৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ২০২৩
৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল -আমরা যদি অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে নিজের চাহিদা পূরণ করতে যাই তাহলে দেখা যাবে বিভিন্ন মানুষের চাহিদা বিভিন্ন রকম। বিশেষ নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত মানুষের চাহিদাটা একটু ব্যাতিক্রম হয়ে থাকে। তারা তাদের চাহিদার ফোনটি কেনার জন্য তেমন বেশী বাজেট রাখতে পারেননা।
তাই আজকের এই রিভিউয়ে শুধু মাত্র তাদের জন্য এমন কিছু ফোনের নাম, দাম এবং কনফিগারেশন তুলে ধরবো যেগুলোর প্রাইস হবে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে। তাই আপনার উচিৎ হবে এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে লক্ষ্য করে নিজের পছন্দের ফোনটি বেঁছে নেওয়া।
আমাদের দেশের একটি প্রচলিত কথা আছে, যদি হয় সাধ্যের মধ্যে অনেক কিছু আর কি লাগে। তাই আজ যথা সাধ্য চেষ্টা করবো এই দামের মধ্যে সব চাইতে ভালো ফোন গুলো তুলে ধরার জন্য।
৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল
পুরো বিশ্বে যেমন একই শ্রেণীর মানুষ বসবাস করে না ঠিক আমাদের দেশেরও একই চিত্র। আন্তর্জাতিক বাজারকে ধরে রাখার জন্য মোবাইল কোম্পানি গুলো বিভিন্ন মডেল এবং বিভিন্ন দামের ফোন রিলিজ করে থাকে।
আমাদের দেশের বাজারে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মোবাইল গুলোর মধ্যে বিশেষ কিছু ব্র্যান্ডের ভালো ফোন পাওয়া যায় যেগুলোর ক্যামেরা থেকে শুরু করে কনফিগারেশন অনেক ভালো হয়ে থাকে।
কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেনা কোন ব্র্যান্ডের, কোন ফিগারেশন এর কোন ফোনটি কিনবে সেটি নিয়ে কনফিউজ থাকে। তাই আমি আজ আশা করছি আপনি যদি আজকের এই মোবাইল গুলো দেখতে পারেন তাহলে সব ধরণের কনফিউশন দূর হয়ে যাবে।
তাই চলুন নামি দামি কোম্পানির ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মোবাইল ফোন গুলো সেগুলো দেখতে শুরু করি।
Symphony i73

দামঃ ৳7,499 মাত্র
কনফিগারেশন
2G, 3G, 4G নেটওয়ার্ক সাপর্টের পাশাপাশি এই ফোনটির সাথে থাকছে দুটি ন্যানো সিম কার্ড ইন্সার্ট এর সুযোগ। এছাড়াও এই ফোনটির ডিসপ্লে থাকছে ফুল ভিউ যার সাইজ থাকছে ৬ইঞ্চি এবং ডিসপ্লের রেজোলিউশন থাকছে HD+ 1440 x 720 পিক্সেল ও সেই সাথে আরও থাকছে আইপিএস টাচ স্ক্রিন ও মাল্টিটাচ ফিচার।
৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরার পাশাপাশি এই ফোনটির সাথে সেলফি ক্যামেরা থাকছে ৫মেগাপিক্সেল। এদিকে ফোনটির চার্জিং পারফর্মেন্স এর জন্য সাথে দেয়া থাকছে লিথিয়াম আয়ন ৩১৫০ এমএএইচের ব্যাটারি।
Android 11 গো এডিশন অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি এই ফোনটির সাথে আর থাকছে UNISOC SC9832E চিপ্সেট এবং সেই সাথে আরও থাকছে Quad-core, 1.4 GHz প্রসেসর। এছাড়াও এই ফোনটির সাথে স্টোরেজ হিসাবে থাকছে ২জিবি র্যাম ও ৩২জিবি রম এবং সেই সাথে ৬৪ জিবির মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এদিকে ফোনটির নিরাপত্তার জন্য থাকছে ফেসআনলক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
Symphony V139

দামঃ ৭০০০ টাকা মাত্র
কনফিগারেশন
সিম্ফনি ভি ১৩৯ মডেলের ফোনটিতে রয়েছে 5.45 inches ডিসপ্লে এবং যার সাথে রেজুলেশন থাকছে HD+ 1440 x 720 pixels এবং ব্যবহার করা হয়েছে মাল্টিটাচ ফিচার ও আইপিএস টাচ স্ক্রিন।
তাছাড়াও এই ফোনটিতে পাওয়া যাবে মোট তিনটি কালার Dark Blue, Forest Green & Light Blue এর মধ্যে যে কালার আপনার পছন্দ হবে সেই কালার কিনতে পারবেন। ২জি, ৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্কের সাথে ফোনটিতে ব্যবহার হয়েছে ডুয়াল ন্যান সিম কার্ড সুবিধা।
এদিকে ফোনটিতে ক্যামেরা রয়েছে ৫ মেগা পিক্সেল ব্যাক এবং ২ মেগা পিক্সেল সেলফি আর ব্যাক ক্যামেরা ব্যবহার করে ভিডিও ধারণ করা যাবে ৭২০ পিক্সেলে। ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে Android 11 (Go Edition) এবং Unisoc SC9832E (28 nm) চিপ্সেট। তাছাড়াও Quad-core, 1.4 GHz প্রসেসরের সাথে ২জি র্যাম ও ৩২ জিবি রম সাথে আলাদাভাবে ৬৪ জিবি এসডি কার্ড ব্যবহার করার মত সুবিধা।
চার্জ ব্যাকাপের জন্য ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে Lithium-polymer 2600 mAh এবং সিকিউরিটির জন্য রয়েছে ফেস আনলক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট।
ভালো এবং খারাপ দিক
সমস্ত কিছু যদি বেবেচনা করা হয় তাহলে এই বাজেটের মধ্যে সব কিছু অনেক বেটার রয়েছে। এই ফোনের ডিসপ্লের যে সাইজ রয়েছে সেটি একটি ফোনের স্টান্ডার্ন মাপ যা হাতের সাথে অনেক বেশী আরামদায়ক।
এদিকে অপারেটিং সিস্টেম আপডেট ভার্সন রয়েছে এবং চিস্পেট ও প্রসেসর সব কিছু ভালো। তাছাড়াও সিকিউরিটির কথা বলা বাহুল্য রাখেনা কারণ এই দামে ফেস আনলক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দুটি রয়েছে।
এখন যদি খারাপ দিকের কথা বলা হয় তাহলে প্রথমেই যে বিষয়টি লক্ষ্যনীয় সেটি হচ্ছে এই ফোনের ক্যামেরা একদমই বাজে ব্যবহার করা হয়েছে কারণ এই সময়ে ফোনে ৫ মেগাপিক্সেল ও ২ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহার একটি হাস্যকর বিষয় মাত্র।
তাছাড়াও ব্যাটারি সারাদিন ব্যাকাপ দিতে একটু কস্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া সমস্ত কিছু অনেক ভালো রয়েছে। আপনি চাইলে ফোনটি কিনতে পারেন।
Symphony V138 Lite

দামঃ ৬৫৯০ টাকা মাত্র
কনফিগারেশন
Symphony V138 Lite মডেলের ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে GSM / HSPA / LTE তিন ধরণের নেটওয়ার্ক সুবিধা সেই সাথে এই ফোনের সাথে সুযোগ রয়েছে ডুয়াল ন্যানো সিম ব্যবহার করার।
ডিসপ্লে থাকছে 5.45 inches IPS টচাক স্ক্রিন যার রেজুলেশন রয়েছে 720 x 1440 pixels এবং সেই সাথে মাল্টি টাচ ফিচার। কিন্তু কোন প্রকার প্রটেকশন ব্যবহার করা হয়নি তাই হাত থেকে পড়ে গেলে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই আপনার উচিৎ হবে ফোনটি কেনার পরেই একটি প্রটেক্টর ব্যবহার করা।
এন্ড্রয়েড 11 (Go Edition) অপারেটিং সিস্টেম ও সাথে 1.4 GHz Quad-Core Processor এবং এই ফোনটির স্টোরেজ এর জন্য রেম রয়েছে 2 GB এবং রম 32 GB এবং আলাদাভাবে 64GB ডেডিকেটেড মেমোরি কার্ড ইনসার্ট করার জায়গা।
ব্যাক ক্যামেরার জন্য থাকছে 5 MP ও সেলফি ক্যামেরা থাকছে ২ মেগা পিক্সেল জেটি ব্যবহার করে ১০৮০পি মুডে ভিডিও করা যাবে কিন্তু এটির রেজুলেশন দিবে 30fps সেই সাথে ব্যাটারি ক্যাপাসিটির জন্য এই ফোনে থাকছে লিথিয়াম আয়নের 2650mAh ব্যাটারি।
Tecno Pop 5S

দামঃ ৬২৯০ টাকা মাত্র
কনফিগারেশন
ফোনটির ডিসপ্লে রয়েছে 5.7 inches যার রিসলিশন থাকছে 720 x 1520 pixels ও সে সাথে মাল্টিটাচ ফিচার। এই ফোনের অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে Android 10 Go Edittion সেই সাথে এই ফোনে থাকছে 2GB রেম ও 32GB রম।
এদিকে ফোনটিতে ব্যাক ক্যামেরা হিসাবে থাকছে ডুয়াল 5MP ক্যামেরা ও সেলফি হিসাবে থাকছে 2MP ক্যামেরা যার ফিচার হিসাবে যুক্ত আছে LED ফ্ল্যাশ।
তাছাড়াও ব্যাটারি ক্যাপাসিটির জন্য দেয়া রয়েছে 3020 mAh লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এদিকে ইউএসবি থাকবে মাইক্রো ইউএসবি ২.০ সিরিজের।
এই ফোনটিতে কোন প্রকার ফাস্ট চার্জার এবং সিকিউরিটির জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট বা ফেস আনলক দেয়া নেই। ফোনটিতে চার্জ ব্যাকাপ তেমন দিতে পারবেনা। অনেক সময় বা ধীর্ঘ সময় ইন্টারনেট ব্রাউজ করা কষ্টকর হয়ে যাবে।
তাছাড়া এই দামের মধ্যে সমস্ত ফিচার যুক্ত করা রয়েছে যদি মার্কেটে পাওয়া যায় তাহলে আপনি কিনতে পারেন কারণ এই দামের মধ্যে ফোনটির স্টাইল দেখার মত।
Walton Primo GH10

দামঃ ৭৯৯৯ টাকা মাত্র
কনফিগারেশন
এই ফোনটিতে ২জি, ৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্ক সুবিধা রয়েছে সেই সাথে ডুয়াল ন্যানো সিম কার্ড ইনসার্ট করার সুযোগ। আইপিএস নচ ডিসপ্লের সাথে এই ফোনটিতে ব্যবহার হয়েছে 6.52 inches টাচ স্ক্রিন যার রেজুলেশন থাকছে 720 x 1600 pixels এর।
এই ফোনে অপারেটিং সিস্টেম থাকছে Android 11 Go Edition এবং 1.6GHz Octa-Core Processor ও সেই সাথে ARM Cortex- A55 চিপ্সেট। তাছাড়াও এই ফোনের স্টোরেজ এর জন্য ব্যবহার হয়েছে 2GB রেম ও 32GB রম সেই সাথে আলাদাভাবে 128GB মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার মত সুবিধা।
ক্যামেরার দিকে খেয়াল করলে দেখতে পাওয়া যায় এই ফোনে Triple: 8 MP ব্যাক ক্যামেরা রয়েছে এবং সেই সাথে 8 MP সেলফি ক্যামেরা আর এই ক্যামেরা দুটি দিয়ে ১০৮০ পিক্সলে ভিডিও করা যাবে।
এদিকে চার্জিং এর জন্য High Capacity 4000mAh Li-Polymer Battery ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু কোন প্রকার ফাস্ট চার্জার দেয়া হয়নি কারণ এই ব্যাটারি চার্জ করতে ফাস্ট চার্জার ব্যবহার করতে হয়না।
Walton Primo GH10i

দামঃ ৭৯৯৯ টাকা মাত্র
কনফিগারেশন
৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ফোন গুলোর মধ্যে প্রথমেই আমাদের দেশের পন্য তুলে ধরলাম। কারণ আমরা প্রতিদিনই অ্যাড দেখে থাকি দেশি ফোন কিনে হউন ধন্য।
ওয়াল্টন এর এই ফোনে রয়েছে ডুয়াল ন্যানো সিম কার্ড এবং তিন ধরণের নেটওয়ার্ক সুবিধা যেমন, ২জি, ৩জি এবং ৪জি। এক্ষেত্রে আপনি কোন ধরণের সমস্যা ছাড়াই কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারবেন।
এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৫২ ইঞ্চি ডিসপ্লে যা এই দামের মধ্যে একদম অবিশ্বাস্য। ডিসপ্লেতে ফিচার হিসাবে যুক্ত রয়েছে মিনিমাল নচ এবং রিসলিশন দেয়া রয়েছে ১৫৬০*৭২০ পিক্সেল। সাথে পাচ্ছেন আইপিএস টাচ এবং মাল্টি টাচ ফিচার।
এই ফোনে ক্যামেরা দিকে খেয়াল করলে আপনি দেখতে পারেন এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে, Triple 8+0.3+0.3 Megapixel পেছন ক্যামেরা এবং ৫ মেগা পিক্সেল সেলফি ক্যামেরা যার ভিডিও ধারণ করা যাবে ১০৮০ পিক্সেলে ও ৭২০ পিক্সেলে। ধীর্ঘ সময় চার্জ এর জন্য এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারি।
যদি স্টোরেজ এর দিকে বলা হয় তাহলে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এই ফোনে রয়েছে ২জিবি র্যাম এবং ৩২ জিবি রম। তাছাড়াও আপনি চাইলে আলাদাভাবে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে এন্ড্রয়েড ১১ গো এডিশন। সিকিউরিটির দিকে সব কিছুই থাকছে এই ফোনে কারণ এই ফোনে আপনি পেছন পাশে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক পেয়ে যাবেন।
ফোনটির ভালো এবং খারাপ দিক
৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মোবাইল টাকার এই ফোনে যে সমস্ত ফিচার দেয়া রয়েছে সে সমস্ত ফিচার বেশী দামি ফোনেও দেয়া থাকে। এই দামের মধ্যে র্যাম এবং রম যথেষ্ট ভালো রয়েছে তাছাড়াও আপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম পেয়ে যাবেন অনায়াসে।
স্টাইলের দিক দিয়ে আপনার পাশের কেও বলতে পারবেনা যে, এটি কম দামি ফোন। এই ফোনে ব্যাটারি যদি ৫০০০ এমএএইচ হত তাহলে অনেক ভালো হত। তাছাড়া ফাস্ট চার্জার দেয়া নেই এই ফোনে।
সব মিলিয়ে যদি দেখা যায় তেমন কোন খারাপ দিক নেই বললেই চলে। তাই আপনি যদি চাইলে এই ফোনটি কিনতে পারেন।
Walton Primo HM6

দামঃ ৭৫৯৯ টাকা মাত্র
কনফিগারেশন
অসাধারণ এই ডিজাইনের ফোনটির কথা না বললেই নয় কারণ এই দামের মধ্যে এই ফোনে ডুয়াল ১৩ মেগা পিক্সেল পেছন ক্যামেরা ব্যবহার হয়েছে সেই সাথে সেলফি ক্যামেরা দেয়া রয়েছে ৮ মেগা পিক্সেল। এমনকি এই ক্যামেরা ব্যবহার করে ১০৮০ পি মুডে ভিডিও করা যাবে।
এই ফোনের সাথে রয়েছে ২জিবি রেম ও ৩২জিবি রম এবং আলাদাভাবে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা। অপারেটিং সিস্টেম থাকছে এন্ড্রয়েড ১০ গো এডিশন। সেই সাথে এই ফোনে ২জি, ৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে।
ফোনটিতে ব্যবহার হয়েছে ৬.৫২ ইঞ্চির আইপিএস টাচ স্ক্রিন যার সাথে থাকছে মিনিমাল নচ ও মাল্টিটাচ ফিচার। ধীর্ঘ সময় চার্জ ব্যাকাপ দেয়ার জন্য এই ফোনের সাথে থাকছে লিথিয়াম পলিমারের ৬০০০ এমএএইচ ননরিমুভাল ব্যাটারি।
সব মিলিয়ে দেখা যায় বর্তমান সময়ে এই দামের মধ্যে যে সমস্ত ফোন গুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বেস্ট কনফিগার ব্যবহার হয়েছে তাই চাইলেই আপনি এই ফোনটি কিনতে পারেন।
Nokia C2 2nd Edition

দামঃ ৮৪৯৯ টাকা মাত্র
কনফিগারেশন
বরাবরই বাজার দখল করে রাখা ফোনের তালিকায় রয়েছে নোকিয়া। বাংলাদেশের বাজারে মোবাইল ফোন আসার পরেই পুরো বাজার যেন নোকিয়ার আওতায় ছিল। এখনও অনেকে ব্যবহার কারীকে পাওয়া যায় যে নোকিয়া ছাড়া অন্য কোন ফোন ব্যবহার করতে চাননা।
তাই আপনার জন্য নোকিয়ার একটি বাজেট ফোন নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি যদি নোকিয়া প্রেমিক হয়ে থাকেন এবং আপনার বাজেট যদি ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মোবাইল কেনার মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে বলতে পারি আপনার জন্য বেস্ট একটি ফোন হতে চলেছে।
কারণ এই ফোনে রয়েছে ২জি, ৩জি এবং ৪জি নেটওয়ার্ক সুবিধা ও সাথে থাকছে ডুয়াল ন্যানো সিম কার্ড ব্যবহার করার মত সুবিধা। নোকিয়ার এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫.৭ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লে যা একটি স্টান্ডার্ড কোয়ালিটি বহন করে থাকে। ডিসপ্লের রিসলিশন দেয়া রয়েছে ৯৬০*৪৮০ পিক্সেল এবং সাথে থাকছে মাল্টি টাচ ফিচার।
এদিকে ফোনটিতে ক্যামেরা দেয়া রয়েছে ৫ মেগা পিক্সেল ব্যাক এবং ২ মেগা পিক্সেল সেলফি। দুটি ক্যামেরা দিয়েই ভিডিও ধারণ করা যাবে ৭২০ পিক্সেলে।
এই ফোনে দেয়া রয়েছে ২৪০০ এমএএইচ লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। এন্ড্রয়েড ১১ গো এডিশনের সাথে এই ফোনে রয়েছে ১/২ জিবি র্যাম এবং ৩২ জিবি রম। তাছাড়াও আলাদাভাবে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা। ফোনটির সিকিউরিটির জন্য ফেস আনলক ব্যবহার করা হয়েছে।
ভালো এবং খারাপ দিক
সমস্ত কিছু যদি খেয়াল করা যায় তাহলে দেখা যায় এই ফোনে যে ডিসপ্লে রয়েছে সেটি ঠিকঠাক রয়েছে কিন্তু রিসলিশন এর দিকে একদম বাজে মনে হয়েছে আমার কাছে।
এই দামে এবং এই সময়ে ব্যাক এবং সেলফি ক্যামেরা কোনটিই ভালো লাগেনি আমার কাছে এখন আপনার লাগতেও পারে। অপারেটিং সিস্টেম, র্যাম এবং রম সমস্ত কিছু ঠিকঠাক রয়েছে।
এই ফোনে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি সারাদিন চার্জ ব্যাকাপ দিতে পারবে কিনা সেটি সন্দেহ। তাছাড়াও সিকিউরিটির এই দিনে ফিঙ্গার প্রিন্ট মিসিং রয়েছে।
সব মিলিয়ে যদি বলা যায় আমার কাছে এই ফোনের কিছু ফিচার একদম বাজে লেগেছে। এখন আপনার কাছে যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি যদি নোকিয়ার প্রেমিক হয়ে থাকেন তাহলে অনায়াসে এই ফোনটি কিনতে পারেন।
মনে রাখবেন ভালো ফোনে তেমন ফিচার না থাকলেও অন্য ফোনের চাইতে ভালো চলে। আর একটি কথা বলতে ভুলে গিয়েছি সেটি ফোন এই ফোনটি ম্যানুফেকচার করেছে আমাদের বাংলাদেশ।
৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল
itel A49

দামঃ ৭৭৯০ টাকা মাত্র
কনফিগারেশন
সাধারণ ভাবে দেখা যায় কম দামের ফোন গুলোর মধ্যে আইটেল অনেক ভালো পারফর্ম করে থাকে। আই একদম কম বাজাটের মধ্যে আইটেলের একটি ফোন নিয়ে আলোচনা করা যাক।
itel A49 ফোনটিতে রয়েছে অন্যান্য ফোনের মত ২জি, ৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্ক সুবিধা সাথে আছে ডুয়াল ন্যানো সিম কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ।
বডির দিকে তাকালে দেখা যায় এই ফোনে রয়েছে মিনিমাল নচ ডিসপ্লে যার সাইজ রয়েছে ৬.৬ ইঞ্চি। এই ডিসপ্লেতে রয়েছে আইপিএস টাচ স্ক্রিন এবং মাল্টি টাচ ফিচার। রিসলিশন থাকছে ১৬০০*৭২০ পিক্সেল।
ফোনটিতে ব্যাক ক্যামেরা দেয়া রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল এবং সেলফি ক্যামেরা ৫ মেগা পিক্সেল। চার্জিং এর জন্য ব্যবহার ৪০০০MH লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি।
এন্ড্রয়েড ১১গো এডিশনের সাথে এই ফোনে রয়েছে ২জিবি র্যাম এবং ৩২জিবি রম এছাড়া চাইলে আলাদাভাবে ১২৮ জিবির মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
কম দামের মধ্যে এই ফোনে চিপ্সেট রয়েছে ইউনিসক এর এবং প্রসেসর রয়েছে Quad-core, 1.4 GHz এর। তাছাড়াও সিকিউরিটির জন্য এই ফোনে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক।
ভালো এবং খারাপ দিক
তুলনা করা হলে দেখা যায় এই দামের মধ্যে বেশ ভালো করেছে এই ফোনটি। কারণ এখন মানুষের চাহিদা থেকে যায় কম দামে একটি ফোন কিনবে তার ডিসপ্লেটা জেনো বড় হয়। এই দিক দিয়ে কিন্তু এটির কোনো তুলনা হয়না কারণ এই ফোনে আপনি পাচ্ছেন ৬.৬ ইঞ্চির ডিসপ্লে।
এদিকে যদি র্যাম এবং রমের কথা বলা হয় তাহলে তাহলে ঠিক ঠাক রয়েছে তাছাড়াও আপনিতো আলাদাভাবে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেনই।
যদি ক্যামেরার কথা বলা হয় তাহলে বলবো ব্যাক ক্যামেরা ৮ দিলে অনেক ভালো হত কিন্তু এই দামের মধ্যে ঠিকঠাক আছে। কোন ধরণের ফাস্ট চার্জার দেয়া হয়নি কারণ এই ৪০০০MH ব্যাটারি চার্জ করতে আপনার ফাস্ট চার্জিং না হলেও চলবে।
সিকিউরিটির জন্য বেশ ভালো ফিচার রয়েছে তাই আপনি চাইলে অনায়াসে এই ফোনটি কিনতেই পারেন।
Symphony i80

দামঃ ৭৪৯৯ টাকা মাত্র
কনফিগারেশন
কম বাজেটের মধ্যে এই ফোনটির স্টাইল এবং কোন ফিগারেশন অনেক ভালো করেছে সিম্ফনি। আশা করছি ফোনটি আপনার কাছে অনেক ভালো লাগবে কারণ কম দামে ভালো ফোন গুলোর মধ্যে এটি একটি ফোন।
৮ হাজার টাকার মধ্যে মোবাইল ফোন বাংলাদেশ এর সিম্ফনির এই মডেলের ফোনে ২জি,৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্ক সাথে এই ফোনে রয়েছে ডুয়াল ন্যানো সিম কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা।
এই ফোনে রয়েছে মিনিমাল নচ ৬.০৯ পিক্সেলের ডিসপ্লে যার রিসলিশন থাকছে ১৫৬০*৭২০ পিক্সেল। টাচ স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে আইপিএস টাচ স্ক্রিন এবং মাল্টি টাচ ফিচার।
এই ফোনে রয়েছে ৮+২ মেগা পিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা এবং সেলফি ক্যামেরা থাকছে ৮ মেগা পিক্সেল যেটি দিয়ে ১০৮০ পিক্সেলে ভিডিও ধারণ করা যাবে। এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে লিথিয়াম পলিমার 3450 mAh ব্যাটারি।
এদিকে অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে এন্ড্রয়েড ১১ গো এডিশন। প্রসেসর থাকছে Octa-core, 2.0 GHz এবং ২ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি রম । এই ফোনে আলাদাভাবে ৬৪ জিবি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
সিকিউরিটির জন্য এই ফোনে দেয়া রয়েছে ব্যাক সাইডে ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং ফেস আনলক।
ভালো এবং খারাপ দিক
এই ফোনের কনফিগারেশনের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায় এই ফোনে সমস্ত কিছুই অনেক ভালো ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ করে কম দামের মধ্যে ভালো ফোন গুলোর সব ফিচার অনেক বেশী ভালো দেয়া থাকেনা এর কারণ হচ্ছে বাজেট হিসাবে ফোনের সমস্ত কিছু হয়ে থাকে।
ফোনটিতে যে ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে সেটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে কারণ এই মাপ হচ্ছে স্টান্ডার্ড একটি মাপ। তাছাড়াও সমস্ত ফিচার অনেক ভালো রয়েছে তাই চাইলেই আপনি এই ফোনটি কিনতেই পারেন।
itel Vision 3

দামঃ
৳৮,৭৯০ ২/৩২ GB
৳৯,৬৯০ ৩/৬৪ GB
৳১০,৯৯০ ৪/৬৪ GB
কনফিগারেশন
অন্যান্য সব ফোনের মতই এই ফোনে তিন ধরণের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়েছে । ৩জি,৪জি ও ৫জি নেটওয়ার্ক এর সাথে এই ফোনে রয়েছে ডুয়াল ন্যানো সিম কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা।
itel Vision 3 ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৬ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লে যার রিসলিশন রয়েছে ১৬০০*৭২০ পিক্সেল। তাছাড়াও এই ফোনের ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হয়েছে মাল্টি টাচ ফিচার।
এই ফোনে তিন ভ্যারিয়েন্টের র্যাম ব্যবহার করা হয়েছে, ২/৩/৪ জিবি তাই তিন ধরণের ফোনে তিন ধরণের দাম রয়েছে। এদিকে যদি রমের কথা বলা হয় তাহলে একটিতে রয়েছে ৩২ জিবি এবং অন্য দুটিতে রয়েছে ৬৪ জিবি।
ফোনটিতে ব্যাক ক্যামেরা রয়েছে Dual 8+0.3 Megapixel যেটি দিয়ে ১০৮০ পিক্সেলে ভিডিও ধারণ করা যাবে এবং সেলফি ক্যামেরা রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল যার ভিডিও ধারণ ক্ষমতা ৭২০ পিক্সেল।
চার্জিং এর বেস্ট পারফর্মিং এর জন্য রয়েছে ৫০০০ mAh নন রিমুভাল ব্যাটারি এবং চার্জ করার জন্য ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং।
এই ফোনে অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে এন্ড্রয়েড ১১ এবং এন্ড্রয়েড ১১ গো এডিশন। তাছাড়াও চিপ্সেট রয়েছে UniSoC SC9863A (28nm) এবং প্রসেসর রয়েছে Octa-core, 1.6 GHz এর। সিকিউরিটির জন্য এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং ফেস আনলক।
ভালো এবং খারাপ দিক
৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মোবাইল গুলোর মধ্যে এই ফোনটি সব চাইতে বেস্ট হবে বলে আমার মনে হয় কারণ এই ফোনটি বাজারে এসেছে তিন ফিচারে। যদিও এই ফোনে তিন ধরণের র্যাম রয়েছে কিন্তু ফিচার গুলো সব একই তাই আপনার জন্য বেস্ট হবে ফোনটি।
আমার কাছে এই ফোনের কোনো কিছু খারাপ লাগেনি সমস্ত কিছু ভালোই লেগেছে কারণ এই ৮ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন এ সমস্ত কিছুই রয়েছে তাই আর কোন মন্তব্য করলাম না।
আপনি চাইলে তারপরেও বিবেচনা করে ফোনটি কিনতে পারেন কারণ চাহিদা পুরোটা আপনার।
Walton Primo F10

দামঃ
৳5,799 1/16 GB
৳6,890 2/16 GB
কনফিগারেশন
যারা একদম কম বাজেটের মধ্যে ফোন কিনতে চাইছেন শুধু মাত্র তাদের জন্য এই ফোনটি। আগেই বলে রাখি এই ফোনের ফিচার গুলো তেমন ভালো দেয়া নেই বেশীর ভাগ কিছু লাইট ভার্সনে রয়েছে।
Walton Primo F10 ফোনটিতে দেয়া রয়েছে 2G, 3G, 4G (VoLTE) নেটওয়ার্ক যা দিয়ে আপনি একদম হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন না। যেমন চাইলেও মোবাইলে থাকা অনলাইন গেমস খেলতে পারবেন না।
আপনি এই ফোনে পেয়ে যাবেন ডুয়াল মাইক্রো সিম কার্ড ব্যবহার করার মত সুবিধা ( ন্যানো সিম ব্যবহার করা যাবেনা )। আপনি ওটিজি, টাইপ সি কোনটিই পাবেননা।
ডিসপ্লে থাকবে ফুল ভিউ ৫.৯৯ ইঞ্চি আইপিএস টাচ স্ক্রিন এবং মালটি টাচ ফিচার। ডিস্প্লের রিসলিশন থাকছে ৪৮০*৯৬০ পিক্সেলের।
১এবং দুই জিবি র্যামে এই ফোন পাওয়া যাবে এবং রম থাকবে ১৬ জিবি। ক্যামেরা থাকছে পেছনে ৮ মেগা পিক্সেল এবং সামনে ৫ মেগা পিক্সেল। একটি দিয়ে ১০৮০পিক্সেলে ভিডিও করা যাবে এবং অন্যটি দিয়ে ৭২০ পিক্সেলে।
ব্যাটারি পাবেন ৩০০০ mAh এর সাথে কোন ফাস্ট চার্জার থাকবেনা। অপারেটিং সিস্টেম থাকবে এন্ড্রয়েড ১০ গো এডিশন এবং সিকিউরিটির জন্য পেছন সাইডে ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং ফেস আনলক দেয়া রয়েছে।
ভালো এবং খারাপ দিক
সব মিলিয়ে যদি দেখা যায় এই দামে যে সমস্ত ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে সেটি যথেষ্ট। তাই এই ফোন সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে চাইনা। আপনি যদি একদম কম বাজেটে ফোন কিনতে চান তাহলে এই ফোনটি কিনতে পারেন অনায়াসে।
৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল
Itel P38

দামঃ ৮,০০০ টাকা মাত্র
কনফিগারেশন
আইটেলের এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে GSM / HSPA / LTE নেটওয়ার্ক অর্থাৎ ২জি,৩জি এবং ৪জি। এই ফোনে ডুয়াল ন্যান সিম কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
ফোনটিতে আইপিএস এলসিডির ৬.৬ ইঞ্চি এইচডি+ ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে এবং সাথে দেয়া রয়েছে মাল্টি টাচ ফিচার। অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে এন্ড্রইয়েড ১১ গো এডিশন।
স্টোরেজ রয়েছে ২জিবি র্যামের সাথে ৩২ জিবি রম এবং আলাদা ভাবে মাইক্র এসডি কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা।
ব্যাক ক্যামেরা দেয়া আছে ৮ মেগা পিক্সেল এবং সেলফি ক্যামেরা দেয়া আছে ৫ মেগা পিক্সেল ১০৮০ এবং ৭২০ পিক্সেলে ভিডিও ধারণ করা যাবে।
১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জার এবং ৫০০০ এমএএইচ লিথিয়াম পলিমার নন রিমুভাল ব্যাটারি দেয়া রয়েছে।
ভালো এবং খারাপ দিক
এই ফোন সম্পর্কে যদি বলা হয়ে থাকে তাহলে একটি কথা বলা যায় এই দামে বেস্ট একটি ফোন। সমস্ত কিছু ভালোই রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে কিছু বিষয় আমার কাছে একটু খারাপ লেগেছে, যেমন এই ফোনে ৮ মেগা পিক্সেল এর পরিবর্তে ১৩ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহার করলে আরও একটু ভালো হতো।
তাছাড়া চার্জারটি ১৮ ওয়াট হলে মন্দ হতনা। যাই হোক এই গুলো ছাড়া সমস্ত কিছু আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। ফোনটির স্টাইল থেকে শুরু করে হাইট ওয়েট সমস্ত কিছু একদম বেস্ট। তাই আপনি চাইলেই এই ফোন কিনতে পারেন।
Symphony Z42

দামঃ ৯,৯৯০ টাকা মাত্র
কনফিগারেশন
ফোনটির যদিও দাম একটু বেশী তারপরেও আপনাকে না দেখিয়ে পারলাম না এর কারণ হচ্ছে এই দামের মধ্যে অসাধারণ ডিজাইনের একটি ফোন। শুধু ডিজাইনের কথা বললে ভুল হবে এর ফিচার গুলো অনেক ভালো মানের।
Symphony Z42 ফোনটিতে রয়েছে ২,৩,৪জি নেটওয়ার্ক এবং ডুয়াল ন্যানো সিম কার্ড ব্যবহার করার মত সুবিধা।
এখন বলি স্টাইলের কথা, এই ফোনে রয়েছে মিনিমাল নচ ৬.৫২ ইঞ্চি ডিসপ্লে যার রিসলিশন থাকছে ১৬০০*৭২০ পিক্সেল। আইপিএস টাচ স্ক্রিন এবং মাল্টি টাচ ফিচার কিন্তু টাচ প্রটেকশন দেয়া নেই আলাদাভাবে প্রটেকশন লাগিয়ে নিতে হবে।
ক্যামেরার দিকে অনেক ভালো রয়েছে এই ফোনে, কারণ এটিতে রয়েছে মোট তিনটি ব্যাক ক্যামেরা ( 13+0.8+0.8 Megapixel ) যা দিয়ে অনায়াসে ১০৮০ পিক্সেলে ভিডিও ধারণ করা যাবে। সেলফি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে ৮ মেগা পিক্সেল এবং রাতে ছবি তোলার জন্য ডিসপ্লে ফ্ল্যাশ ফিচার দেয়া রয়েছে। সেলফি ক্যামেরা দিয়েও ১০৮০ পিক্সেলে ভিডিও ধারণ করা যাবে।
ধীর্ঘ সময় চার্জ থাকার জন্য এই ফোনে রয়েছে ৫০০০ mAh নন রিমুভাল লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। কিন্তু কোন ফাস্ট চার্জার নেই।
অপারেটিং সিস্টেম এন্ড্রয়েড ১১ এবং চিপ্সেট মিডিয়াটেক হ্যালিও এ২০ ও প্রসেসর থাকছে কুয়াডকোর ১.৮ gHz সেই সাথে র্যাম রয়েছে ৩জিবি এবং রম রয়েছে ৩২জিবি সাথে ২৫৬ জিবি ডেডিকেটেড মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ।
সিকিউরিটির জন্য থাকছে ব্যাক ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক।
ভালো এবং খারাপ দিক
স্বল্প বাজেটের এই ফোনে অসাধারণ সমস্ত ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। বেস্ট স্টাইলের বডি শেপ এবং ডিসপ্লে সাথে ট্রিপল ক্যামেরা যা এই ফোনকে অসাধারণ লুক দিয়ে রেখেছে।
ক্যামেরা, র্যাম, রম, অপারেটিং সিস্টেম, চিপ্সেট এবং প্রসেসর সমস্ত কিছু একদম ঠিকঠাক রয়েছে।
এই ফোনের যেহেতু ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি দেয়া রয়েছে তাই একটি ফাস্ট চার্জার দেয়া উচিৎ ছিলো বলে আমার মনে হয়। তাছাড়া সমস্ত কিছু ভালো রয়েছে।
তাই আপনি চাইলে এই ফোনটি একটু বাজেট বাড়িয়ে কিনতে পারেন।
শেষ কথা
৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল গুলোর মধ্যে থেকে সেরা কিছু ফোন এবং ফোনের দাম ও ফিচার তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি ফোন গুলো আপনার অনেক ভালো লাগবে।
এই সাইটে নিয়মিত টেক রিলেটেড সমস্ত কিছু আপডেট করা হয়ে থাকে তাই আপনি আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকতে পারেন।
আপনার যদি আরও কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জিজ্ঞেস করবেন তাছাড়াও ফোন গুলো কেমন লাগলো বলতে ভুলবেন না। আর্টিকেলটি ফেসবুকে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল