যেভাবে বুঝবেন ভূয়া বা ডিপ ফেক ভিডিও কোনটি
বর্তমান সময়ের এক আধুনিন উদ্ভাবন হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই। টেক্সট, অডিও, ভিডিও, ছবি তৈরি করার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। যদিও এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে উপকার করার উদ্দেশ্যে কিন্তু বর্তমানে এটি অনেক ধরণের নেতিবাচক কাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে কেননা একটি মাত্র ক্লিকেই তৈরি করা যাচ্ছে ভূয়া ভিডিও।
ডিপফেক হচ্ছে এআই এর একটি ধরন যেখানে ছবি থেকে শুরু করে অডিও এবং ভিডিও তৈরি ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে এই প্রযুক্তি। এটি এমন এক প্রযুক্তি যা অরিজিনাল সোর্সকে ডিলিট করে দিয়ে নতুন কিছু যুক্ত করে দিতে পারে যেমন অতি সহজেই একজনের সাথে অন্য জনের মুখ পরিবর্তন করে দেয়া যায় যার ফলে বোঝা যায়না যে, ভিডিওটির ক্যারেক্টার আসলে সত্য কিনা?
বর্তমান সময়ে নেট দুনিয়ায় সেলফিব্রেটিদের বিশেষ কিছু ভিডিও এবং ছবি এভাইলেবল রয়েছে যেগুলো মূলত এইআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এবং এই সমস্ত ভিডিও মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে।
ডিপফেক ভিডিও শনাক্তের উপায়
বিশেষ কিছু উপায় রয়েছে ডিপফেক ভিডিও শনাক্ত করা যায়। তাহলে জেনে নেয়া যাক কিভাবে ডিপ ফেক ভিডিও শনাক্ত করা যাবে?
চোখের দিকে নজর দেয়া
ভিডিও দেখার সময় চোখের দিকে নজর দিতে হবে কেননা এআই জেনারেটেড ভিডিও সাধারণ মানুষের মত হয়না তাই সাধারণ মানুষ যেভাবে চোখের পলক ফেলে ডিপ ফেক ভিডিওর মানুষ সেভাবে পলক ফেলতে পারেনা কারণ ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি করা।
ঠোঁটের নড়াচড়া খেয়াল করা
ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা ভিডিও যদি হাই রেজোলিউশন বা ভিডিও যদি ভালো না হয় তাহলে কথা বলার সময় লিপ সিঙ্কিং বা কথা বলার সাথে ঠোট মিলবেনা। যদিও এটি অত্যাধুনিক একটি প্রযুক্তি তারপরেও মানুষের হুবহু নকল করতে পারেনা।
ভিডিওতে দেখানো ব্যক্তির ত্বক
বাস্তবিক মানুষের ত্বক এবং এআই দিয়ে তৈরিকৃত মানুষের ত্বক কোন সময় এক হবেনা। তাই ভিডিওতে ত্বকের দিকে নজর দিতে হবে। যদিও এক নজর দেখে সেই ভিডিওতে থাকা ব্যাক্তির ত্বক শনাক্ত করা কঠিন একটি বিষয়। ভিডিও গুলো শরিরে কোন প্রকার দাগ দেখা যাবেনা এবং সেই সাথে নড়াচড়াও অন্য রকম হয়ে থাকবে। সেই সাথে ভিডিওতে থাকা ব্যাক্তির চুলের এবং নাকের দিকে ভালোভাবে নজর দিলে সমস্ত কিছু বোঝা সম্ভব।
বিশেষ করে ডিপফেক ভিডিও গুলো বেশী দীর্ঘ হয়না কারণ এই ভিডিও গুলোকে এআই দ্বারা এডিট করা হয়ে থাকে আর যদি ভিডিও দীর্ঘ হয় তাহলে সেই ভিডিও এডিট করা অনেক বেশী কষ্টকর হয়ে যায়।
আরও দেখুনঃ যেভাবে ঘরে বসেই টাকা আয় করা যায়