শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার -প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিটি মানুষের জীবনকে করেছে সহজ থেকে সহজতর। ধীরে ধীরে মানুষ যেমন আধুনিক হচ্ছে ঠিক তেমনি প্রযুক্তির উন্নয়ন বেড়েই চলেছে। কোন এক সময় কারো সাথে যোগাযোগ করার জন্য চিঠি পাঠাতে হত অথবা নিজে সরাসরি গিয়ে কথা বলতো হত কিন্তু এখন তার আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় কারণ বর্তমান পৃথিবীতে মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ব্যবহার করে অতি সহজেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে।
ঠিক একই পরিবর্তন এসেছে শিক্ষাক্ষেত্রে। শিক্ষাখাতকে আধুনিকায়ন করার জন্য এসেছে বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি এবং সেই সাথে হাতে হাতে ডিজিটাল ডিভাইস। এইতো কয়েক বছর আগে শিক্ষা গ্রহন করার জন্য সরাসরি স্কুলে যেতে হত কিন্তু এখন চাইলে ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরণের রেকর্ডেড ক্লাস করার মাধ্যমে ক্লাস রুমের মধ্যে যা যা শেখানো হয় তার সব কিছু শেখা সম্ভব।
কোন একটি বিষয় না বুঝতে পারলে গুগল অথবা ইউটিউবে সার্চ করার সাথে সাথে সেই বিষয়ের উপর হাজার রেজাল্ট চলে আসে যা থেকে একজন শিক্ষার্থী অতি সহজেই তার নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর যে সমস্যা থাকে তার সমাধান করে নিতে পারে।
অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়ে আসা হয়েছে আমূল পরিবর্তন। তাই আজকের এই শিক্ষামূল্যক আর্টিকেলে শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার নিয়ে কথা বলা হবে যেগুলো বর্তমানে অনেক ব্যবহার হচ্ছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার
এই আর্টিকেলে শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার তালিকা আকারে তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে তাই একটু সময় নিয়ে প্রিয় শিক্ষার্থীকে পড়ার জন্য আগ্রহ জানানো হল।
আশা করা যায় যে, শিক্ষার্থী এই আর্টিকেল থেকে অনেক কিছু জানতে পারবে এবং পরিক্ষায় ১০ শে ১০ পাবে। এই কথা বলার কারণ হচ্ছে আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি এবং তার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করার পরে অনেকে উপকৃত হয়েছে।
এছাড়াও ন্যানো টেকনোলজি কি এবং সেই সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা রয়েছে চাইলে সেটি দেখে নিতে পারেন। এখন শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা যাক।
- ঘরে বসেই অনলাইন ক্লাস করার মাধ্যমে সমস্ত প্রশ্নের সমাধান করা যায়
- স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরক্ষার জন্য ঘরে বসেই আবেদন করা যায়
- প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান গুলোর টিউশন ফি মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে ব্যবহার করে দেয়া যায়
- অনলাইনে উন্নত বিশ্বের উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের লেকচার শুনে প্রশ্নের সমস্যার সমাধান করা যায়
- ক্লাসে যেকোনো বিষয় বুঝতে না পারলে গুগল অথবা ইউটিউব থেকে সার্চ করে সেই সমস্যার সমাধান করা যায়
- মোবাইলে পিডিএফ আকারে বই রেখে সেই বই যেকোনো সময় পড়া যায় যেটি ই-বুক নামে পরিচিত
- ঘরে বসে যেকোনো বিষয় নিয়ে অনলাইন ক্লাস করা যাচ্ছে যার ফলে আলাদাভাবে টিউশন নিতে হচ্ছেনা
- মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করার মাধ্যমে ঘরে বসেই বিশ্বের যেকোনো প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ক্লাস করা যায়
- প্রজেক্টর ব্যবহার করে ক্লাস নেয়া যায় যার ফলে শিক্ষার্থীরা অতি সহজেই সমস্ত কিছু বুঝতে পারে
- যেকোনো ধরণের বই এবং নোটস মোবাইল অথবা কম্পিউটারে রাখা যায় এবং পরবর্তিতে যেকোনো সময় পড়া যায়
এই ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার। এছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অনেক ব্যবহার রয়েছে যেগুলো জানা থাকা দরকার। আপনি যেহেতু শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার জানতে চেয়েছেন তাই ১০টি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি এবং কিভাবে কাজ করে থাকে
যেহেতু শিক্ষার্থী এই প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষাতে দিবে তাই তার সুবিধার্থে শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আরও কিছু ব্যবহার তুলে ধরা যেন সব গুলো বিবেচনা করে ১০টি টপিক উত্তর দিতে পারে।
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
১। অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে যেকোনো প্রশ্নের সমাধান দ্রুততার সাথে করা যায়
২। অনলাইন থেকে কোর্স ক্রয় করা যায় এবং ঘরে বসে ক্লাস করা যায় যার ফলে আলাদাভাবে টিউশনে যেতে হয়না
৩। বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষকদের কাছে থেকে শিক্ষা গ্রহন করা যায় কেননা এখন ইউটিবে ও ওয়েবসাইটে সবার লেকচার আপডেট হয়ে থাকে
৪। শিক্ষার্থী অতি দ্রুততার সাথে নিজের দক্ষতাকে বাড়িয়ে নিতে নেয়া যায় কারণ সব প্রশ্নের উত্তর এখন অনলাইনে পাওয়া যায়
৫। ইউটিউবে প্রযুক্তি বিষয়ক ভিডিও দেখে নিজে নিজে নতুন কিছু আবিস্কার করার মত অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়
৬। ঘরে বসেই বিশ্বের যেকোনো লাইব্রেরী থেকে কাঙ্ক্ষিত বই পড়া যায়
৭। অতি সহজেই এসাইনমেন্ট তৈরি করা যায় এবং এসাইনমেন্টের প্রতিটি টপিক গুগল সার্চ করে খুজে পাওয়া যায়
৮। কম্পিউটার ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের রিপোর্ট তৈরি করা যায় যেমন এটেন্ডেন্স, পরিক্ষার মার্ক ইত্যাদি
৯। ঘরে বসে পরিক্ষার রেজাল্ট দেখা যায়
১০। ফেসবুক, হোয়াটঅ্যাপ্পস এর মত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনলাইনে গ্রুপ স্টাডি করা যায়
১১। শিক্ষামূল্যক ওয়েবসাইট ব্যবহার করে প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়
১২। নিজে নিজেই ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহন করার মত সুযোগ পাওয়া যায়
১২। অতি সহজেই অনলাইন থেকে যেকোনো বই সংগ্রহ করা যায় এবং সেই সাথে যেকোনো অবস্থায় পড়া যায়
মূল কথা হচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এত বেশী প্রসারিত হয়েছে যে, টপিক গুলো নিয়ে আলোচনা করলে অনেক ধরণের টপিক তুলে ধরা সম্ভব। শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার এর পাশাপাশি আরও ১৩টি ব্যবহার তুলে ধরা হয়েছে আশা করা যায় এই বিষয় গুলো কম্বিনেশন করলে একজন শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর প্রদান করতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ ন্যানো টেকনোলোজি কি এবং এর ভবিষ্যৎ কি
এখানে শিক্ষার্থীকে একটি কথা বলতে চাই আপনি যদি এই আর্টিকেল থেকে সঠিক উত্তর জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন এবং সেই সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার বন্ধুদেরকে জানিয়ে দিন।
শেষ কথাঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে অনেক তথ্য আপডেট করা হয়ে থাকে। চাইলে এই ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ক্যাটাগরি পেজ থেকে অনেক কিছু শিখে নেয়া যাবে।