ওটিপি ভেরিফিকেশন করেদিন ( আপনার মোবাইলে একটি এসএমএস আসবে এবং সেই কোডটি দিয়ে সাবমিট করেনিন )।
- এখন আপনি গুগল প্লে-স্টোর থেকে Nid Wallet অ্যাপসটি ডাউনলোড করে ওপেন করুন এবং আপনার ফেইস ভেরিফিকেশন করুন।
- প্রথমে আপনার মুখের সামনের দিক এবং পরবর্তিতে আপনার মুখের দুই পাশ ভেরিভাই করুন।
- সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করুন এবং নতুন পাসওয়ার্ড সেট করুন।
- এরপরে প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করুন এবং ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করেনিন।
এখন আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি আপনার মোবাইলে ডাউনলোড হয়ে যাবে।
এখন আপনি এই ডাউনলোড ফাইলটি নিয়ে যারা ছবির লেমিনেটিং করে তাদের কাছে গিয়ে আপনার ফাইলটি লেমিনেটিং করেনিন।
পরবর্তিতে স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাওয়া যাবে তা জানতে পার্শবর্তি নির্বাচন কমিশনে গিএ তথ্য সংগ্রহ করুন।
আপনি অবশ্যই এই ওয়েবসাইটে করা একাউন্টের পাসওয়ার্ড মনে রাখবেন অথবা কোথাও সেভ করে রাখবেন যেন পরবর্তিতে আপনি যেকোনো সময় ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি নিজে নিজে ভোটার আইডি কার্ড ভুল থাকলে সেটি সংশোধন করে নিতে পারবেন।
ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করার পূর্বে আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আর সেটি হচ্ছে বারবার ভূল তথ্য দিয়ে ওয়েবসাইটে লগিন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এতে আপনাকে ওয়েবসাইট থেকে ব্লক করে দিতে পারে অথবা আপনার একাউন্ট ব্যান হতে পারে। তাই বারবার ভূল হলে আপনাকে আবার ১২ ঘন্টা পর চেষ্টা করতে হবে। এখানে আপনার উচিৎ হবে মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড কোথাও লিখে রাখুন।
প্রশ্ন উত্তর
১৫ বছর বয়স হলেই ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে এবং যখন বয়স ১৮ বছর হবে তখন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
সরকার কর্তিক প্রদানকৃত জন্ম নিবন্ধন থাকলেই ভোটার হওয়া যাবে।
প্রাপ্ত বয়স্ক সবার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা আবশ্যক।
ভোটার হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স হতে হবে।
১৫ বছর বয়স হলে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করা যায় এবং ১৮ বছর বয়স হলেই ভোট দেয়া যায়।