কম্পিউটিংব্লগ পোস্টলাইফ স্টাইলশিক্ষা

হ্যাকার হতে চাই ! একজন দক্ষ্য হ্যাকার হতে কি কি লাগে?

হ্যাকার হতে চাই গল্প বলি ও শিখি। হ্যাকার কথাটা আমাদের মাথায় আসলেই নিজেকে হ্যাকার হিসেবে দাবি কতে মন চায়। মনচায় যেভাবেই হোক একজন হ্যাকার হয়ে অন্যদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করব। আপনি যদি পাড়ার কোন হ্যাকার এর সাথে কথা বলেন দেখবেন তার কি যে ভাব মনে হয় সে আকাশে উড়ে বেরাচ্ছে আর বলে বেড়াচ্ছে আমি সবার ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে পারি তাই আমার সামনে কেও বেশী ভাব নিবি না।

কিছু হ্যাকার আছে তারা আরেক জনের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ফেলে নিমেষে, এ হ্যাকার গুলো কেমন আপনি কি জানতে চান। তাহলে শুনুন তারা গুগল, ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে নানা রকম প্রসেস ব্যবহার করে হুট করে কারো পাসওয়ার্ড ব্ল্যাকমেইল করে পাসওয়ার্ড নিয়ে পাসওয়ার্ডটা চেঞ্জ করে নিজের করে নেয়।

আপনি হয়তো কল্পনা করছেন আপনি যদি আপনার গ্রালফ্রেন্ড এর আইডি হ্যাক করতে পারতেন তাহলে সেই হত। আসল কথা কি জানেন এই ফেসবুক হ্যাক করাকে হ্যাক বলে না আর ফেসবুক হ্যাক করাটা এতটা সহজ না যতটা সবাই চাপার মাধ্যমে বলে থাকে। আসল কথা এরা কেউ হ্যাকার না।

আপনি হ্যাকিং কে যতটা সহজ মনে করছেন হ্যাকিং আসলে ততটা সহজ না। আপনি যদি হ্যাকার হতে চান তাহলে আপনাকে অনেক কষ্ট করতে হবে। নানা রকম প্রোগ্রামিং ভাষা শিখতে হবে।

লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম কীভাবে ব্যবহার করতে হয় জানতে হবে। আপনার হয়তো মাথায় আসছে এই লিনাক্স আবার কি? সমস্যা নেই পড়তে থাকুন সবি বুঝতে পারবেন এবং আপনি একজন হ্যাকার হয়ে যাবেন। হ্যাকার হতে চাই বা হ্যাকার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

হ্যাকিং কি এবং হ্যাকার কাদের বলে।

হ্যাকিং বলতে মূলত বোঝায় কোন একটা ওয়েবসাইট এর ত্রুটি খুজে বের করতে সেই ওয়েব সাইট, মোবাইল বা কম্পিউটারকে মালিক এর অনুমতি ছাড়া অবৈধ ভাবে নিজের করে নিয়ে ব্যবহার করাই হচ্ছে হ্যাকিং। আপনি কি মনে করেছিলেন, হ্যাকিং কি মামার হাতের মুয়া।

আচ্ছা ভাই বলছি হ্যাকার কারা! যে ব্যাক্তি অন্যের ওয়েবসাইট হ্যাকিং করে সে ব্যক্তিটাই হ্যাকার। কি মনের মধ্যে কি প্রস্ন আসছে না অবৈধ ভাবে যদি কারো কিছু ব্যাহার করে কেস খাবে না। ভাই কেস সে খাবেই যদি ধরা পরে, আর যারা অবৈধ কাজ করে একদিন না একদিন ধরা সে পরবেই। কথায় আছে না চোরের দশ দিন সাধুর একদিন।

কি ভাবছেন হ্যাকার হবেন না, ভয়ের কিছু নেই আপনি হ্যাকার হলে আপনার কেউ কিছুই করতে পারবে না। হ্যাকার হতে চাই জানতে হলে পড়তে থাকুন।

হ্যাকার কত প্রকার ও কি কি?

চলুন জেনে নেয়া যাক, পৃথিবীতে মূলত তিন ধরনের হ্যাকার আছে।

১. White hat hacker (হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার) বা সাদা টুপির হ্যাকার

 এদের কাজ হল ওয়েবসাইটের নানা রকম ত্রুটি খুজে বের করে সেই ত্রুটি গুলোকে সমাধান করা। হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার যারা আছেন তারা সব কিছুই জানে কিন্তু কারো ক্ষতি সাধন করে না।

তারা নানা রকম কোম্পানিতে চাকরি করে এবং সেই কম্পনানি গুলোর যে সার্ভার রয়েছে সেটা দেখাশোনা করে এবং যে ওয়েব সাইট রয়েছে তার সিকিউরিটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাছাড়া পৃথিবীতে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা ওয়েবসাইট এর সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করে আপনি ইচ্ছা করলেই সেখানে কাজ করতে পারেন।

এমনকি আপনি নিজের একটা কোম্পানি নিজেই দ্বার করাতে পারবেন। মনে রাখবেন হ্যাকার হলেই কারো ক্ষতি করার চেষ্টা করা যাবে না তাই এই হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার আপনার জন্য।

২. Black hat hacker (ব্ল্যাক হ্যাট হ্যকার) বা কালো টুপির হ্যাকার

এদের কাজ হল মানুষের ক্ষতি সাধন করা। কারো মোবাইল, কম্পিউটার বা ওয়েবসাইটের ত্রুটি গুলো বের করে হ্যাক করার মাধ্যমে সব তথ্য চুরি করে নেয়া। এরা আসলে মানুষের ক্ষতি ছাড়া কিছু করে না।

আপনার সিস্টেমকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করবে আপনি বুঝতে পারবেন না, এরাই হল ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার।আর আপনি যদি নিজে একজন হ্যাকার হন তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার সিস্টেম কেও একজন ব্যবহার করছে এবং আপনি সাথে সাথে আপনার ত্রুটি ঠিক করে ফেলবেন।

শুধু তাই না এরা নানা রকম ভাইরাস ব্যবহার করে অনেক আপনার মোবাইল বলেন আর কম্পিউটার বলেন নষ্ট করে দিতে পারে।

ভাইরাস সম্পর্কে জানতে এবং কীভাবে ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

৩। Gray hat hacker (গ্রে হ্যাট হ্যাকার) বা সাদাকালো টুপির হ্যাকার

এরা মূলত মাঝের একটা। সাদাকালো মানে বুঝতে পারছেন ভালো আছে আবার খারাপও আছে। এরা যদি কোথাও কোন ত্রুটি দেখে ইচ্ছা হলে মালিক কে জানাতে পারে আবার ইচ্ছা হলে নিজের কাজেও ব্যবহার করতে পারে। এখন আপনি বেছে নিন কোনটা হবেন আপনি?

হ্যাকার হতে কি প্রয়োজন?

আপনার অবশ্যই ইন্টারনেট, ওয়েবসাইন্ট, কম্পিউটার, মোবাইল, সফটওয়্যার এর বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। চিন্তার কোন কারন নেই আপনি যখন শুরু করবেন ধীরে ধীরে সব কিছু সহজ হয়ে যাবে।

তাছাড়াও আপনার যেটা থাকতেই হবে

  • একটি কম্পিউটার (ইন্টারনেট সংযোগ থাকতেই হবে না হলে আপনি কাজ করবেন কি দিয়ে)।
  • প্রচুর পরিমাণে ধৈর্যশীলতা (আপনি যদি ধৈর্যশীল না হন তাহলে আপনি সাকসেস পাবেন না কারন হ্যাকিং এমনি একটা পেশা যেটা শিখতে হলে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়)।
  • আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থাকতে হবে।
  • আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষাটা ভালোভাবে জানতে হবে কারন ওয়েব সাইট বলুন আর কম্পিউটার বলুন সব প্রোগ্রাম ইংরেজি ভাষাতে তৈরি করা।
  • নানা রকম কম্পিউটার এর ভাষা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটার ভাষা বলতে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কে বোঝায়। যেমনঃ C, C++, Python, PHP, Java, C# ইত্যাদি।

এতটুকুই , আপনি যখন শুরু করবেন তখন আরও অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পারবেন।

Linux operating system – লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম

তাছাড়া একটা বিষয় আপনাকে বলেছিলাম লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে। লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে হ্যাকিং করার জন্য সব চাইতে ভালো এবং ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম।বেশীরভাগ হ্যাকার এই সিস্টেম টাই ব্যবহার করে থাকেন।

আপনি হয়ত বুঝতে পারছেন না লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমটা আসলে কি? সমস্যা নেই আমি বুঝিয়ে বলছি, এইযে আপনি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন ঠিক তেমনি আর একটা অপারেটিং সিস্টেম হল লিনাক্স।

আপনি উইন্ডোজ অপেরেটিং সিস্টেম এর পাশা পাশি লিনাক্স ব্যবহার করতে পারবেন অর্থাৎ আপনার কোন ফাইল ডিলিট না করেই এটা ব্যবহার করতে পারবেন তাছাড়া এই সিস্টেমটি উইন্ডোজ এর মত একটিভ করতে হয় না একদম ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন। লিনাক্স সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ইউটিউবে গিয়ে লিনাক্স বাংলা রিভিউ লিখে সার্চ করলেই আপনি আরও ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

আমি আপনকে কালি লিনাক্স ( Kali Linux) ব্যবহার করার জন্য সাজেস্ট করছি।

হ্যাকার হতে কি কি শিখতে হবে?

  1. Key logger (কি লগার)
  2. Denial of service (Dos/DDos)( ডেনিয়াল অফ সার্ভিস)
  3. Waterhole attacks ( ওয়াটারহোল অ্যাটাকস)
  4. Fake wap ( ফেক ওয়াপ)
  5. Eavesdropping (ইভসড্রপিং)
  6. Phishing ( পিসিং)
  7. Virus ( ভাইরাস )
  8. Trojan ( টরজান)
  9. Click Jacking Attacks ( ক্লিক জেকিং অ্যাটাক)
  10. Cookie theft ( কুকি থেফট)
  11. Bait and Swithch ( বেইট এন্ড সুইচ)
  12. Hide Ip and Mac Address ( হাইড আইপি এন্ড ম্যাক অ্যাড্রেস)

এই টপিক গুলো শিখতে শুরু করুন তাহলে আপনি খুব তারাতারি একজন হ্যাকার হয়ে যাবেন। এই গুলো ছাড়া আরও অনেক কিছু রয়েছে। আপনি শুরু করতে পারলে ধীরে ধীরে সব শিখতে পারবেন। হ্যাকার হতে চাই

আপনাকে একটি বিষয় সব সময় খেয়াল রাখতে হবে আপনি কোন সময় পাইরেসি কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করে হ্যাকিং করবেন না। কারন ইন্টারনেটে হাজারো হ্যাকিং সফটওয়্যার রয়েছে যেটা হ্যাকিং করার জন্য। আপনি যদি এই সব হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে হ্যাকিং করতে চান তাহলে আপনি নিজেই হ্যাক হয়ে যাবেন।

হ্যাপি হ্যাকিং

খুব তারাতারি নতুন কিছু পাবলিশ করা হবে তাই সাথেই থাকুন। আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *