টিপস

মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম ও ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়

আজকে কথা বলবো মোবাইলের মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম গুলো কি কি রয়েছে এবং কি কি কারণে অতি তাড়াতাড়ি ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায় সেই সাথে আমরা প্রতিনিয়ত কি কি ভুল করেই চলেছি।

মোবাইলে সঠিকভাবে চার্জ দেয়ার বিষয়টি আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন খেয়াল করতেই চায়না। এখন যদিও প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে কিন্তু কিভাবে তার ফোনটিকে সঠিকভাবে চার্জ দিতে হবে সেটি হয়ত জানেইনা বা জানতেও চায়না যার ফলে কিছুদিন পরেই ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায় যার ফলে নতুন অবস্থায় যেমন ছিল তেমন চার্জ টিকে থাকতে পারেনা।

আমাদের এই ফোন ব্যবহারকারীদের ফোনের যে ব্যটারি রয়েছে সেটি ১ বছরের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায় এর পেছনে থাকে নিজের অনেক ভুল। ধারণা করা হয়ে থাকে আমাদের মধ্যে যে পরিমাণ মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছেন তার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের সাথে এমন বিষয় ঘটে থাকে।

তাই আপনার উচিৎ হবে মোবাইলের ব্যাটারি ভাল রাখার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান রাখা কারন নিজের ভুলের কারনেই যদি ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বিষয়টি একদম বিন্নতার রূপ নিবে।

এমন হতে পারে ফোনের ব্যাটারিতে সঠিক নিয়ম মেনে চার্জ না দিলে ব্যাটারি চার্জ ধারন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে অথবা ফোনের ব্যাটারি ফুলে যেতে পারে শুধু তাই নয় কোন কাজ করা ছাড়াই নিজে নিজে চার্জ শেষ হয়ে যেতে পারে তাছারাও অনেক সময় এর চেয়ে বেশী মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

তাই আমাদের উচিৎ হবে মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম এবং ফোনের ব্যাটারি ভাল রাখার উপায় গুলো জেনে নিয়ে ফোন চার্জ করা নতুবা আপনি সমস্যার মধ্যে পরতেই পারেন।

আমরা ফোনে চার্জ দেয়ার সময় অনেক সময় অনেক ভূল করে ফেলি তাই চলুন আজ এই আর্টিকেল থেকে মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম এবং মোবাইলে ব্যাটারি ভাল রাখার উপায় নিয়ে বিস্তারিত সমস্ত কিছু জেনে নেয়া যাক।

সঠিকভাবে চার্জ দিলে কি হয়?

প্রথমেই যে বিষয় সম্পর্কে আপনাকে জানাতে চাই সেটি হচ্ছে মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম জানবো সেটি ভালো কথা কিন্তু সঠিকভাবে চার্জ না দিলে কি হয় সেটি জানবো কেন? এই প্রশ্নের জবাবে একটি কথা বলতে চাই সেটি হচ্ছে বিষয়টি জানলে আপনার অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।

দেখুন আপনি যদি আপনার মোবাইল ফোনকে সঠিকভাবে চার্জ করতে পারেন তাহলে আপনার ফোনের যে ব্যাটারি থাকে সেটি কোনদিন নষ্ট হবেনা যার ফলে চার্জ ফুঁড়িয়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটতে পারবেনা।

তাছাড়াও ফোনে সঠিকভাবে চার্জ করলে ফোন গরম হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে কেননা আমাদের মধ্যে সবারই একটি কমন সমস্যা থেকেই যায় সেটি হচ্ছে ফোন চার্জে দিয়ে রাখলে কিছু সময় পর গরম হয়ে যায়।

এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যে, ফোন চার্জ করা অবস্থায় ফোন ব্লাস্ট হয়ে গিয়েছে। তাছাড়াও মোবাইলে সঠিকভাবে চার্জ দিলে ব্যাটারি ফুলে যায়না আর আপনার ফোনের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি যদি ফুলে যায় তাহলে পরিবর্তন করতে অনেক গুলো টাকা খরচ করতে হবে এটি সব সময় মাথায় রাখতে হবে।

সঠিকভাবে চার্জ না দিলে কি হয়?

আপনি যদি আপনার ফোনের ব্যাটারিকে সঠিকভাবে চার্জ করতে না পারেন তাহলে দেখা যাবে কিছুদিন পর থেকে আগের মত চার্জ ব্যাকাপ দিতে পারছে না যার ফলে আপনাকে অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে পরতে হতে পারে।

তাছাড়াও ফোনের ব্যাটারি ফুলে যায় আর এই ফুলে যাওয়ার ফলে কিছুদিন পরেই ব্যাটারি একেবারেই ডেড হয়ে যায় এবং ব্যাটারি পরিবর্তন করে নিতে হয়। এর ফলে অনেক গুলো টাকা নষ্ট হয় কারন বর্তমান সময়ের ব্যাটারি গুলো অনেক কস্টলি হয়ে থাকে।

এছাড়াও ফোনের চার্জার নষ্ট হয়ে যেতে পারে, চার্জিং পোর্ট নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমনকি ব্যাটারি ধীরে ধীরে চার্জ ধারন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে । এমন অনেক ধরণের সমস্যার মধ্যে আপনাকে পরতে হতে পারে। তাই চলুন মোবাইল চার্জ দেয়ার নিয়ম গুলো জেনে নেয়া যাক। তার পূর্বে আর কিছু বিষয় না বললেই নয়,

মোবাইল চার্জ থাকেনা কেন

দেখুন মোবাইলের ব্যাটারিতে চার্জ থাকেনা কেন এই প্রশ্নের শুধু আপনি নিজেই দিতে পারবেন কারণ আপনার ফোনে কেন চার্জ থাকছেনা সেটি আপনার চেয়ে অন্য কেও ভালো জানেনা।

তারপরেও কিছু তথ্য তুলে ধরছি যেগুলো আপনার দ্বারা ঘটতে পারে। যেমন,

  • একটু চার্জ শেষ হয়ে গেলেই চার্জে লাগিয়ে দেয়া।
  • সারাদিন ইন্টারনেট ব্রাউজ করা। বিশেষ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্রাউজ করলে ব্যাটারিতে চার্জ কমে যায়।
  • কম অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি ওয়ালা ফোন ব্যবহার করা।
  • পুরাতন ফোন কিনে সেটি ব্যবহার করা বা ফোনের বয়স অনেক দিন হয়ে গেলে।
  • সারাদিন ডাটা কানেকশন চালু থাকলে।
  • ফোনের ইন্টারনেট হিসাবে আমারা ওয়াই-ফাই ব্যবহার করি কিন্তু সেটি বন্ধ করার কথা মনে থাকেনা এমন হলেও মোবাইলে চার্জ থাকেনা।
  • অধিক সময় ফোনে ভিডিও রেকর্ডিং করলে।

এমন অনেক কারন রয়েছে ফোনের চার্জ না থাকার। কিছু কারণ হয়ত ক্ষতি করে আবার কিছু কারণ ক্ষতি করতে পারেনা। তাই বিষয় গুলো একটু বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে।

মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম

আপনি সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই সঠিকভাবে নিজের মোবাইল ফোনটিকে চার্জ করতে পারবেন। আপনি ইতোমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে, মোবাইলে সঠিকভাবে চার্জ দিলে কি হতে পারে এবং সঠিকভাবে চার্জ না দিলে কি হতে পারে?

তাই চলুন সাধারণ কিছু ধাপ অনুসরণ করেই আমারা জেনে নেই মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম গুলো কি কি রয়েছে। হতে পারে আপনি মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনার ফোনের ব্যাটারি ভালো থাকবে এবং অনেক সময় চার্জ ব্যাকাপ দিবে

আজ আমরা মোট ১৩ টি নিয়ম জানবো মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত।

১। মোবাইলে ১০০% চার্জ

আমাদের মধ্যে প্রায় সকলেই যে ভূল করে থাকি সেটি হচ্ছে যদি আমাদের ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যায় তাহলে সেই ফোন চার্জে বসিয়ে দেই এবং ১০০% চার্জ না হওয়া অব্দি আমরা চার্জ থেকে ফোন খুলে রাখিনা আর এখানেই অনেক বড় ভূল হয়ে যায়।

কারণ মোবাইলের ব্যাটারিতে ১০০% চার্জ করলে সেটি অভার চার্জিং হয়ে যায় যার ফলে ব্যাটারি অনেক সময় গরম হয়ে যেতে পারে। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে তাহলে ফোন কোম্পানি কেন ১০০% চার্জ করার ব্যবস্থা রাখলো?

মোবাইল প্রতিষ্ঠাতা কোম্পানি নিজেই বলে দিয়েছে যে, প্রতিটি ফোন মোট ৯৫% চার্জ করে রাখতে হবে এতে ফোনের ব্যাটারির চার্জ ধারন ক্ষমতা অনেক দিন যাবৎ টিকে থাকতে পারবে নতুবা ব্যাটারি অভার চার্জিং এর জন্য তার ব্যাকাপ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।

এর জন্য আপনার উচিৎ হবে মোবাইলটিকে চার্জ দেয়ার পর যখন ৯৫% হবে তখন চার্জ থেকে খুলে নেয়া আর হ্যা আপনি প্রতি মাসে কমপক্ষে দুইবার ব্যাটারিকে ১০০% চার্জ করতে পারেন কারণ এতে ব্যাটারির যে ধারণ ক্ষমতা রয়েছে সেটি ঠিক থাকবে।

কিন্তু মাসে দুইবারের বেশী করা যাবেনা। আপনি যত গুলো ব্লগ পড়বেন সবাই একি কথা বলবে।

২।কোন সময় ফোন চার্জে দিবেন?

ফোন চার্জে দেয়ার বিষয়টি অনেকেই ইগনর করে যায় কারণ আমাদের মধ্যে বেশীভাগ মানুষ একটু সুযোগ পেলেই তার ফোনকে চার্জে বসিয়ে দেয়। যেমন হতে পারে ফোনে ১০০ থেকে ৯০% এ চার্জ কমছে এবং পাশেই একটি চার্জার রয়েছে এতে কি হয় সেই ব্যাক্তি ফোনটি চার্জে লাগিয়ে দেয়।

এমন কাজ কোন সময় করা যাবেনা কারণ এতে ব্যাটারির লিথিয়াম পলিমার যে পদার্থ রয়েছে সেটি নিজের ধারণ ক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট করে ফেলে। তাই আপনার উচিৎ হবে যখন ফোন চার্জ কমে ৩০% এর মধ্যে চলে আসবে তখনি চার্জে বসিয়ে দেয়া।

আপনি চাইলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ২০% চার্জ পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন যখন আপনার মোবাইল ২০% এর নিচে চার্জ চলে আসবে তখন সেই ফোনের ব্যাটারির উপরে অনেক বেশী চাপ পরতে থাকে।

এর ফলে ব্যাটারি দ্রুত গরম হয় এবং ধীরে ধীরে ফুলে যেতে শুরু করে যার ফলে অতি তাড়াতাড়ি চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটতে পারে।

৩। কোন সময় মোবাইলে চার্জ করতে হবে

এমন প্রশ্ন অনেকের আসতেই পারে যে কত পারসেন্ট হলে আমাদের মোবাইলে চার্জ দিতে হতে পারে তাই বলছি, আপনার মোবাইল যখন ৩০% বা ২০% এর নিচে চার্জ চলে আসবে তখন আবার নতুন করে চার্জ করতে হবে।

আর আপনি সব সময় চেস্টা করবেন নিজের ফ্রি সময়ে ফোনটি চার্জ করার কারণ ৯৫% চার্জ হয়ে গেলেই আপনাকে আপনার ফোনটি চার্জ থেকে খুলে নিতে হবে এতে আপনার ফোনের জন্য অনেক ভালো হবে।

আপনি ব্যবহার করতে করতে যখন দেখতে পাবেন আপনার ফোনটির চার্জ ২০% এর কাছাকাছি চলে এসেছে তখনই চেষ্টা করবেন চার্জ করার আর যদি তখন চার্জ করার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ফোন ব্যবহার করা থেকে সম্পুর্ন দূরে থাকতে হবে।

আবারও রিপিট করছি আপনি চাইলে মাসে ২ দুবার ফোনের চার্জ ০ থেকে ১০০% করে নিতে পারেন। আর আপনাকে একটি বিষয় অনেক বেশী খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার ফোনের চার্জ যেন কোনভাবেই ০% না হয়ে যায়।

যদি এমন বারবার হতে থাকে তাহলে একদিন দেখতে পাবেবন আপনার ফোন চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে আর চালু হচ্ছেনা। এমন ঘটনা ঘটেনা কিন্তু ঘটে যেতে পারে কিন্তু আপনি চাইলে মাসে দুই একবার ব্যাটারির চার্জ শুন্য করে ফেলতে পারেন এতে ব্যাটারির পারফর্মেন্স ঠিক থাকবে।

আরও দেখুন,

৪। চার্জ ২০% এর নিচে হলে করণীয়

দেখুন কোনভাবেই আপনার ফোনটিকে ২০% এর নিচে চার্জে নিয়ে আসা যাবেনা কারণ আগেই বলেছি এতে ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায়। এখন একটি প্রশ্ন আসতেই পারে সব সময়তো কেও বাড়িতে থাকেনা বা চার্জার নিয়ে ঘুরতে যায়না তাহলে করণীয় কি?

এ ক্ষেত্রে প্রথমেই কল রিসিভ ব্যাতিত অন্য কোন কাজ করা যাবে না যেমনঃ ফেসবুক ব্যবহার, ইউটিবে ভিডিও দেখা, ভিডিও ধারণ করা ইত্যাদি।

যদি চার্জ কমে গিয়ে থাকে এবং চার্জ করার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ফোনের সমস্ত ফিচার বন্ধ করে রাখুন যেমন ব্লুটুথ, ডাটা কানেকশন ইত্যাদি। আর আপনার উচিৎ হবে ব্যাটারির পাওয়ার সেভিং মূড অন করে দেয়া এতে অতিরিক্ত অ্যাপ গুলো কাজ করা বন্ধ করে দিবে।

অনেক সময় দেখা যায় আমরা গেমস খেলতে খেলতে চার্জ একদম শুন্য করে ফেলি জদিও ব্যাটারি লো দেখায় রারপরেও আমাদের কোন প্রকার আসে যায়না। এর এর ফলেই প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ তাদের ফোনের ব্যাটারি একেবারে নষ্ট করে ফেলে নিজেও বুঝে ওঠার আগেই।

তাই আপনার মনে রাখা উচিৎ যখন চার্জ ২০ % এর নিচে চলে আসবে তখন ব্যাটারি সেভিং মূডে রাখার পাশাপাশি সমস্ত কাজ বন্ধ করে রেখে চার্জ করতে হবে তা না হলে কিন্তু আপনার ফোনের চার্জ ধারণ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে জাওয়া শুরু করে দিবে।

যদিয় উপদেশ বা আপনাদের সতর্ক করছি তার পরেও মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ মানুষ ছাড়া এই কথা গুলোর কোন প্রকার দাম দেয়ার চেস্টা তারা ফোন বন্ধ না হওয়া অব্দি তাদের ফোন চার্জে লাগাবেনা তাতে যা হয়ে যাক হোক।

আর এটি করেই ফোন এবং ফোনের ব্যাটারি দুটিই ডেড হয়ে যায়। তাই আপনার উচিৎ হবে যখনি ২০% এর নিচে চার্জ চলে আসবে গেমস খেলা হোক বা মুভি দেখা হোক সেটি বাদ দিয়ে ফোনটি চার্জে বসিয়ে দেয়া।

৫।চার্জে লাগিয়ে ব্যবহার

আমাদের সবার মাঝেই একটি কমন সমস্যা রয়েছে সেটি হচ্ছে ফোনে যদি চার্জ কমে যায় এবং সেই ফোন দিয়ে যদি কাজ করা বা মুভি দেখা হয় তাহলে কোন কিছু না ভেবেই আমরা ফোনটিকে চার্জে লাগিয়ে চাপাচাপি শুরু করি।

ধারণা করা হয় মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ এই ভুল গুলো করে থাকে বিশেষ করে যারা কম বয়সী ব্যবহারকারী রয়েছেন তারা এটি বেশী করে থাকে।

চার্জে লাগিয়ে মোবাইল ব্যবহার করা একদম ঠিক নয় কারণ নিজের অজান্তেই ধীরে ধীরে নিজের ফোনটি ক্ষতির দিএ অগ্রসর হওয়া শুরু করে দেয়া শুরু করে। যেমন এইভাবে ফোন ব্যবহার করতে করতে এক সময় দেখা যায় ফোনটি অধিক বেশী গরম হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

এবং এইভাবে চলতে চলতে হটাৎ করেই ফোনে চার্জ কম থাকা শুরু করে দেয়। তাছাড়াও আপনি যদি একটি ইন্টারনেটে সার্চ করেন তাহলে দেখতে পাবেন গত কয়েক বছরের অনেক গুলো ফোন চার্জে দিয়ে ব্যবহার করা অবস্থায় ব্লাস্ট হয়ে হাত উড়ে গিয়েছে বা মানুষ মারা গিয়েছে।

এটি বলছি বলেই যে আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি সেটি কিন্তু মোটেও নয়। আমি শুধু আপনাকে সতর্ক করছি কারণ এমন ঘটনা আপনার সাথেও ঘটতে পারে বিশেষ করে যারা অনেক দামি ফোন ব্যবহার করেন তাদের জন্য রিস্ক একটু বেশী রয়েছে।

চার্জ দেয়া অবস্থায় ফোন ব্যবহার করলে ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় এর কারণ হচ্ছে চার্জ দেয়া অবস্থায় ফোন সমস্ত কারেন্ট ব্যটারি থেকেই গ্রহন করে কিন্তু এখানে একটি বিষয় হচ্ছে ব্যাটারি ঠিকই চার্জ গ্রহন করে কিন্তু সেটি সঠিকভাবে সাপ্লাই করতে পারেনা যার ফলে চার্জিং কন্টাক্ট মেইনটেইন করতে পারেনা।

এর জন্য অতিরিক্ত গরম হয় ফোন ব্লাস্ট করে এবং ধীরে ধীরে ব্যাটারির চার্জ ধারণ ক্ষমতা শেষ হতে শুরু করে ও ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটে।

আপনাকে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে মোবাইলের ব্যাটারি যেন কোন ভাবেই অভার হিটিং না হয় যদি অভার হিটিং হয়ে যায় তাহলে ধীরে ধীরে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাবে। আর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ার মূল কারণ গুলোর মধ্যে এটি অনেক বড় একটি কারণ।

তাই আপনার উচিৎ হবে কোন ভাবেই চার্জে লাগিয়ে ফোন ব্যবহার না করা। এতে আপনারই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে তাই সতর্ক হয়ে আপনার ফোনটি চার্জ করুন।

৬। ফোনের অর্জিনাল চার্জার ব্যবহার

সব সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে নিজের ফোনের সাথে দেয়া অর্জিনাল চার্জার ব্যবহার করে ফোন চার্জ করতে হবে কারণ অনেক চার্জারে যে চার্জিং পোর্ট দেয়া থাকে যেগুলো সব ফোনের সাথে ফিট নাও হতে পারে।

তাছাড়াও ভোল্টেজ এর কথা যদি বলা হয় তাহলে বিভিন্ন চার্জারে বিভিন্ন ভোল্টেজ দেয়া থাকে। এমন হতে পারে আপনার ফোনটি ফাস্ট চার্জার দিয়ে চার্জ হয়ে থাকে কিন্তু আপনি যদি ফাস্ট চার্জার ব্যবহার না করে সাধারণ চার্জার দিয়ে ফোন চার্জ করতে থাকেন তাহলে ফোনে চার্জ অতি ধীরে উঠবে এবং ধীরে ধীরে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়া শুরু হয়ে যাবে।

ভোল্টেজ আপ ডাউন হওয়ার ফলে ব্যাটারি চার্জ ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই আপনার উচিৎ হবে ফোনের নিজস্ব চার্জার ব্যবহার করে ফোন চার্জ করা।

অনেক সময় দেখা যায় ফোনের অর্জিনাল চার্জার নষ্ট হয়ে যায় যার ফলে নতুন করে আবার চার্জার কিনতে হয়। এই সময় আপনার একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, ভালো একটি কোম্পানির চার্জার কিনতে হবে এবং সাথে আগের চার্জারের সাথে ভোল্টেজ এবং ওয়াট দেখে কিনতে হবে।

৭। সস্তা চার্জারকে না বলেদিন

দেখুন বর্তমান বাজারে অনেক প্রকার চার্জার পাওয়া যায় যেগুলোর মধ্যে কিছু চার্জারের দাম অনেক বেশী আবার অনেক চার্জারের দাম অনেক কম। এদিকে চার্জারের যে স্পেসিফিকেশন থাকার দরকার ছিল সমস্ত কিছুই ঠিক আছে যার ফলে মানুষ মনে করে দামি চার্জার কিনে টাকা নষ্ট করে কি লাভ দুটিতে একি কাজ।

এমন চিন্তা ভূল করেও করা যাবেনা। আমাদের এলাকার আঞ্চলিক একটি কথা রয়েছে “সস্তার আবস্থা”। আপনি যদি সস্তা পন্য ব্যবহার করেন তাহলে নিজেই নিজের ফোন নষ্ট করে ফেলবেন বুঝতেও পারবেননা।

সস্থা চার্জার কেন ব্যবহার করবেন না? এর কারণ হচ্ছে কম দামি পন্য গুলো একদম সস্থা মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে যার ফলে চার্জার এবং ফোন দুটির মধ্যে কম্বিনেশন হয়না।

আর এই কম্বিনেশন না হওয়ার ফলে ফোন এবং চার্জার দুটিই অতিরিক্ত গরম হওয়া শুরু করে আর ধীরে ধীরে ফোনের ব্যাটারি ডাউন হতে শুরু করে । তাই আপনার উচিৎ হবে একটু দাম দিয়ে চার্জার কেনা।

৮। ফোনের ক্যাসিং বা সুরক্ষা

আমাদের মধ্যে প্রায় সকলেই ফোনের জন্য এক ধরণের ক্যাসিং ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে মোবাইল চার্জ করার সময় এই ক্যাসিং খুলে রাখতে হবে কারণ ফোন চার্জ করার সময় একটু গরম হয়।

যদি ক্যাসিং লাগানো থাকে তাহলে ফোনের তাপকে বাইরে হতে বাধা দেয় তাই ফোন অরিরিক্ত পরিমাণে গরম হয় আর এর ফোনে মাদরবোর্ড জাতীয় সমস্যা হতে পারে এমনকি ব্যাটারির উপরেও প্রভাব পরতে পারে তাই আপনার উচিৎ হবে ক্যাসিং খুলে চার্জ দেয়া।

চার্জ যখন ৯৫% হবে তখন ফোন চার্জ থেকে খুলে আবার ক্যাসিং ব্যবহার করতে পারবেন তাই আশা করছি আপনি বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।

৯। সারারাত ফোন চার্জে লাগিয়ে রাখা

আমাদের মধ্যে প্রায় সবারই একটি প্রবণতা রয়েছে আর সেটি হচ্ছে সারারাত ফোনটি ব্যবহার করে যখন চার্জ শেষ হয়ে যায় তখন চার্জে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পরি। কিন্তু পরবর্তিতে এই বিষয়টি খারাপ রূপ ধারণ করে।

আগেই বলেছি ফোনের অতিরিক্ত চার্জ ব্যাটারির উপরে প্রভাব ফেলে। তাছাড়াও সারারাত চার্জ হয়ে যখন ১০০% চার্জ হয় তখন কিন্তু ফোন চার্জ নেয়া বাদ দিয়ে দেয়না চার্জ হতেই থাকে কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনা।

যখন ১০০% চার্জ শেষ হয় তখন ফোন যে চার্জ টুকু নেয় সেই চার্জ পরবর্তিতে চার্জার ব্যাকাপ দেয় ব্যাটারিতে এর ফলে ব্যাটারি অনেক সময় গরম হয়ে থাকে। তাই আপনার উচিৎ হবে সারারাত ফোন চার্জে দিয়ে না রাখা। এতে আপনারই মঙ্গল

১০। দ্রুত গতির চার্জার ব্যবহার

অনেকেই রয়েছেন ফোনকে তাড়াতাড়ি চার্জ করার জন্য বেশী দামের ফাস্ট চার্জার কিনে নিয়ে আসে এবং খুব তাড়াতাড়ি ফোন চার্জ করে। এর ফলে কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায়।

এর কারণ হচ্ছে প্রতিটি ব্যাটারি সাভাবিক একটি ভোল্টেজ ধারণ করতে পারে কিন্তু সেই ব্যাটারিকে যদি অতিরিক্ত ভোল্টেজ পাঠানো হয় তাহলে নিজের ধারণ ক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট করে ফেলে শুধু তায় নয় চার্জ করার সময় অনেক গরম হয়ে যায় যার ফলে ব্যাটারি অতি তাড়াতাড়ি ফুলে যায়।

তাই আপনার উচিৎ হবে ফোনের ভোল্টেজ অনুযায়ী চার্জার ব্যবহার করা।

১১। থার্ড পার্টি ব্যাটারি অ্যাপ

অনেকেই রয়েছেন থার্ড পার্টি ব্যাটারি অ্যাপ ব্যবহার করে থাকে। তাদের ধারনা এই অ্যাপ ব্যবহার করলে চার্জকে অপ্টিমাইজ করবে কিন্তু বিষয়টি একদম আলাদা ঘটে কারণ এই অ্যাপ গুলো নিজেই ব্যাকগ্রাউন্ডে চার্জ ব্যবহার করে।

যার ফলে চার্জ বেশী সময় থাকার বিপরীতে চার্জ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। তাই এই অ্যাপ গুলো ব্যবহার বাদ দিয়ে দিতে হবে। অনেকেই বলে থাকবে এই ধরণের অ্যাপ ব্যবহার করতে কিন্তু আপনাকে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

তাছাড়াও আপনি ব্যবহার করতে দেখে নিতে পারেন উপকার হলে রেখে দিবেন না হলে ডিলিট।

১২। থার্ড পার্টি অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ

আমাদের মধ্যে বেশীরভাগ মানুষের ফোনে এমন কিছু অ্যাপ ইন্সটল করা থাকে যেগুলো আমরা কোন সময় ব্যবহার করিনা। এই ধরণের অ্যাপ গুলোকে ফোন থেকে ডিলিট করে দিতে হবে।

কারণ এই সমস্ত অ্যাপ গুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে নিজে নিজে চার্জ ব্যবহার করতে পারে।

১৩। হঠাৎ চার্জ হতে বেশী সময় নিলে

অনেকে সময় দেখা যায় আমাদের ফোন গুলো আগের চেয়ে ধীর গতিতে চার্জ হচ্ছে। এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমন হতে পারে চার্জারটি আগের মত ভোল্টেজ সাপ্লাই করতে পারছেনা অথবা ডেটা ক্যাবল নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

এমন সমস্যা একটি স্বাভাবিক ব্যপার। বর্তমানে যে বিষয়টি উঠে এসেছে, বিশেষ করে চার্জার নষ্ট হয়না কিন্তু চার্জার ক্যাবল নষ্ট হয়ে যায়। তাই আপনার উচিৎ হবে নতুন একটি চার্জার ক্যাবল ব্যবহার করা।

এতে যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে নতুন চার্জার ব্যবহার করেলেই হবে।

ব্যাটারি চার্জ বেশি থাকার উপায়

আমরা সবাই চাই যে নিজের ফোনটি আপাদত সারাদিন চার্জ ব্যাকাপ দিক কিন্তু বিষয়টি অনেক সময় হয়ে উঠেনা নিজেদের কিছু সাধারণ ভূলের কারনে। তাহলে চলুন ভুল গুলো এক নজরে দেখে নেই,

ফোনের রিসেন্সট অ্যাপঃ অনেক সময় আমরা ফোন ব্যবহার করার সময় একটি বিষয় ভুলে গিয়ে থাকি ফোনের রিসেন্ট অ্যাপ গুলোকে রিমুভ করে দেয়া। ফোন লক করার পূর্বে অবশ্যই রিসেন্ট অ্যাপ গুলো রিমুভ করে দিতে হবে।

ব্লুটুথঃ ফোনের ব্লুটুথ অপ্রয়োজনে বন্ধ করে রাখা যেন হয়ে উঠে না। সব সময় খেয়াল রাখবেন ব্লুটুথ ব্যবহার করার প্রয়োজন শেষ হলেই বন্ধ করে দিবেন।

ওয়াই-ফাই / ডেটা কানেকশনঃ ইন্টারনেট ব্রাউজ করার পর সবাই ডেটা কানেশন বন্ধ করতে ভূলে যাই। আপনাকে অবশ্যই ব্যবহার করা বন্ধ করে দিলে দি দুটোই বন্ধ করে রাখতে হবে।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপঃ আমাদের প্রত্যেকের ফোনেই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ থাকে যেগুলো কোন সময় ব্যবহার করিনা। এই সমস্ত অ্যাপ গুলোকে ডিলিট করে দিতে হবে।

জিপিএসঃ অনেকেই ফোনের জিপিএস অন করে রেখে দেই। প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ করে রাখতে হবে আর যদি এমন হয় আপনি জিপিএস ছাড়া চলতে পারেননা তাহলে চালু রাখবেন অবশ্যই।

এই ছিল আজকের মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম ও ব্যাটারি ভালো রাখার উপায় নিয়ে সমস্ত বিষয় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা। যে সমস্ত বিষয় গুলো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম যদি সমস্ত বিষয় গুলো মানতে শুরু করেন তাহলে অবশ্যই ফোন সঠিকভাবে চার্জ করতে পারবেন এবং ব্যাটারিও সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

শেষ কথা

মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম ও ব্যাটারি ভালো রাখার উপায় আর্টিকেলটি কেমন ছিল সেটি অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন আর সেই সাথে যদি টেকনোলোজি বিষয় নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ব্রাউজ করুন।

আপনার আর কিছু জানার আগ্রহ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

2 thoughts on “মোবাইল চার্জ দেওয়ার নিয়ম ও ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়

  • তথ্যবহুল আর্টিকেল সাবলীল ভাষায়। লেখককে ধন্যবাদ।

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *