তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিব্লগ পোস্টশিক্ষা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কি বোঝায় -সুবিধা ও অসুবিধা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কি বোঝায়তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই জুগে মানুষের কাছে সমস্ত বিষয় গুলো ধীরে ধীরে অনেক বেশী সহজ হয়ে উঠছে। এক সময় মানুষের যোগাযোগ করার এক তেমন কোন সহজ মাধ্যম ছিলনা বললেই চলে। কিন্তু এখন তার পুরো বিপরীতে কাজ চলছে কারন এখন যোগাযোগের জন্য তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক মাধ্যম

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এ যেন এক অভাবনীয় আবিস্কার। এক সময় মানুষ ভাবতো প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং অগ্রগতি মানুষের জীবন যাত্রাকে দমিয়ে তুলতে পারে। কিন্তু বর্তমানে সম্পূর্ন তার বিপরীতে কাজ করে যাচ্ছে। কারন এখন মানুষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার সমস্ত কাজ গুলোকে অনেক বেশী সহজ করে তুলেছে। ঠিক তারই একটি মুল্যবান উপাদান হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কি বোঝায় এবং কিভাবে তৈরি হয়েছে সেই সাথে সুবিধা অসুবিধা ও কিভাবে আয় করা যায় সমস্ত কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে তাই একটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন কারন আজকের এই আর্টিকেল অনেক তথ্য বহুল হতে চলেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কি বোঝায় ?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যাকে ইংরেজিতে সোশ্যাল মিডিয়া Social Media বলা হয়। ভার্চুয়াল এক ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ বা তথ্য আদন প্রদান মাধ্যম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

মানুষ যেমন সমাজ ভিত্তিক ভাবে তার জীবন যাপন পরিচালনা করে থাকে। চাইলেই খুব তাড়াতাড়ি একজন অন্য জনের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং নিজের অবস্থার কথা প্রকাশ করতে পারে। সুধু তাই নয় চাইলেই যে কোন সাহায্যের জন্য অনেক জনকে খুব সহজেই একত্রিত করা যায়।

ঠিক তার আলাদা বা বিপরীত এক মাধ্যম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এখন যদি বলতে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কি বোঝায় তাহলে বলা যায় এটি ইন্টারনেট ভিত্তিক এমন এক মাধ্যম যা অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষকে তথ্য আদান প্রদান এবং যোগাযোগ করতে সাহায্য করে থাকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এমন এক মাধ্যম যেখানে চাইলেই যেকোনো সময় নিজের অবস্থা, বিভিন্ন তথ্য, আইডিয়া, নিজের ইচ্ছা, অডিও, ভিডিও ও ছবির মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। এটি ভার্চুয়াল মাধ্যম হওয়ার কারনে তথ্য পেতে একে অপরের সাথে দেখা করতে হয়না সুধু ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় এমন ফোন বা কম্পিউটার হলেই হয়।

এই মাধ্যমকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলার মূল কারন হচ্ছে এটি এমনভাবে তৈরি যে নিজের বন্ধু-বান্ধব, সমাজের মানুষ এমনকি পুরো বিশ্বের মানুষ একি সময় ভার্চুয়ালভাবে একে অপরের সাথে কানেক্ট থাকতে পারে এবং তথ্য আদান প্রদান করতে পারে।

মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব আর সে সমাজ ছাড়া বসবাস করতে পারেনা। যেহেতু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে তাই সামাজিক জীবনের মাধ্যম শুধু পরিবর্তন হয়েছে তাছাড়া কিছু নয়।

মানুষের সমস্ত কিছু এখন ইন্টানেট ভিত্তিক হয়ে উটেছে তাই বর্তমান বিশ্বকে বিশ্ব গ্রামের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। এখন চাইলেই যেকোনো স্থানে বসেই এক জন অন্য জনের সাথে সহজেই যোগাযোগ করতে পারেছে আর এটি সম্ভব হয়ে উঠেছে সুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার ফলেই।

তাই এখন বর্তমান বিশ্বকে একটি সমাজের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিহাস

সর্বপ্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্য নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছিল ১৯৩০ দশকের দিকে আর কৃতিত্ব দেয়া হয়েছিল জাজোক মোরেনো কে। পরবর্তিতে ১৯৫০ দশকের দিকে জাজোক মেরনের নীতি গুলোকে গানিতিকভাবে রূপ দেয়া শুরু হয়। পরবর্তিতে ১৯৮০ দশকে এটি মানুষের মাঝে ব্যাপক সমালোচিত হয়ে উঠতে শুরু করে কিন্তু তখন ইন্টারনেট ভিত্তিক কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি হয়নি।

এক সময় ইন্টারনেট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কিছু তৈরি হতে পারে এই বিষয় নিয়ে মানুষের কোন ধারণা ছিলনা কিন্তু সেই ধারণাকে একদম ভূল প্রমান করছিল লিঙ্কডিন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষের একখনও অজানা।

তারাই প্রথম সামাজিক মাধ্যম লিঙ্কডিন প্রথম লঞ্চ করে হয় ৫মে ২০০৩ সালে কিন্তু এটির প্রতিষ্ঠা কাল ২০২২ সাল। বিশ্বের প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল লিঙ্কডিন কিন্তু এটি মূলত সমাজ ভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে তৈরি করা হয়েছিলনা। শুধু মাত্র জব এবং ব্যবসায়িক কাজের জন্য তৈরি হয়েছিল এই মাধ্যমটি।

কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম

বর্তমান সময়ে অনেক গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গড়ে উঠেছে কিন্ত সব গুলোই মানুষের কাছে অনেক বেশী পরিচিতি লাভ করতে পারেনি তাই হয়তা এমন কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে যার তথ্য হয়তো আপনি জানেননা।

তাই চলুন কয়কটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে বিষদ বর্ণনা জেনে নেয়া জাক,

লিঙ্কডিন

এটিই একমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যা সর্বপ্রথম ইন্টারনেট দুনিয়া বা ইন্টারনেট সার্ভারে পাবলিশ করা হয়। এটি নির্মান করা হ্য ২০০২ সালে এবং পরবর্তিতে ২০০৩ সালের ৫ মে মানুষের সামনে নিয়ে আসা হয় আর এই তারিখ হচ্ছে তাদের ওয়েবসাইটের প্রথম লাঞ্চিং এর তারিখ।

এক সময় যদিও লিঙ্কডিন জন মানুষের তেমন বেশী আগ্রহ নিতে পারেনি কিন্তু বর্তমানে সব চেয়ে বেশী ব্যবহার করার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এটি। আর এটিকে একটি প্রফেশনাল সামাজিক মাধ্যম বলা হয়ে থাকে কারণ এই মাধ্যমটি সব প্রকারের মানুষ ব্যবহার করেনা।

বিশেষ করে যারা প্রফেশনাল তারাই এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। এই যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের জব পোস্ট করা হয়ে থাকে এবং যারা প্রফেশনাল তাদেরকে এই লিঙ্কডিন থেকেই জব অফার করা হয়ে থাকে।

আপনি এই যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করলে নিজেকে যাচাই বাছাই করার মত অনেক বড় সুযোগ পাবেন। মনে রাখবেন শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কি বোঝায় জানলেই হবেনা সাথে কন মাধ্যম কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটিও জানা অনেক বেশী জরুরী।

ফেসবুক

বর্তমান সময়ের সব চেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে এটি হচ্ছে অন্যতম। ফেসবুক প্রথম ২০০৪ সালে ইন্টানেট দুনিয়াতে যুক্ত হয় আর এটির প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মার্ক জুকারবার্গ।

যেহেতু এটি একটি অতি পরিচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তারপরেও কিছু তথ্য আপনাকে জানিয়ে দেয়ার চেস্টা করছি। মার্ক জুকারবার্গ যখন তার গ্রার্লফ্রেন্ডের সাথে ব্রেকাপ হয় ঠিক তখনি ঘরে বসে কোডিং এর মাধ্যমে একটি যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি করে ফেলে যা শুধু মেসেজিং এর জন্য ব্যবহার হত কিন্তু এখন এটি কি কি মাধ্যমে ব্যবহার করা যাচ্ছে আপনি নিজেও জানেন।

এখন চাইলেই ফেসবুক ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এখন ফেসবুক ব্যবহার করে ব্যবসা করা যায়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় ইত্যাদি। সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা হবে।

টুইটার

টুইটারকে বলা হয় মাইক্র ব্লগিং ওয়েবসাইট কারন এখানে একদম খুদ্র আকারে তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে যাকে আমরা টুইট বলে চিনে থাকি। টুইটার মানুষের সামনে নিয়ে আসা হয় ২০০৬ থেকে ২০৭৭ সালের মধ্যেই আর আসার সাথে সাথে মানুষের কাছে অনেক বেশী জনপ্রিয়তা লাভ করে বসে এই ওয়েবসাইট।

এটির নির্মাতা হলেন বিজ স্টোন এবং ইভেন উইলিয়াম আর এটি মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান। টুইটার তখন ব্যবহার হত শুধু মাত্র টুইট এবং ছবি পোস্ট করার জন্য কিন্তু পরবর্তিতে অনেক কিছু আপডেট করা হয় এবং মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করা হয় যার ফলে টুইটার মানুষের কাছে অধিক বেশী জনপ্রিয়তা লাভ করে ফেলে।

বিশেষ করে যারা সেলিব্রেটি তারাই তখন টুইটার ব্যবহার করত কিন্তু পরবর্তিতে সাধারন মানুষের কাছে এটির ব্যবহার শুরু হয়। এখনো ব্যবহার হয় কিন্তু তেমন বেশী নয় কারন এখন টুইটারের চেয়ে ভালো প্লাটফর্ম চলে এসেছে।

ইন্সটাগ্রাম

এটি ফেসবুকের একটি প্রতিষ্ঠান আর মানুষের কাছে অধিক আলোচিত এবং ব্যবহৃত হওয়া যোগাযোগ মাধ্যম এটি। ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করে শর্ট ভিডিও আপলোড করা থেকে শুরু করে ছবি পোস্ট করা যেত।

কিন্তু বর্তমানে এটি আপডেট হতে হতে এমন এক পর্যায়ে চলে এসেছে যে, ব্যবসায়িক কাজ থেকে শুরু করে পেজ খুলে সেখানে ভিবিন্ন ধরণের কনটেন্ট যুক্ত করে অতি সহজেই ইনকাম করা যাচ্ছে।

আর হ্যা নিজে পরিচিত করার জন্য ইন্সটাগ্রাম অতি প্রয়োজনীয় একটি মোবাইল অ্যাপ। যদিও এটির একটি ওয়েব ভার্সন রয়েছে কিন্তু সেটি ব্যবহার করা অনেক বেশী সাচ্ছন্দ বোধ হয়না তাই সবাই মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে থাকে।

টিকটক

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশী ব্যবহার করা কোন সোশ্যাল মিডিয়া থাকলে সেটি হচ্ছে টিকটক। এই সামাজিক মাধ্যমে রয়েছে মিলিয়ন ইউজার আর তাদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ রয়েছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর।

টিকটক একটি চাইনিজ প্রতিষ্ঠান যা ইন্টানেটে পাবলিশ করা হয়। এটির প্রথম নাম টিকটক ছিলনা এবং ইন্টারন্যাশনাল ভাবে এটিকে লঞ্চ করা হয় ২০০১৬ সালে এবং এটি পরবর্তিতে মিউজিক্যালি নামে ২০১৮ সালে পাবলিক ভাবে লঞ্চ করা হয়।

আর মিউজিক্যালির পরবর্তি আপডেট টিকটিক নামে মানুষের কাছে চলে আসে এবং ২০২১ সালে এটি সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে মানুষের সামনে চলে আসে। এই মাধ্যম ব্যবহার করে ভিডিও তৈরির মাধ্যমে নিজেকে এবং নিজের ব্যবসাকে অতি তাড়াতাড়ি মার্কেটিং করা যায়।

পিন্টারেস্ট

এটি একটি ইমেজ শেয়ারিং ওয়েবসাট। নিজের অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ছবি গুলোকে এই ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়ে সাথে এমনকি ছবি আপলোড করার পাশাপাশি লিংক যুক্ত করে দেয়া যায় তাই ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসা যায়।

ডিসেম্বরের ২০০৯ সালে বেন সিলবারমান ও তার টিম প্রথম ডেভেলপ করেন এবং ২০১০ সালে ইন্টারনেটে পাবলিশ করা হয় তার পাবলিশ করার পর পরই মানুষের কাছে অনেক বেশী জনপ্রিয়তা লাভ করে ফেলে।

টাম্বলার

টাম্বলার একটি সোশ্যাল মিডিয়া যেখানে সমস্ত কিছুই ফেসবুকের মত করে চলে থাকে। আপনি চাইলেই এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ফেসবুকের মত চ্যাটিং, ছবি শেয়ার, ভিডিও শেয়ার এমনকি লিংক ও শেয়ার করতে পারবেন।

এই ওয়েবসাইটটি ডেভেলপ করা হয় ২০০৬ সালে এবং ২০০৭ সালে ইন্টারনেটে পাবলিশ করা হয়। তারপর থেকে অনেকেই ব্যবহার করছেন এই ওয়েবসাইটটি। জদিও বাংলাদেশের মানুষ এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেনা কিন্তু অন্যান্য দেশ এবং কনটেন্ট রাইটার যারা রয়েছেন তারা ব্যবহার করে আসছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নীতিমালা

  • দেশ বিরধী কার্যক্রম করা থেকে সম্পূরন দূরে থাকতে হবে।
  • জাতীয় অক্য নস্ট করে এমন কোন কনটেন্ট আপলোড করা যাবেনা।
  • যেহেতু দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বসবাস তাই কারো ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত আসুক এমন কাজ করা যাবেনা।
  • রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কটু মন্তব্য করা যাবেনা।
  • বাংলাদেশে বসবাসকারী খুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী নিয়ে কোন প্রকার বিদ্রুপ মন্তব্য করা যাবেনা।
  • মানুষের মাঝে আতঙ্ক করে তুলতে পারে এমন কনটেন্ট আপলোড করা যাবেনা।
  • লিঙ্গ ভেদাভেদ নিয়ে সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এই সমস্ত বিষয় গুলো আপনি অমান্য করলে আপনাকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দেয়া হতে হবে বা হতে পারে। সরকারি নোটিশ দেখুন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্ব

আমাদের আধুনিক জীবনের এক নতুন বাস্তবতা হচ্ছে বর্তমান সময়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এখন প্রযুক্তির এমন প্রসার ঘটেছে যে দেশ এবং দেশের বাইরের খবর জানতে মানুষকে আর টিভির সামনে বসে থাকতে পারেনা শুধু তাই নয় আলাদাভাবে প্রত্রিকা কিনতে হয়না ও চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে খবর দেখতে হয়না।

এই সমস্ত কিছু পরিবর্তে এখন এসেছে ইন্টারনেট, স্মার্ট ফোন ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া। এখন চাইলেই দেশ এবং দেশের বাইরে কি কি হচ্ছে সমস্ত কিছু মূহুর্তের মধ্যেই জানা সম্ভব হচ্ছে। এখন তৈরি হয়েছে ফেসবুক, ইউটিউবের মত বড় বড় সব সামাজিক মাধ্যম।

সকাল বেলা ঘুম থেকেই উঠেই ফেসবুকে প্রবেশ করলেই নিউফিড ভিবিন্ন খবর, ভিডিও এবং ছবিতে ভরে যায় আর তখনি সমস্ত কিছু আমাদের সামনে চলে আসে। ধারণা করা হয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারিদের প্রায় ৭০% সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে।

যদি বাংলাদেশের মানুষের কথা বলা হয় তাহলে বলা যায় আমাদের দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারিদের ৮০ শতাংশ মানুষের ফেসবুক আক্যাউন্ট রয়েছে। সাথে ইউটিউব ও টিকটক ব্যবহার কারী তো আছেই।

এখন অতি সহজেই যেকোনো স্থানে বসেই দেশ এবং দেশের বাইরে যোগাযোগ করা যাচ্ছে অতি সহজেই। নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত মার্কেটিং সমস্ত কিছুই করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার মাধ্যমে।

ফেসবুক ব্যবহার করে বর্তমানে লাখ লাখ মানুষ তাদের বিভিন্ন পন্য বিক্রি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছে যার ফলে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কর্ম সংস্থান। এখন ফেসবুক ব্যবহার করলেই আমাদের সামনে প্রচুর পরিমানে ভিডিও চলে আসে।

এই সমস্ত ভিডিও গুলো কোন এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আপলোড করেছে আর যার মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো এমনভাবে প্রচার এবং প্রসার পেয়েছে যে চাইলেই যেকোনো বস্তু মানুষের সামনে পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে সহজেই।

এখন যেকোনো বিষয় জানতে অন্য কারো সাহায্য নিতে হয়না গুগলে সার্চ করলেই সমস্ত তথ্য অতি সহজেই পাওয়া যায়। নিজের বোরিং সময় ইউটিউব বা ফেসবুক ব্যবহার করেই কাটিয়ে দেয়া যায়।

সব মিলিয়ে যদি দেখা যায় তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্ব বর্তমান সময়ের জন্য অনেক বেশী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপকারিতা

দেখুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কি বোঝায় বলতে বলতে অনেক দূর পৌঁছে গিয়েছি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপকারিতা জেনে নেয়া যাক,

  • অতি সহজেই একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করা যায়।
  • দেশ বিদেশের সমস্ত তথ্য মূহুর্তের মধ্যে জানা যায়।
  • নিজের ইচ্ছা অন্যদের কাছে সহজেই প্রকাশ করা যায়।
  • টাকা উপার্জন করা যাচ্ছে অতি সহজেই।
  • নিজের ব্যবসাকে অতি সহজেই প্রমট করা যায় দেশ ও দেশের বাইরে।
  • একটি পোস্টের মাধ্যমেই সমাজসেবা মূল্যক কাজ গুলো করা যায় এবং অতি সহজেই টিম তৈরি হয়ে যায়।
  • রক্তদানের মত কার্যক্রম গুলো ফেসবুক ব্যবহার করেই বেশী হয়ে থাকে।
  • শিক্ষা ক্ষেত্রে এসেছে অনেক বেশী পরিবর্তন কারন এখন ইউটিউব থেকেই অনেক কিছু শেখা যাচ্ছে আর ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজ থেকে শিক্ষা মূলক অনেক তথ্য পাওয়া যায় শুধু তাই নয় অনলাইন কোর্স গুলো অতি সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।

সব মিলিয়ে দেখলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার মানুষের অনেক উপকার করে চলেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধা

প্রতিটি বস্তু ব্যবহার করার দিকে বিবেচনা করলে দেখা যায় সুবিধা এবং অসুবিধা দুটি রয়েছে। ঠিক তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষেত্রেও একি রকম। এটির যেমন রয়েছে উপকারি দিক তেমন রয়েছে অপকারি দিক।

তাহলে চলুন কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত বিষদ জেনে নেয়া যাক,

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা

  • এটি বিশ্বের অন্যতম প্লাটফর্ম যা এক দেশের মানুষের সাথে অন্য দেশের মানুষকে সংযুক্ত করে রাখে।
  • অতি সহজেই কাছের মানুষের সাথে যোগাযোগ করে যায় এবং ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়।
  • নিজের ব্যাক্তিগত মতামত অতি সহজেই সবার সাথে শেয়ার করা যায় এবং সেই মতের সাথে অনেকের মত মিলে গলে কমেন্ট করে কথোপকথন করা যায়।
  • নিঃসঙ্গ মানুষ গুলো তাদের অবসর সময় সহজেই কাটিয়ে দিতে পারে।
  • সাহায্য বা যেকোনো বিপদ সংকেত অতি সহজেই সবার কাছে পৌঁছে দেয়া যায়।
  • দেশ ও দেশের বাইরের সমস্ত তথ্য বাড়িতে বসেই পাওয়া যায়।
  • কোন কিছু নিজের প্রয়োজন হলে সেই জিনিসটি অতি সহজেই পাওয়া যায়।
  • অতি সহজেই এখন নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যায় এবং লিঙ্কডিন এর মত সামাজিক মাধ্যমে অতি সহজেই জব খুজে পাওয়া যায় ও ক্যান্ডিডেন্ট পাওয়া যায়।
  • ব্যবসায়ীক কাজের জন্য অতি সহজেই মার্কেটিং করা যায় এবং নিজের পন্যকে পৌঁছে দেয়া যায় দেশ এবং দেশের বাইরের মানুষের কাছে।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অতি সহজেই ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায় শুধু তাই নয় অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর রয়েছেন যারা ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অসুবিধা

  • সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনেকেই রয়েছেন আলাদা একটি আসক্তির মধ্যে চলে যাচ্ছে যা অনেক বড় ক্ষতির কারন।
  • বিনা প্রয়োজনে অনেকের সময় নষ্ট হয়।
  • ফেবসুকে প্রচুর পরিমাণে ভূল তথ্য শেয়ার করা হয় থাকে যা মানুষের মাঝে বিদ্রূপ মনোভাব তৈরি করে তুলতে পারে।
  • ভুয়া তথ্য শেয়ার করার জন্য এক অঞ্চলের মানুষের সাথে অন্য অঞ্চলের মানুষের জামেলার তৈরি হয়ে যায়।
  • অনেকেই রয়েছেন অন্যদের ধর্মের অনুভূতি নিয়ে কথা বলে যার ফলে এক জাতীর সাথে অন্য জাতীর ঝামেলা তৈরি করে তোলে।
  • ফেইক আক্যাউন্ট তৈরি করে একে অন্যকে ধমক দেয়ার মত ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
  • ভুল বসত নিজের ব্যাক্তিগত তথ্য প্রকাশ হয়ে যেতে পারে।
  • হ্যাকিং এর মাধ্যমে অতি সহজেই যে কারো তথ্য চুরি করে প্রতারনা করা যায়।
  • অনেক সময় দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার মানুষের হতাশার কারন হয়ে দাড়ায়।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে চাইলে একজনের নামে মিথ্য তথ্য শেয়ার করে সমাজের এবং মানুষের কাছে খারাপ করে তুলতে পারে।
  • অতি সহজেই অনৈতিক কনটেন্ট মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যম ব্যবহার করে আয় করার উপায়

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কি বোঝায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপকারিতা ও সেই সাথে সুবিধা অসুবিধা সমস্ত কিছু সম্প্রকেই জেনে গিয়েছেন এখন জানাব কিভাবে আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আয় করতে পারবেন?

বর্তমান সময়ের সব চেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, লিঙ্কডিন, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি। আর এই সমস্ত মাধ্যম ব্যবহার করে অতি সহজেই প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।

বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহার করে আয় করার মাধ্য ম গুলো অনেক বেশী সহজ। আজ শুধু ফেসবুক নয় অন্যান্য প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে কিভাবে আয় করা যায় সেটি নিয়ে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছি।

দেখুন আপনি একটু চেস্টা করলেই এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই আয় করতে পারবেন। তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আয় করার বিষয় গুলো জেনে নেয়ার চেস্টা করি।

ফেসবুক ব্যবহার করে আয়

এটি এমন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেটি ব্যবহার করে সরাসরি টাকা ইনকাম করা যায় এবং ফেসবুক থেকেই টাকা উত্তলন করা যায়। তাছাড়াও অনেক গুলো মাধ্যম রয়েছে ফেসবুক টাকা টাকা আয় করার। তাহলে জেনে নেয়া যাক,

ফেসবুক ভিডিও থেকে আয়

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে আয় করার সব চেয়ে বড় উপায় গুলোর মধ্যে রয়েছে ভিডিও আপলোড। দেখুন আমরা এখন ফেসবুক ব্যবহার করলে আমাদের সামনে বেশীরভাগ সময় ভিডিও আসে এবং সেই ভিডিও গুলো আমরা দেখে থাকি।

ভিডিও দেখা অবস্থায় সেই ভিডিওর মাঝে অ্যাড দেখানো শুরু করে দেয়। আর এই অ্যাড এর বিনিময়ে ফেসবুক টাকা দিয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলেই ফেসবুক ব্যবহার করে অতি সহজেই ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যে বিষয় গুলো জানেন সি বিষয় নিয়ে শুধু ভিডিও আপলোড শুরু করুন আর যদি আইডিয়া খুজে বের করতে না পারেন তাহলে ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় আর্টিকেলটি পড়তে পারেন তাহলে আইডিয়া পেয়ে যাবেন।

এছাড়াও আপনি ফেসবুক বা ইউটিউব থেকে যে কোন এক ক্যাটাগরির ভিডিওর আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

বর্তমান সময়ের টাকা আয় করার মাধ্যম গুলোর মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। দেশ এবং দেশের বাইরে অনেক ই-কমার্স এবং সফটওয়্যার কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের প্রডাক্ট গুলো অন্যদের দিয়ে প্রমোট করিয়ে সেল বৃদ্ধি করে থাকে।

আর আপনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অতি সহজেই আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে যেখানে অনেক লাইক ও ফলোয়ার থাকতে হবে।

তারপর যারা অ্যাফিলিয়েট প্রগ্রাম প্রভাইড করে তাদের কাছে থেকে অ্যাফিলিয়েট প্রগামে জয়েন হয়ে ফেসবুক থেকে অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

ফেসবুক কমার্সের মাধ্যমে আয়

আমাদের দেশের লাখো মানুষ ফেসবুকে ব্যবসা করে নিজের ক্যারিয়ারকে ডেভেলপ করে নিচ্ছে। চাইলে আপনি নিজেও শুরু করে দিতে পারবেন। এর জন্য আপনার থাকতে হবে একটি ফেসবুক পেজ ও কিছু পন্য।

আপনি যেকোনো পন্য নিয়েই কাজ শুরু করে দিতে পারেন। হোক সেটি শার্ট, টি-শার্ট, শাড়ি, পাঞ্জাবী, ঘি, মধু বা অন্য কিছু। আপনার যদি ইচ্ছা শক্তি এবং ধৈর্য থাকে আপনিও তাদের মত ফেসবুক কমার্সের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

এই তিনটি হল ফেসবুক থেকে আয় করার সব চেয়ে সহজ মাধ্যম। ফেসবুক থেকে আরও কি কি উপারে ইনকাম করা যায় সেটি জানতে হলে ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়

আমরা সবাই জানি ইউটিউব একটি ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যম যেখানে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে। চাইলে আপনি নিজেও সেখানে নিজের জানা বিষয় গুলো শেয়ার করে মাস শেষে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।

দেখুন ইউটিউব যে শুধু মনেটাইজেশন থেকে আয় করার সুযোগ দেয় সেটি কিন্তু ভুল ধারণা কারণ আপনি চাইলে বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করে, অন্যদের পন্য রিভিউ করে এবং নিজের পন্য নিজেই রিভিউ করে টাকা আয় করতে পারবেন।

শুধু প্রথমে সাহস করে শুরু করে দিতে হবে। একবার শুরু করে দিলে আপনি ধীরে ধীরে সমস্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

লিঙ্কডিন বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম থেকে আয়

দেখুন লিঙ্কডিন, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম এর মত অসংখ্যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু শুধু জেনে নিতে হবে মাধ্যম গুলো কিভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে এবং কিভাবে আয় করা যায়।

যদি লিঙ্কডিনের কথা বলাই তাহলে বলা যায় এটি একটি জব পোর্টাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর এখানে সমস্ত মানুষ প্রফেশনাল। আপনি এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

শুধু তাই নয় আপনি যদি ফ্রিলান্সার হয়ে থাকেন তাহলে এই মাধ্যম থেকে বায়ার খুজে পাবেন অতি সহজেই। তাছাড়াও অনেক এজেন্সি রয়েছেন যারা অন্যদের দিয়ে লিঙ্ক বিল্ডিং করিয়ে নেয় ও তার বিনিময়ে টাকা দেয়।

তাছাড়াও আপনি চাইলে লিঙ্কডিন মার্কেটিং শিখে আয় করতে পারবেন। আর অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও বিভিন্ন পন্যের প্রমোট করিয়ে সেল করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি চাইলে ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করেও টাকা আয় করতে পারবেন। ইন্সটাগ্রামের একটি পলিসি রয়েছে যেখানে একটি ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় এবং স্পেসিফিক বিষয় গুলো নিয়ে পোস্ট করতে হয়।

তারপর মনেটাইজেসনের মাধ্যমে অতি সহজেই ইনকাম করা যায়। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আয় করতে হলে শুধু ধারণা এবং ইচ্ছা শক্তি থাকলেই হবে।

শেষ কথা

দেখুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কি বোঝায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি কি রয়েছে সেই সাথে উপকারিতে এবং সুবিধা অসুবিধা সমস্ত কিছুই আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

এখন নিজেই চিন্তা করে দেখুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর কিছু জানার থাকলে অবস্যি কমেন্ট করে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *